প্রাণের মিলনমেলায় আমরা রাবিয়ান

ড. মাহফুজুর রহমান আখন্দ | প্রকাশিত: ২৮ ডিসেম্বর ২০২২ ২৩:৩৩; আপডেট: ২৮ ডিসেম্বর ২০২২ ২৩:৫০

ছবি: সংগৃহিত

বন্ধুত্বের টানে ভালোবাসার গানে মিলিত হয়েছিলাম আমরা। আমরা মানে, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের মাস্টার্স ১৯৯৪ ব্যাচের বন্ধুরা। দীর্ঘকাল পেরিয়ে আবারো মতিহারের সবুজ চত্বরকে মুখরিত করেছিলাম।

সাংসারিক ব্যস্ততা, কর্মস্থলের পেরেশানী, বৈশ্বিক টানাপোড়েনকে ছুটি দিয়ে সকলেই ফিরে গিয়েছিলাম নব্বইয়ের উচ্ছ্বল যৌবনের তরঙ্গে। প্রায় তিন মাস আগে থেকেই একটা উৎসবের আমেজ তৈরির সূচনা হয়েছিলো। গ্রুেপে লেখালেখি। জুম মিটিং। ব্যক্তিগত যোগাযোগ। সবমিলিয়ে একটা হৈ-হুল্লোর বিষয়। সফলভাবে অনুষ্ঠানটি সমাপ্ত হওয়ায় মহান আল্লাহর প্রতি শুকরিয়া জানাই, আলহামদুলিল্লাহ।

২৪ ডিসেম্বর ২০২২ শনিবার দিনব্যাপী ছিলো মূল অনুষ্ঠান ‘তৃতীয় মিলনমেলা’। একদিনের অনুষ্ঠান হলেও দুই থেকে তিনটি দিন এই আমেজে কেটেছে। বন্ধুরা এসেছে আগের দিন। কেউ কেউ তারও আগে। বন্ধু মাসুদ-শিরীন জুটি সুদূর কুয়াকাটার গলাচিপা থেকে এসেছে দুদিন আগে। মাসুদ-শিরিন মানে আমাদের বন্ধু মেহেদী মাসুদ এবং শিরীন সুলতানা। আমাদের ম্যাসেঞ্জার গ্রুপে আওয়াজ তুলে রওনা দিয়েছিলো এই সুখি দম্পতি। তারপর থেকেই গ্রুপ সরগরম হয়ে ওঠে। সারাদেশের চারিদিক থেকে বন্ধুদের আগমন বার্তা আমাদের পুলকিত করে তোলে। গ্রুপের আহ্বায়ক বন্ধু মাসুদুর রহমান চুয়াডাঙ্গায় বসবাস করে ব্যস্ত জীবন কাটালেও হৃদয়-মন ফেলে রেখেছিলো রাজশাহীতে। আমাদের এই অনুষ্ঠানে। সদস্যসচিব বন্ধু জুলফিকার আলী ঠাকুরগাঁও পীরগঞ্জ-রাণীশংকৈল দৌঁড়াদৌড়ি করলেও হৃদয়ের উঠনে সারাক্ষণ অনুষ্ঠানের বাজনাই বাজিয়ে রেখেছিলো। তারাও সব ঝামেলা ফেলে ছুটে এসেছিলো আগের দিন শুক্রবারে।

