ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিতে
'ইউজ অব এ.আই টু স্মুদ ডেইলি লাইফ’ শিরোনামে এ.আই বা কৃত্তিম-বুদ্ধিমত্তা কর্মশালা অনুষ্ঠিত
নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ০৪:৪৪; আপডেট: ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ০৪:৪৫
ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিতে ‘ইউজ অব এ.আই টু স্মুদ ডেইলি লাইফ’ শিরোনামে এ.আই বা কৃত্তিম-বুদ্ধিমত্তা উপর কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
কৃত্তিম-বুদ্ধিমত্তা সম্পর্কে শিক্ষার্থীদের জ্ঞান বৃদ্ধি এবং কৃত্তিম-বুদ্ধি দ্বারা পরিচালিত সফটওয়্যার এর ব্যবহার সম্পর্কে শিক্ষার্থীদের জ্ঞান ও হাতে কলমে দক্ষতা উন্নয়নের লক্ষ্যে আজ ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির পর্যটন ও আতিথিয়েতা ব্যবস্থাপনা বিভাগের উদ্যেগে এক দিনব্যাপী কর্মশালাটি অনুষ্ঠিত হয়।
সেখানে শিক্ষার্থীদের মাঝে কৃত্তিম-বুদ্ধিমত্তা এবং এর ব্যবহার সম্পর্কে জ্ঞান দান ও প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়।
কর্মশালার প্রধান প্রশিক্ষকের ভূমিকায় উপস্থিত ছিলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের টি.এইচ.এম বিভাগের প্রভাষক মোহাম্মদ নুরুল আফসার। তিনি একজন ব্যক্তিগত আগ্রহে কৃত্তিম-বুদ্ধিমত্তা এবং এর দ্বারা পরিচালিত বিভিন্ন সফটওয়্যার সম্পর্কে পারদর্শী। অনুষ্ঠানে তিনি শিক্ষার্থীদের হাতে কলমে শিক্ষা দানের জন্য একটি পাঠ পরিকল্পনা তৈরী, তার উপরে প্রেজেন্টেশন স্লাইড এবং একই বিষয়ে ভিডিও তৈরী করে দেখান ।
এই আয়োজনে শিক্ষার্থীরা কৃত্তিম-বুদ্ধিমত্তা ব্যবহার করে লেখালেখি, পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশন, গবেষণা করা, ভিডিও তৈরী, ছবি এডিটিংসহ একাডেমি কাজে কিভাবে কৃত্তিম-বুদ্ধিমত্তা নিয়ন্ত্রিত সফটওয়্যার সাহায্য করছে তা সম্পর্কে বাস্তবিক ধারণা প্রদান করেন।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, সহযোগী অধ্যাপক মাহবুব পারভেজ। তিনি বলেন, কৃত্তিম-বুদ্ধিমত্তা বর্তমানে প্রচুর আলোচিত হয়েছে চ্যাটজিপিটি আসার পরে কিন্তু তার আগেও কৃত্তিম-বুদ্ধিমত্তার ব্যবহার ছিল। তবে তা ছিল অন্যন্ত নিয়ন্ত্রিত। যদিও আমরা বলছি কৃত্তিম-বুদ্ধিমত্তা তবে এই প্রযুক্তির পিছনের প্রধান চালিকা শক্তি হল মানব মস্তিষ্ক মানে একটি প্রাকৃতিক বুদ্ধিমত্তার মানুষ। তাই আমাদের জানতে হবে কৃত্তিম-বুদ্ধিমত্তার ভালো ব্যবহার আর কিভাবে আমাদের কাজে সাহায্য করবে তা সম্পর্কে। তবে আমাদের সচেতন থাকতে হবে কৃত্তিম-বুদ্ধিমত্তা এই সুবিধার অপব্যবহার বা বেআইনী কর্যক্রম থেকে।
পর্যটন ও আতিথিয়েতা ব্যবস্থাপনা বিভাগের প্রধান সহকারী অধ্যাপক সিদ্দিকুর রহমান বলেন, আমরা মোবাইলে যে অটোমেটিক বানান ঠিক করার এপ্লিকেশন ব্যবহার করি আর আমাদের অতিপরিচিত গুগল এসিস্ট্যান্ট এসবই আসলে কৃত্তিম-বুদ্ধিমত্তার দ্বারা পরিচালিত। আমাদের শির্ক্ষাথীদেরকে বর্তমান পৃথিবীতে টিকে থাকার জন্য শুধু বই পড়লেই আর বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিকের মধ্যে ঢুকে থাকলেই হবে না। তাদের জানতে হবে বর্তমান বিশ্ব এবং বর্তমান বিশ্বের প্রয়োজনীয় প্রযুক্তি সম্পর্কে। বিশ্ববাজারে প্রতিযোগিতা করার জন্য বাহ্যিক জ্ঞান আর দক্ষতা অর্জনের বিকল্প নেই। শির্ক্ষাথীদেরকে সময় উপযোগী জ্ঞান ও দক্ষতা প্রধানের লক্ষ্যে উনাদের এই আয়োজন।
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন, ড্যাফোডিল বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যারিয়ার ডেভেলপমেন্ট সেন্টার এর পরিচালক ড. তানভীর আবির, সহকারী অধ্যাপক ও গবেষণা সমন্বয়কারী মোসাঃ খাদিজাতুল কোবরা, এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যান্য শিক্ষক ও কর্মকর্তা, কর্মচারীবৃন্দ। কর্মশালায় অংশগ্রহণ করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের প্রায় ৭৫ জন শিক্ষার্থী। কর্মশালা শেষে তাদের সকলকে সম্মাননা সনদ প্রধান করা হয়।
বিষয়:
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: