শিক্ষকের উদ্যোগে রাবি ক্যাম্পাসের ময়লা আবর্জনা পরিষ্কার করলেন শিক্ষার্থীরা

রাবি প্রতিনিধি | প্রকাশিত: ১৯ আগস্ট ২০২৪ ২০:৫২; আপডেট: ১৮ মার্চ ২০২৫ ০৯:১৮

ছবি: সংগৃহীত

চলমান পরিস্থিতিতে প্রায় ১মাস ক্যাম্পাস বন্ধ থাকার পর গত রোববার থেকে শিক্ষার্থীরা হলে আসতে শুরু করেছে। এদিকে ফিশারিজ বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহা. ইয়ামিন হোসেন

এর উদ্যোগে ক্যাম্পাস পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন অভিযান কর্মসূচি পালন করেছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) শিক্ষার্থীরা।

সোমবার (১৯ আগস্ট) সকাল ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন ভবনের সামনে থেকে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন কর্মসূচি কাজ শুরু করেন শিক্ষার্থীরা। এছাড়াও ক্যাম্পাস পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে দোকানিদের সচেতন হওয়ার আহবান জানান তারা।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা প্লাস্টিকের প্যাকেট হাতে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার কাজ করছেন। তারা মূলত পড়ে থাকা কাগজ ও খাবারের প্যাকেট তুলে নির্দিষ্ট ব্যাগে রাখছেন।

এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন মার্কেট, রবীন্দ্র ভবন, ইসমাঈল হোসেন সিরাজী ভবন, আম বাগান, বুদ্ধিজীবী চত্বর, ক্যাম্পাসের লাইব্রেরী চত্বর, ওয়াজেদ মিয়া একাডেমিক ভবন, টুকিটাকি চত্বর, কৃষি অনুষদসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন রাস্তায় পড়ে থাকা ময়লা আবর্জনা পরিষ্কার করতে দেখা যায় তাদের।

পরিচ্ছন্ন অভিযানে অংশ নেন এম এ তাহের রহমান নামের এক শিক্ষার্থী। তিনি বলেন, চলমান আন্দোলনের কারণে আমাদের ক্যাম্পাস অনেকদিন বন্ধ ছিল। ফলে ক্যাম্পাস এখন ময়লা আবর্জনায় নোংরা হয়ে আছে। বাংলাদেশ স্বৈরাচার মুক্ত হওয়ার পর থেকে যেহেতু ছাত্ররা দেশকে নতুনভাবে সাজাচ্ছে তারই অংশ হিসেবে আমাদের এ পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন অভিযান। এ ক্যাম্পাস আমাদের ফলে ক্যাম্পাসকে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখাও কিন্তু আমাদের নৈতিক দায়িত্ব। আমরা সকাল থেকে পরিচ্ছন্ন অভিযানে নেমেছি। আজকের মধ্যেই পুরো ক্যাম্পাসের ময়লা আবর্জনা পরিষ্কার করবো।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ফিশারিজ বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহা. ইয়ামিন হোসেন বলেন, গত ৫ আগস্টের পর থেকে নতুন একটি বাংলাদেশের সূচনা হলো। আমরা চাই এই নতুনত্ব বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিটি জায়গায় ছড়িয়ে পড়ুক। তারই পরিপ্রেক্ষিতে বিশ্ববিদ্যালয় জোহা চত্বর থেকে আমরা এই পরিচ্ছন্ন অভিযান শুরু করেছি। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিটি জায়গায় আমরা এ অভিযান চালাবো।

বিশ্ববিদ্যালয় সকল ছাত্রছাত্রী, শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারী ও ব্যাবসায়ীদের উদ্দেশ্য তিনি বলেন, আপনার ময়লা-আবর্জনা নির্দিষ্ট একটি অবস্থানে ফেলবেন। যাতে করে আমাদের ক্যাম্পাসটা সবসময় পরিষ্কার থাকে। সেই সাথে আমরা যেন সুন্দর একটি বাংলাদেশ গড়ে তুলতে পারি সকলের প্রতি সেই আহবান রইল।

ক্যাম্পাসে অবস্থানরত দোকানিদের সতর্ক করে এ শিক্ষক বলেন, দোকানের আশেপাশে প্লাস্টিক, পলিথিনের ময়লা-আবর্জনা জমিয়ে রাখা যাবে না। ময়লা আবর্জনা সবসময় জুড়িতে রাখতে হবে এবং ময়লা বেশি হলে নির্দিষ্ট স্থানে আসতে হবে।

এসময় পরিচ্ছন্ন অভিযানে উপস্থিত ছিলেন ফোকলোর বিভাগের শিক্ষক ড. আমীরুল ইসলাম কনক, আরবি বিভাগের ড. মো. মতিউর রহমানসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রায় শতাধিক শিক্ষার্থী।



বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাস
এই বিভাগের জনপ্রিয় খবর
Top