বাঙালির ঐতিহ্য নবান্ন উৎসবে মেতেছে রাবি শিক্ষার্থীরা

রাবি প্রতিনিধি | প্রকাশিত: ১৭ নভেম্বর ২০২২ ০৫:৪৪; আপডেট: ২৮ মার্চ ২০২৪ ১৯:১১

ছবি: সংগৃহীত

হেমন্তে কুয়াশার চাদর মোড়ানো সকাল আর হালকা শীত শীত সকালে কৃষাণীরা মেতে ওঠে ফসল কাটার উৎসবে।

আজ পহেলা অগ্রহায়ণ, ১৪২৯ বাঙালির চিরায়ত উৎসবের দিন, নবান্ন উৎসব। প্রতি বছরের ন্যায় এবারো রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) এগ্রোনমী এন্ড এগ্রিকালচারাল এক্সটেনশন বিভাগের উদ্যোগে বিপুল উৎসাহ-উদ্দীপনা, পিঠা খাওয়া, নাচ-গান-আনন্দ-উল্লাসের মধ্য দিয়ে ‘নবান্ন উৎসব-২০২২’ পালিত হয়েছে।

বুধবার (১৬ নভেম্বর) সকাল ১০টায় রঙিন বেলুন ও পায়রা উড়িয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. গোলাম সাব্বির সাত্তার আয়োজনটি উদ্বোধন করেন।

দিনটি উদযাপন উপলক্ষে বর্ণাঢ্য র‍্যালি , পিঠা উৎসব, ধান কাটা উৎসব, খেলাধুলা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও পুরস্কারের আয়োজন করা হয়।

এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্যদ্বয় অধ্যাপক ড. সুলতান-উল-ইসলাম ও অধ্যাপক ড. এম হুমায়ুন কবীর, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মো. অবায়দুর রহমান প্রামাণিক, প্রক্টর অধ্যাপক আসাবুল হক, কৃষি অনুষদের অধিকর্তা অধ্যাপক মো. আব্দুল আলিমসহ প্রায় শতাধিক শিক্ষার্থীবৃন্দ।

উদ্বোধন শেষে উপাচার্য বলেন, নবান্ন উৎসবের সঙ্গে মিশে আছে বাঙালির ঐতিহ্যবাহী সংস্কৃতি। অগ্রহায়ণের শুরুতেই এপার বাংলা ও ওপার বাংলাতে চলে উৎসবের নানা আয়োজন। নতুন ধান কাটা আর সেই ধানের প্রথম অন্ন খাওয়াকে কেন্দ্র করে পালিত হয় নবান্ন উৎসব। বাঙালির বারো মাসে তেরো পার্বণ। এ যেন সত্যি হৃদয়ের বন্ধনকে আরও গাঢ় করার উৎসব। বঙ্গবন্ধু কৃষি ও কৃষককে ভালোবাসতেন। সেই কৃষিকে এভাবে স্মরণ করে রাখতে সবাইকে সব সময় সচেষ্ট থাকার আহ্বান জানান তিনি।

কৃষি অনুষদের অধিকর্তা ও আয়োজক অধ্যাপক মো. আব্দুল আলিম বলেন, নবান্ন উৎসবের কোন নির্দিষ্ট তারিখ নেই। এটি ঋতুনির্ভর। আমরা প্রতিবছর ন্যায় এবারো নবান্ন উৎসব আয়োজন করেছি। আমাদের সকাল থেকে পিঠা উৎসব শুরু হয়েছে। বিকেলে আমাদের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হবে। আমরা বাংলার ঐতিহ্য ধরে রাখার চেষ্টা করছি। আমাদের এই কাজে বিশ্বিবদ্যালয়ের প্রশাসন সহযোগিতা করে চলেছে। ভবিষ্যতে এই ঐতিহ্যের ধারা অব্যাহত থাকবে।

উদ্বোধন অনুষ্ঠান শেষে মাথায় মাথাল ও হাতে কাঁচি নিয়ে এগ্রোনমি মাঠে ধান কাটা ও মেশিনে ধান ঝাড়েন উপাচার্য, উপ-উপাচার্যসহ অনুষ্ঠানের অতিথিবৃন্দ। তারপর বর্ণাঢ্য র‍্যালির আয়োজন করা হয়। কৃষি অনুষদসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে অনুষদের সামনে এসে র‍্যালিটি শেষ হয়। বিকেলে অনুষ্ঠিত হবে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান এবং বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান।



বিষয়:


বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাস
এই বিভাগের জনপ্রিয় খবর
Top