শুক্রবার সকাল থেকেই ক্যাম্পাসে আসার হিড়িক। বিকেলটা শুরু হলো জমজমাট আড্ডার মধ্যদিয়ে। কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার চত্বরে সবাই জমায়েত হচ্ছে । হাঁটতে হাঁটতে আমিও সস্ত্রীক হাজির। শুরু হলো হৈ-হুল্লোর। ফটোক্লিক, সেলফি। সিয়ামুন চাইনিজ রেস্টুরেন্টে সাজ-সজ্জার কাজ শুরু করতে হবে। ডেকোরেটর থেকে ফোন। স্যার তাড়াতাড়ি আসেন। কি আর করার, সব ছেড়ে ভোঁ দৌড় দিলাম। মাসুদ-জুলফিকারও হাজির। সাজসজ্জার কাজ চলছে। ফাঁকে ফাঁকে বন্ধুদের ফোনের জবাব। মাগরিবের নামাজ শেষে একফাঁকে সবাই মিলে আবারো ক্যাম্পাসে চলে এলাম। টুকিটাকি চত্বরের পাশে সবুজের দোকানে গরম গরম সিঙ্গারার মজায় মাতাল হৈ চৈ। মনে হচ্ছে আবারো সেই নব্বইয়ের উত্তাল ঢেউ। বয়সের সীমারেখা কোথাও নেই আজ। নেই আজ কোনো পিছু টান। সিঙ্গারা আর চায়ের মধ্যে যেনো নতুন করে মজার সুঘ্রাণ।

মিসেস নাজমা আখন্দ। মানে আমার মিসেস। তিনিও যোগ দিয়েছিলেন সেই আড্ডায়। তার প্রাণেও সেই উচ্ছ্বস ঢেউ খেয়াল করেছি। আড্ডা থেকে ১২ জন গেস্টসমেত বাসায় ফিরলেন তিনি। আমরা কয়েকজন চলে গেলাম সিয়ামুন চাইনিজে। বাসায় রাতের খাবার সেরে বন্ধু আবু সাহেদ এবং শাহীনা সাদেকের পরিবার চলে গেলো হোটেলে। বান্ধবী মুকল, বিউটি এবং রুহানীরা সাতজন থাকলো বাসায়। অন্যরকম এক মজা। ওদের সঙ্গ পেয়ে আমার নাজমা আখন্দ বেশ খুশি। আমি বাসায় ফিরলে তৃপ্তির হাসি দিলেন তিনি।

রাতটা পার হলো অনেক টেনশন আর উত্তেজনার মধ্যদিয়ে। সকাল সকাল ভাঁপা পিঠা আর ডিম পোচ দিয়ে ভাঁজাভাত খেয়ে অনুষ্ঠানে ছুটলাম। রজনী গন্ধার স্টিক নিয়ে মাসুদ-জুলফিকার, মুনমুনসহ অনেকেই হাজির হয়ে গেছে ইতোমধ্যে। ফুলের শুভে”ছা দিয়ে সবাইকে স্বাগত জানানো হলো। আনোয়ারুল ইসলাম, মোহাম্মদ মুসা, আবিদা সুলতানা কুইন, শাহনাজ বেগম, গোলাম মোর্ত্তজা রাজু, সারওয়ার আলম, আবদুল মান্নান, হাফিজুর রহমান রাজু, শফিকুল ইসলাম চৌধুরী, জোমারত আলী, আবদুল্লাহ আল ফারুকী মামুন, রীনা আফরোজ, জায়েদা আক্তার ও রওশন জামিল বিপ্লব জুটি, আমেনা ফেরদৌসী সন্ধ্যা, এনামুল হক বিপ্লব, রকিবুল ইসলাম বিপ্লব, শহীদুল ইসলাম জিন্নাহ, শাহাদত হোসেন, শাহজাহান আলী, আবদুর রব, আবু দাউদ, মুনজুর রহমান, ফেরদৌসী ইয়াসমিন পপি, সেকেন্দার আলী, আবদুল্লাহ আল মামুন মাবদু, মনিরুল ইসলাম বাবু, এরশাদুল হক রানা, শহীদুল ইসলাম, সারোয়ার জাহান রানু, হাফিজুর রহমান রাজু, রেজাউল কিবরিয়া, গোলাম মাসুদ, রাইহানুল ইসলাম, মাহবুবুল হক মুকুট, তৌহিদ ইকবাল খান তুহিন, শরিফুল ইসলাম, হাসান উজ জামান, সামসুন্নাহার সীমা, রেহেনা মুলতানী, সেলিনা বিশ্বাস, আবুদর রব আরিফ, তহমিনা আক্তার, নাইনুন নাহার বিউটি, তোফাজ্জাল হোসেন তপু, আর্জিনা আকতার নীলুসহ বন্ধুদের কলকাকলিতে মুখরিত মুখরিত হয়ে উঠলো সিয়ামুন প্রাঙ্গণ। অনানুষ্ঠানিক আড্ডা চলতে চলতে নাস্তার টেবিলে বসা হলো। স্যান্ডোইস, দধিয়া সন্দেশ আর আপেলের স্বাদে আপ্যায়িত হলাম সবাই। সাথে লাল চা।

