‘ভারতীয় আগ্রাসনের মোকাবিলায় জিয়ার আদর্শ আজো মূল প্রেরণা হয়ে আছে’

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকদের এক আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন, ‘ভারতীয় আগ্রাসনের মোকাবিলায় জিয়ার আদর্শ আজো মূল প্রেরণা হয়ে আছে।’ তিনি বিস্ময়কর দূরদৃষ্টি নিয়ে দেশকে এগিয়ে নেন এবং ‘তলাবিহীন ঝুড়ি’র পরিচয় দূর করে সারা পৃথিবীর মাঝে মর্যাদার আসনে বাংলাদেশকে বসাতে সক্ষম হন।

শনিবার বিকেলে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ৪৩তম শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সিরাজী ভবনের ফোকলোর গ্যালারিতে "জাতীয় সংস্কৃতি ও শহীদ জিয়াউর রহমান" শীর্ষক এই আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

জাতীয়তাবাদী শিক্ষক ফেরাম, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়-এর উদ্যোগে আয়োজিত এ সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, কুষ্টিয়ার সাবেক ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর এম রফিকুল ইসলাম। প্রধান আলোচক ছিলেন ছিলেন বিশিষ্ট কবি, চিন্তাবিদ ও সাংবাদিক এবং বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা কবি আবদুল হাই শিকদার।

জাতীয়তাবাদী শিক্ষক ফেরামের সভাপতি প্রফেসর ড. মো. আব্দুল আলিমের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক প্রফেসর ড. মোহাম্মদ আমীরুল ইসলামের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত এ সভায় আরো বক্তব্য রাখেন, রাবির সাবেক ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর মামনুনুল কেরামত, প্রফেসর ড. কে বি এম মাহবুবুর রহমান, প্রফেসর ড. সিএম মোস্তফা, প্রফেসর মোহা. এনামুল হক, প্রফেসর ড. হাবীবুর রহমান প্রমুখ। প্রধান আলোচকের বক্তব্যে কবি আবদুল হাই শিকদার বলেন, আমাদের সাংস্কৃতিক যাবতীয় অর্জনের মূলে শহীদ জিয়ার অবদান অনস্বীকার্য। তাঁর মতো করে এ ব্যাপারে এত গভীরভাবে কেউ ভাবেনি।

তাঁর বাস্তবোচিত কর্মকাণ্ডের ফলে এদেশের সাংস্কৃতিক জগতে অভূতপূর্ব জাগরণ শুরু হয়েছিল। একুশে পদক, স্বাধীনতা পদকসহ নানা অর্জনের রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতির ব্যবস্থা তিনিই করেছিলেন। সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিষ্ঠাতা তিনিই ছিলেন। আজকের বাংলাদেশ যে জঘন্য সাংস্কৃতিক আগ্রাসনের শিকার এর পেছনে রয়েছে জিয়াউর রহমানের অনুসৃত স্বাতন্ত্র সাংস্কৃতিক বিনির্মানের কর্মসূচি থেকে সরে আসা।

অনুষ্ঠানে বক্তাগণ বলেন, ভারতীয় আগ্রাসনের মোকাবিলায় আজো জিয়াউর রহমানের আদর্শ আমাদের মূল প্রেরণা হয়ে আছে। জিয়াউর রহমান এদেশের আধুনিকায়নের মূল কারিগর। তিনি বিস্ময়কর দূরদৃষ্টি নিয়ে দেশকে এগিয়ে নেন এবং ‘তলাবিহীন ঝুড়ি’র পরিচয় দূর করে সারা পৃথিবীর মাঝে মর্যাদার আসনে বাংলাদেশকে বসাতে সক্ষম হন।