সবজি চাষে ঘুরে দাঁড়িয়েছে উত্তরের অর্থনীতি

রাজ টাইমস | প্রকাশিত: ২৬ অক্টোবর ২০২৩ ১৯:০৬; আপডেট: ২৮ এপ্রিল ২০২৪ ১৮:৫০

ছবি: প্রতীকী

পেঁপে ছাড়া কোনো সবজি ৬০ থেকে ৮০ টাকা প্রতি কেজির নিচে পাওয়া যাচ্ছেনা। বাজার মূল্যের অর্ধেক পাচ্ছেন কৃষক। অর্ধেক দাম পেয়েও খুশি এই অঞ্চলের কৃষক। সবজি চাষে ঘুরে দাঁড়িয়েছে রংপুরসহ উত্তরের অর্থনীতি। শাক সবজির আবাদ করে অর্থনীতিতে যোগ করেছেন ১২ হাজার কোটি টাকার ওপর। অনুকূল পরিবেশ থাকায় এই অঞ্চলের বৃহৎ, ক্ষুদ্র, বরগা ও প্রান্তিক চাষীরা খরিপ-১, খরিপ-২ এবং রবি মৌসুমে শাক সবজির আবাদ করেছে ১ লাখ ৮০ হাজার হেক্টরের ওপর জমিতে।

মিঠাপুকুর উপজেলার কৃষক হাবিবুর রহমান,আশরাফুর ইসলাম, কাউনিয়া উপজেলার কুর্শা ইউনিয়নের আফজাল হোসেন, পীরগাছার বুলবুল মিয়াস বেশ কয়েকজন কৃষকের সাথে কথা হলে তারা বলেন, সবজি চাষের ফলে তাদের সংসারে স্বাচ্ছল্য এসেছে। তারা এখন সকলেই স্বাবলম্বী। এখন তাদের শাক সবজি বিক্রির জন্য হাট বাজারে যেতে হয় না। ব্যাপারীরা বাড়ির আঙ্গিনা থেকে শাক সবজি ক্রয় করে নিয়ে যান। দামও ভাল পাচ্ছেন। এসব ব্যাপারিরা ঢাকা চট্টগ্রাম, খুলনা, সিলেটসহ বিভিন্ন স্থানে সবজি সরবরাহ কনের। এছাড়াও খরিপ -১ মৌসুমে ঢেড়স, পটল, চিচিংগা, পুই শাক, বেগুন, মিষ্টি কুমড়া, পানি কুমড়া, চাল কমড়া ইত্যাদি। রবি মৌসুমে মুলা, বেগুন, ফুলকপি, বাঁধাকপি, লাল শাক, পালং শাক, পুই শাকসহ অন্যান্য সবজি আবাদ করে ভাল লাভ পাচ্ছেন কৃষকরা। এখন উত্তরাঞ্চলের মহা সড়কগুলোর পাশে দাঁড়ালে দেখা যায়, বিভিন্ন হাট বাজারের পাশে ট্রাক দাঁড়িয়ে রয়েছে সবজি ক্রয়ের জন্য। রাত থেকে ভোর হতে হতে এসব ট্রাক সবজি নিয়ে দেশের অন্যান্য স্থানে চলে যাচ্ছে। কৃষকরা জানান, ১ একর জমিতে করলা আবাদ করে খরচ বাদ দিয়ে লাভ করেছেন প্রায় লাখ টাকার ওপর। অন্যান্য সবজির ক্ষেত্রে লাভবান হচ্ছে কৃষকরা।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, উত্তরাঞ্চলের ১৬ জেলায় রবি ও খরিপ মৌসুমে ১ লাখ ৮০ হাজার হেক্টর জমি থেকে প্রায় ৩৬ লাখ মেট্রিকটন করলা, ফুলকপি, বাঁধাকপি, লালশাক, পুই শাক, মুলা, টমেটো, কুমড়াসহ বিভিন্ন শাক সবজি শাকসবজি কৃষকদের ঘরে উঠেছে। প্রতি হেক্টরে গড় উৎপাদন হয়েছে ২০ মেট্রিক টন। প্রতি কেজি শাক সবজির কৃষক পর্যায়ে সর্ব নিম্ন ৩৫ টাকা কেজি হলে প্রতি মেট্রিক টন বিক্রি হয়েছে ৩৫ হাজার টাকায়। সেই হিসেবে দুই মৌসুমে ৩৬ লাখ মেট্রিক টন শাক সবজির মূল্য দাঁড়িয়েছে ১২ হাজার কোটি টাকার ওপর।
রংপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ পরিচালক ওবায়দুর রহমান মন্ডল বলেন, বিভিন্ন ধরণের সবজির প্রতি হেক্টরে গড় উৎপাদন ২০ দশমিক ৭ মেট্রিকটন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নির্দেশনা দিয়েছেন কোন জমি ফেলে রাখা যাবে না। তাই পতিত জমিতেও সবজি আবাদ হয়েছে। সরকার সবজি চাষিদের জন্য বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করায় উত্তরাঞ্চলের সবজি চাষিরা এই ভাল দাম পেয়েছেন। এছাড়া সরকারের পুষ্টি বাগান কর্মসূচির সবজিচাষে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে।



বিষয়:


বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাস
এই বিভাগের জনপ্রিয় খবর
Top