চায়ের ভাব উড়তেই শুরু হলো অনুষ্ঠানের কর্মসূচি। উপস্থাপক হিসেবে যথারীতি আমি মাহফুজুর রহমান আখন্দ এবং বন্ধু জুলফিকারের উপর দায়িত্ব অর্পিত হলো। পবিত্র কুরআন থেকে তিলাওয়াত করলো বন্ধু হাফেজ সাইফুদ্দীন বাচ্চু । তারপরেই হারানো বন্ধু এবং সন্তানদের স্মৃতিচারণ করে মুনাজাত। সে দায়িত্বটিও আমার কাঁধেই চাপলো। হারানো বন্ধুদের একে একে নাম উচ্চারণ করে কথা বলতেই সকলের চোখ অশ্রুতে টলোমলো হয়ে উঠলো। বন্ধু গোলাম রব্বানীর টকটকে ফর্সা চেহারার হাসিটা চোখের সামনে জ্বলজ্বল করে উঠলো। অর্কিড ছাত্রাবাসে আতিউর রহমান থাকতো। আড্ডার দিনগুলোর কথা স্মরণ হয়ে আমিও অন্যমনস্ক হয়ে পড়লাম। বন্ধু সোহরাব আলীর কথা উচ্চারণ করতেই অনুষ্ঠানে উপস্থিত রেহেনা আখতার বিউটির দিকে চোখ পড়লো।

দেখলাম তার চোখের পানির সাথে বুকের খাঁচাটাও ভেঙে যাচ্ছে । ২০১০ সাল থেকে সন্তানদের নিয়ে একাই সংগ্রামী জীবনের নেতৃত্ব দিয়ে যাচ্ছে সে। আমানুল্লাহ আমান ছিলো আমার পড়ালেখা জীবনের খুব সহযোগী বন্ধু। অল্পসময়ে হাজারো স্মৃতি তার সাথে। ক্যাম্পাস থেকে চলে যাবার পরেও যোগাযোগ ছিলো নিয়মিত। বেশ কিছুদিন তাকে পাচ্ছি না। ফোন বন্ধ। ফেসবুক আইডিতে ইনএকটিভ। অনুষ্ঠানের আগের দিন খাজা জিয়াউল হক জানালো বন্ধুটি মহান আল্লাহর সান্নিধ্যে চলে গেছে।

বুকের ভেতরটা কষ্টে নীল হেয় গেলো। বন্ধু জুয়েল, আইরিন নাহার মুনমুন, ফজলুল হক, মিজানুর রহমান, শিরিন, হারুন অর রশীদ মোল্লা সহ অনেকের কথাই চোখের সামনে ভেসে এলো। বিশেষ করে অল্প কিছুাদন আগে চলে যাওয়া বন্ধু এরশাদের কথা বলতেই অনেকেই ফুপিয়ে কাঁদতে শুরু করলো। এমন পরিবেশে দুআ পাঠ শেষে মুনাজাত শুরু করলাম। মুনাজাতে সকলেই হৃদয়ের সকল অনুভ‚তি ঢেলে দিলো মহান আল্লাহর দরবারে। আমি মুনাজাত শেষ করে চোখদুটো মুছে সামনে তাকিয়ে দেখি প্রত্যেক বন্ধুর চোখে পানি। অনেকের বুকে তখনো কান্নার কষ্টগুলো উকি দিয়ে বের হবার চেষ্টা করছে। অন্যরকম এক পরিবেশ তৈরি হলো। মনে হলো এটা কোন মিলনমেলা নয়, শোকসভা। বেশ কিছুক্ষণ ¯’বিরতার মধ্যেই কেটে গেলো। উপলব্ধি করলাম, বন্ধুদের ভালোবাসায় এ অশ্রুটুকুই সবচেয়ে বেশি দামি।

