এক দফার আন্দোলনে উত্তাল রাজশাহী

নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ৪ আগস্ট ২০২৪ ১৯:০৪; আপডেট: ৪ আগস্ট ২০২৪ ১৯:০৪

সংগ্রহীত

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকে সাড়া দিয়ে অসহযোগে আন্দোলন ও সরকারের পদত্যাগের এক-দফা দাবিতে ডাকা অসহযোগ আন্দোলনে উত্তাল রাজশাহী। বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আন্দোলনে অংশ নিচ্ছেন বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-শিক্ষার্থী, অভিভাবকসহ সর্বস্তরের জনগণ। রোববার রাজশাহী প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে এ আন্দোলন শুরু হয়।

রবিবার (৪ আগস্ট) বেলা ১১টা থেকে সরকার পতনের একদফা দাবিতে বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে ওঠে রাজশাহী। আন্দোলনকারীরা বলেন, সরকার পদত্যাগ না করা পর্যন্ত অসহযোগ আন্দোলন চলবে। এই সরকারের পতন করেই আমরা ঘরে ফিরবো।

 এদিন বেলা সাড়ে ১০টার দিকে রাজশাহী নগরীর বিভিন্ন এলাকা থেকে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে সামনে জড়ো হন আন্দোলনকারীরা। এতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকা অসহযোগ আন্দোলনে সংহতি জানিয়ে অংশ নেন রাজশাহীর বিভিন্ন স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। এছাড়াও অভিভাবকসহ নানা শ্রেণির জনগণ সংহতি জানিয়ে আন্দোলন করছেন।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক সালাউদ্দিন আম্মার বলেন, দাবি একটাই হাসিনার পদত্যাগ। এ আন্দোলন চলবে। 

কর্মসূচিতে ‘আমার ভাই মরলো কেন, শেখ হাসিনা জবাব দে’; ‘এক দফা এক দাবি, শেখ হাসিনা কখন যাবি’; ‘আওয়ামী লীগের চামড়া, তুলে নেবো আমরা’; ‘হইহই রইরই, ছাত্রলীগ গেলি কই’; ‘দিয়েছি তো রক্ত, আরো দেবো রক্ত’; ‘আমার ভাইয়ের রক্ত বৃথা যেতে দেবো না’; ‘লেগেছে রে লেগেছে, রক্তে আগুন লেগেছে’সহ সরকারবিরোধী বিভিন্ন স্লোগান দিচ্ছেন আন্দোলনকারীরা।

সরেজমিন দেখা যায়, রবিবার সকাল সাড়ে ১০টা থেকে রুয়েট গেটের সামনে জড়ো হতে থাকেন আন্দোলনকারীরা। রাজশাহীর বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি শিক্ষক, অভিভাবকসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ আন্দোলনে যোগ দিয়েছেন। তাদের অনেকের হাতে লাঠি আর মাথায় পতাকা বাঁধা। এ ছাড়া আন্দোলনে কাফনের কাপড় পরে স্লোগান দিচ্ছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সহ-সমন্বয়ক সালাহউদ্দিন আম্মার।

কর্মসূচিতে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক সালেহ্ হাসান নকীব বলেন, ‘আজকের আন্দোলনে যারা সমবেত হয়েছেন তোমরা সবাই আমার সন্তান। তোমরা সবাই এ প্রজন্মের মুক্তিযোদ্ধা। তোমাদের সাহস, ন্যায়বোধ আমাদের মুগ্ধ করে। তোমরা এ দেশের বুড়োদের তুলনায় অনেক কিছুতে অগ্রসর। তোমরা আজকে একটা নতুন বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখাচ্ছ। এই বাংলাদেশ আমাদের আগের বাংলাদেশের মতো নয়। এই বাংলাদেশে সুবিচার থাকবে, ন্যায় বিচার থাকবে, মানুষের অধিকার থাকবে। তোমরা সেই সুবিচারের পক্ষের শক্তি। তোমরা মনে রাখবা, বিজয়ীর বাপের অভাব থাকে না, কিন্তু পরাজয়ীর কোনও বাপ থাকে না। তোমরা তোমাদের অভীষ্ট লক্ষ্যের যতই কাছাকাছি যাবে, তোমাদের ততই শক্তিশালী, সংযত হতে হবে এবং একইসঙ্গে সতর্ক হতে হবে। কারণ এই দেশে ধান্ধাবাজ শ্রেণির অভাব নেই। উড়ে এসে জুড়ে বসে তোমাদের ন্যায়পরায়ণতার মধ্যে যেন কেউ ভেজাল না ঢুকাতে পারে।’

 



বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাস
এই বিভাগের জনপ্রিয় খবর
Top