সিংড়ায় বিনা চাষে সরিষা চাষে লাভবান কৃষক

রাজটাইমস ডেস্ক | প্রকাশিত: ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ০৭:৫৩; আপডেট: ১৭ মে ২০২৪ ১১:১১

ছবি: প্রতীকী

নাটোরের সিংড়ার চলনবিল অঞ্চলে বিনা চাষে সরিষা এবং রসুনের আবাদে আগ্রহ বাড়ছে কৃষকের। ফলে চাষের খরচ না থাকায় অল্প পুঁজিতে অধিক লাভবান হচ্ছেন কৃষক। এমনিতে বন্যা কবলিত এই অঞ্চলে সাধারণত দুবারের বেশি ফসল ফলানো যেত না। কিন্তু এখন বন্যার পানি নামার সঙ্গে সঙ্গে ধান কাটার আগেই জমির ‘জো’ বুঝে সরিষার বীজ বোনা শুরু করেন কৃষক। ফলে এই অঞ্চলে এখন বছরে একই জমিতে তিন ফসল উৎপাদন করা যাচ্ছে।

দেখা যায়, উপজেলার শেরকোল আগপাড়ায় মাঠের পর মাঠ সরিষার ক্ষেত। হলুদ ফুল থেকে ধীরে ধীরে সবুজ দানায় পরিণত হচ্ছে। এ পদ্ধতিতে প্রায় আড়াইশ একর জমিতে সরিষার চাষ হয়েছে। যদিও এ সময়ে চলনবিলের অন্য এলাকায় আগাম জাতের সরিষা মাড়াই শুরু হয়েছে। কিন্তু এখানকার সরিষা জাত (রাই সরিষা) দীর্ঘমেয়াদি হওয়ায় মাড়াই শুরু আরও ১৫ থেকে ২০ দিন সময় লাগবে বলে স্থানীয় কৃষকরা জানান।

এই এলাকার কয়েকজন চাষি জানান, বর্ষাকালীন স্বর্ণা ধান কাটার আগে অর্থাৎ কার্তিক মাসের ১৫ তারিখ থেকে ৩০ তারিখের মধ্যে মাটির ‘জো’ বুঝে আমরা বীজ বোনা শুরু করি। আর এই আবাদে প্রয়োজন হয় না কোনো ধরনের চাষ। প্রতি বিঘা জমিতে বীজ, সার, কীটনাশক ও শ্রমিকসহ মোট খরচ হয় মাত্র ৩ থেকে ৪ হাজার টাকা। বিঘাপ্রতি সরিষা উৎপাদান হয় কমপক্ষে ৭-৮ মণ। বাজার দর মোটামুটি থাকলেও ১৮-২০ হাজার টাকার সরিষা বিক্রি করা যায় বিঘাপ্রতি।

তারা আরও জানান, এতে সব খরচ বাদে লাভ থাকে কমপক্ষে ১৪-১৫ হাজার টাকা।

উপজেলা কৃষি অফিসার মো. সেলিম রেজা বলেন, চলতি মৌসুমে উপজেলায় ৩ হাজার ৮৫০ হেক্টর জমিতে সরিষার চাষ হয়েছে। এর মধ্যে শেরকোল আগপাড়ার মাঠেই প্রায় আড়াইশ একর জমিতে বিনা চাষে রাই জাতের সরিষার চাষ হয়েছে।



বিষয়:


বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাস
এই বিভাগের জনপ্রিয় খবর
Top