মুনাজাতের পরেই বন্ধু এরশাদের পরিবারের সদস্যগণ এলেন। দুই কন্যা এক ছেলে। সাথে আছেন মিসেস এরশাদ। তাদের পেয়ে পরিবেশটা আরো ভারি হয়ে উঠলো। ওদের পরিচয় করিয়ে দেয়া হলো। ওরা নাস্তার জন্য পাশের কক্ষে প্রবেশ করলে বন্ধুকল্যাণের বিষয়ে তৎপরতা বেড়ে গেলো। বন্ধু আবু সাহেদ এবং বিপ্লবুর রহমান বিপ্লব আগে থেকেই এ বিষয়ে কাজ করছিলো। আলহামদুলিল্লাহ, কিছুক্ষণের মধ্যেই এক লাখ পচিশ হাজার টাকার চেক এবং যাতায়াত বাবদ কিছু হ্যান্ডক্যাশ হস্তান্তার করা হলো। মনে হলো, এই মিলনমেলা স্বার্থকতার সুবাসে সুবাসিত হয়েছে।

বন্ধু মাসুদুর রহমানের স্বাগত বক্তব্য এবং মিলনমেলার কেক কাটার মধ্য দিয়ে আনুষ্ঠানিক কর্মকর্তা শুরু হলো। ইতোমধ্যে কলিজা সিঙ্গারা এবং কফির গন্ধ্যে মৌ মৌ করে উঠলো হলরুম। সকল বন্ধুর পরিচয়পর্ব পরিচালনার মধ্যদিয়ে অনুষ্ঠানের নতুন মাত্রা যোগ হলো। সকলের সামনে গিয়ে অনুষ্ঠান উপস্থাপনার পাশাপাশি প্রত্যেকের পরিচয় এবং আনুসাঙ্গিক কথাগুলো আমি নিজ হাতে ভিডিও ধারণ করলাম। প্রায় দেড়ঘন্টা চলমান এ পর্বে কথা বলতে গিয়ে অনেকেই আবেগে আপ্লুত হয়েছে। পরিচয়পর্ব শেষে কিছু পুরস্কারও হস্তান্তর করা হলো।

আগামী বছরের জন্য নতুন কমিটি ঘোষনা করা অনুষ্ঠানের একটি মৌলিক অংশ। সে কাজটিও আমার কাঁধেই চাপলো। একটা খসড়া দাঁড় করিয়ে উপস্থাপনার করা হলো বন্ধুদের সামনে। প্রস্তাবনাটি ছিলো, সভাপতি হিসেবে বন্ধু মাসুদুর রহমান, সহ-সভাপতি হিসেবে ড. মাহফুজুর রহমান আখন্দ, ড. আবু নোমান এবং ফেরদৌস সিরাজুম মুশফিকা মুনমুন, সাধারণ সম্পাদক হিসেবে জুলফিকার আলী, যুগ্মসাধারণ সম্পাদক হিসেবে তাহমিনা আফরোজা, আশরাফুন্নেছা কুইন, অর্থ সম্পাদক বিপ্লবুর রহমান বিপ্লব, যুগ্মঅর্থসম্পাদক সাইফুল ইসলাম, অফিস সম্পাদক আবু সাহেদ, অফিস সহ-সম্পাদক আবু মুসা, বন্ধুকল্যাণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম চাঁদ, বন্ধুকল্যাণ সহ-সম্পাদক সাইফুদ্দীন বাচ্চু, সাংস্কৃতিক সম্পাদক সোহেল আহম্মদ, সাংস্কৃতিক সহ-সম্পাদক আওরঙ্গজেব আকন্দ, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক মোশাররফ হোসেন, প্রচার ও প্রকাশনা সহ-সম্পাদক সিকান্দার আলী। হাউসের মতামত অনুযায়ী প্রস্তাবনায় একটু পরিবর্তন করে আবু নোমানকে সাধারণ সম্পাদক এবং জুলফিকার আলীকে সহ-সভাপতি হিসেবে নির্বাচিত করা হয়। আগামীতে আলোচনা সাপেক্ষে ১৩ সদস্য বিশিষ্ট নির্বাহী সদস্য মনোনীত করা হবে। এ কমিটি আগামী বছরের মিলনমেলাকে স্বার্থকভাবে আয়োজন করবে বলে ঘোষণা দেয়া হয়।

