রাবিতে ছাত্রলীগের সংঘর্ষ

দু'দিন পর প্রশাসনের উদ্বেগ প্রকাশ, বিবাদমান দুইপক্ষকে সংযত থাকার আহ্বান 

রাবি প্রতিনিধি : | প্রকাশিত: ১৩ মে ২০২৪ ২১:২৯; আপডেট: ১৩ মে ২০২৪ ২৩:২৭

- ছবি - ইন্টারনেট

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনাকে অপ্রীতিকর উল্লেখ করে ৪০ ঘণ্টা পর গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। পরিস্থিতি নিরসনে প্রশাসনের পক্ষ থেকে বিবাদমান শিক্ষার্থীদের সংযত থাকা ও পরস্পরের মধ্যে সদ্ভাব প্রতিষ্ঠার আহ্বান জানানো হয়।

আজ সোমবার বিকেল পৌনে ৫টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তরের প্রশাসক অধ্যাপক প্রণব কুমার পান্ডে স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়।

আজ দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ সিনেট ভবনে হল প্রাধ্যক্ষ ও আবাসিক শিক্ষকবৃন্দের সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের আলোচনায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

আলোচনায় উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সহউপাচার্য অধ্যাপক সুলতান-উল-ইসলাম ও অধ্যাপক হুমায়ুন কবীর, কোষাধ্যক্ষ অবায়দুর রহমান প্রামাণিক, রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক তারিকুল হাসান, প্রক্টর অধ্যাপক আসাবুল হকসহ প্রক্টরিয়াল বডি, ছাত্র-উপদেষ্টা অধ্যাপক জাহাঙ্গীর আলম সাউদ, জনসংযোগ দপ্তরের প্রশাসক প্রণব কুমার পান্ডেসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী হলে গত শনিবার রাতে দুই পক্ষ শিক্ষার্থীর মধ্যে সংঘটিত অপ্রীতিকর ঘটনার ফলে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে কর্তৃপক্ষ গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। অনাকাঙ্ক্ষিত এই ঘটনার ফলে উদ্ভূত পরিস্থিতি নিরসনে হল প্রাধ্যক্ষ ও আবাসিক শিক্ষকবৃন্দের সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের আলোচনা হয়।

সেখানে পরিস্থিতি নিরসনে প্রশাসনের পক্ষ থেকে বিবাদমান শিক্ষার্থীদের সংযত থাকা ও আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে পরস্পরের মধ্যে সদ্ভাব প্রতিষ্ঠার প্রতি গুরুত্বারোপ করা হয়। একইসঙ্গে হল প্রশাসনের তৎপরতা বৃদ্ধি করতে বলা হয়।

এছাড়া যেকোনো পরিস্থিতিতে হল প্রশাসনকে সার্বিক সহযোগিতার আশ্বাস প্রদান করা হয়।’

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘গতকাল রোববার বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সঙ্গে বিবাদমান শিক্ষার্থীদের সঙ্গে বৈঠক হয়। তাদেরকে আবাসিক হলসহ ক্যাম্পাসে শান্তি-শৃঙ্খলা ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে সম্প্রীতি বজায় রাখার বিষয়ে নির্দেশনা প্রদান করা হয়। শিক্ষার্থীবৃন্দ সে বিষয়ে সচেতন থাকাসহ সার্বিক সহযোগিতার আশ্বাস প্রদান করেন।’

প্রসঙ্গত, গত শনিবার রাত ১১টা থেকে রাত আড়াইটা পর্যন্ত ছাত্রলীগের দুই পক্ষের পাল্টাপাল্টি ধাওয়া, ইটপাটকেল নিক্ষেপ ও ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এ সময় এক পক্ষ অবস্থান নেয় বিশ্ববিদ্যালয়ের হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী হলে। অপর পক্ষ মাদার বখ্শ হলের দিকে অবস্থান নিয়ে এই হামলা চালায়।

সংঘর্ষে জড়ায় বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান বাবু এবং শাখা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী হলের সভাপতি নিয়াজ মোর্শেদের পক্ষ। তবে সংঘর্ষ চলাকালে শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আসাদুল্লা-হিল-গালিবের অনুসারীদের সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান বাবুর হয়ে হামলা চালাতে দেখা গেছে।




বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাস
এই বিভাগের জনপ্রিয় খবর
Top