শিবগঞ্জে অসময়ে গাছে গাছে ঝুলছে কাঁচা-পাকা আম

রাজ টাইমস | প্রকাশিত: ১২ অক্টোবর ২০২৩ ০৯:৩০; আপডেট: ২৮ এপ্রিল ২০২৪ ২৩:২১

ছবি: সংগৃহীত

শিবগঞ্জে এখন বারো মাস পাওয়া যাচ্ছে আম। নতুন করে মুকুলও এসেছে গাছে। সরেজমিনে কয়েকটি বাগান ঘুরে দেখা গেছে অসময়ে সারি সারি গাছে কাটিমন জাতের থোকা থোকা কাঁচা-পাকা আম ঝুলছে। উপজেলা কৃষি অফিসের তথ্য মতে শিবগঞ্জ উপজেলায় ১০ হেক্টর জমিতে কাটিমন আম আছে।

শিবগঞ্জ পৌর সভার সেরাফত মৌজার মরদানা মাঠে আমচাষি এনামুল হকের আমবাগানে গাছে গাছে কাটিমন আম ঝুলছে। আম পরিচর্যায় শ্রমিকরা কাজ করছেন।

তিনি জানান, ২০১৬ সালে থাইল্যান্ড থেকে ৬ হাজার কাটিমন আমের ডোগা সংগ্রহ করে তার ছয় বিঘা আম বাগানের গাছে প্রতিস্থাপন করেন। পরের বছর ১৫মণ কাটিমন আম বিক্রি করেন।

তিনি বলেন, ‘প্রথম বছর খরচের অর্ধেক টাকা পেয়েছিলাম। ২০২০ সালে ৩০ বিঘা জমি বর্গা নিয়ে ২৫০ কাটিমন আম গাছ লাগাই। ২০২১ সালে প্রায় ২৭ লাখ টাকার কাটিমন আম বিক্রি করি। পরে এ ৩০ বিঘা জমিতে আরও ৩ হাজার কাটিমন আমের চারা লাগিয়েছি। সেগুলো থেকে কিছু কিছু আম পাচ্ছি। ২০২২ সালে আমার তিনটি কাটিমন আম বাগান থেকে প্রায় ৫০ লাখ টাকার আম বিক্রি করেছি। এ বছর শুধ্ ুএ বাগান থেকেই প্রায় ৪০ লাখ টাকার কাটিমন আম বিক্রি করেছি এবং আরও ২০ লাখ টাকার আম এখনো আছে, যা আরও এক মাস থাকবে। অন্য দুই বাগান থেকে প্রায় ২০ লাখ টাকা আম বিক্রি করেছি। তাছাড়া নতুন করে গাছে মুকুল এসেছে। এ আম শেষ হওয়ার পর আবারও নতুন আমের পরিচর্যা করতে হবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘সব মিলিয়ে আমার ৫০ বিঘা কাটিমন আমের বাগানে দৈনিক ৩৫০ টাকা হারে ৫০ জন লোক কাজ করে।’ শিবগঞ্জের ইসমাইল হোসেন শামীম খান, আওয়াল, শহিদুল ইসলাম, বাবুল অনেকের প্রায় ৭৫ বিঘা জমিতে এখনো কাটিমন আম আছে বলে কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে। তবে আয়কর ফাঁকি দিতে অনেকেই আম বাগান থেকে আয়ের ব্যাপারে মুখ খুলতে নারাজ।’ এ ব্যাপারে শিবগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শরিফুল ইসলাম জানান, দেশীয় জাতের আমের চেয়ে কাটিমনসহ বিভিন্ন নতুন প্রজাতির আম চাষে চাষিরা অধিক লাভবান হচ্ছেন।



বিষয়:


বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাস
এই বিভাগের জনপ্রিয় খবর
Top