কমিটি ঘোষনার পরেই নামাজের বিরতি এবং কাজলা গেইট মসজিদের সালাতুল জোহর আদায় করা হয়। জোহরের পরেই দুপুরের আপ্যায়ন। খাশির গোশতসমেত কাচ্চি বিরিয়ানী, চিকেন ফ্রাই, ডিম, বোরহানী, ড্রিংস, দই দিয়ে সবাই আপ্যায়িত হলো। তারপরেই দ্বিতীয় অধিবেশন। নবনির্বাচিত সভাপতির শুভে”ছা বক্তব্যের পরেই সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান শুরু হয়। সোহেল আহম্মেদ, তাহমিনা আফরোজা এবং আবু নোমানের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে সাংস্কৃতিক পরিবেশনায় মাতিয়ে রাখেন তাহমিনা আফরোজার বর শওকত ভাই, বন্ধু আওরঙ্গজেব আকন্দ, শাহীনা সাদেকসহ বন্ধু-স্বজন। আমিও যথারীতি বিল্লুর মাছ মারার গানটি পরিবেশন করেছিলাম।

সন্ধ্যার পূর্বসময় থেকেই কোন কোন বন্ধুর বিদায় ঘন্টা বেজে যায়। অপরূপ দৃশ্যের ওয়ালমেট ও বিভিন্ন গিফট হ্যাম্পারসহ রাতের খাবারের প্যাকেট হাতে নিয়ে যখন সিঁড়ি ভেঙে নিচের দিকে পা পিচ্ছালো সকলের চোখেই ছিলো বিদায়ের বেদনা। রাত নয়টার পরেও চলেছে আড্ডা। প্রায় সকলেই বিদায় হলেও হিসেব-নিকেশ শেষ করতে বন্ধু মাসুদুর রহমান, জুলফিকার আলী, সাইফুদ্দীন বাচ্চু এবং আমি মাহফুজুর রহমান আখন্দ ছিলাম সিয়ামুনে। সব শেষ করে নিচে নেমে বন্ধু সাইফুল ইসলামের গাড়িতে আমাকে বাসায় পৌঁছে দেয়া হলো। অনুষ্ঠানের সমাপ্তি হলেও চোখের পাতায়, বুকের ভেতর সবসময় অনুষ্ঠানের অনুরণন প্রতিধ্বণিত হচ্ছে। আমি ক্যাম্পাসে হাঁটতে গিয়ে বারবার মিস করছি বন্ধুদের পায়ে শব্দ, মুখরিত প্রাণোচ্ছ্বল হাসির ঝিলিক, ভালোবাসার উষ্ণ সুবাস। সত্যি, বাস্তবতা বড়ই নির্মম।

[লেখক: কবি ও গবেষক; প্রফেসর, ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়।]



বিষয়:


বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাস
এই বিভাগের জনপ্রিয় খবর
Top