পুঠিয়াতে যাত্রীছাউনির অভাবে জনগদুর্ভোগ চরমে

মাজেদুর রহমান মাজদার, পুঠিয়া | প্রকাশিত: ৩ অক্টোবর ২০২০ ০০:৪২; আপডেট: ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১৫:৩১

পুঠিয়ায় উপজেলার ঢাকা-রাজশাহী মহাসড়কে সদরের ত্রিমোহনী বাসস্ট্যান্ডে যাত্রী ছাউনি না থাকায় দুর্ভোগে পড়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। বিশেষত শতাধীক যাত্রী দিনে-রাতে চলাচলের সময় এ দুর্ভের স্বীকার হচ্ছেন।
স্থানীয়রা জানান, উপজেলা পরিষদের উদ্যোগে ৯০ দশকের দিকে ঢাকা-রাজশাহী মহাসড়কে উপজেলা সদরের ত্রিমোহনী বাসস্ট্যান্ডে একটি যাত্রী ছাউনি নির্মান করা হয়। পরে যাত্রী ছাউনিটি উপজেলা পরিষদ বিলুপ্ত ঘোষণা করে ভেঙ্গে ফেলে। উপজেলার সদর থেকে প্রতিদিন শত শত মানুষ দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা যাওয়া করে। যাত্রী ছাউনি না থাকায় তাদের ঝড়বৃষ্টি রোদের মাঝে কষ্ট করে মহাসড়কে যাতায়াত করতে হচ্ছে। এছাড়াও উপজেলা সদরের সরকারী অফিস, বিভিন্ন ব্যাংক, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, স্কুল কলেজের শিক্ষাথীরাসহ সরকারী বেসরকারী বিভিন্ন অফিসে যাতায়তের জন্য উপজেলা সদরের বাসস্ট্যান্ডে বিভিন্ন গণপরিবহনের জন্য অপেক্ষা করতে হয়।

প্রচন্ড তাপদাহে ও ঝড় বৃষ্টিতে বাসস্ট্যান্ডে যাত্রী ছাউনি না থাকায় জনসাধারণসহ শিক্ষার্থীদের পড়তে হয় চরম ভোগান্তিতে। বাধ্য হয়েই তারা স্থানীয় বিভিন্ন মার্কেটে বা দোকানের বারান্দায় অবস্থান করে।
পুঠিয়া ত্রিমোহনী বাসস্ট্যান্ডে সকাল হতে গভীর রাত পর্যন্ত ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে যাত্রীরা আসা যাওয়া করে থাকেন। উপজেলার সদর দিয়ে বাগমারা, তাহেরপুর, চারঘাট, বাঘা ও বাগাতিপারা উপজেলায় প্রবেশ সহজতর হওয়ায় এসব উপজেলার মানুষেরা পুঠিয়া উপজেলা যাতায়াত করে থাকেন। এসব উপজেলার মানুষেরা দেশের বিভিন্ন এলাকা হতে গভীর রাতে পুঠিয়া বাসসট্যান্ডে যাত্রাবিরতী করে থাকেন। গণপরিবহ না পেয়ে বাধ্য হয়ে যাত্রীদের সারারাত সকাল হওয়ার অপেক্ষায় বসে থাকতে হয়। বাগমারা উপজেলার শমসের রহমান বলেন, ব্যাবসার জন্য মাসে দুই থেকে তিনবার ঢাকায় মালামাল আনা নেওয়ার জন্য যাতায়াত করতে হয়।

ঢাকা থেকে আসার পর রাতে পুঠিয়াতে কোনো গাড়ি পাওয়া যায় না। তাই সারা রাত বাজারের নৈশ্য প্রহরীদের সঙ্গে আড্ডা দিয়ে রাত পার করতে হয়। বাসমাষ্টার এবং বাসকাউন্টারের মালিকরা বলেন, স্থানীয় রাজনৈতিক নেতা এবং উপজেলা প্রশাসনকে যাত্রী ছাউনির ব্যাপারে একাধিকবার বলা হয়েছে। তারা শুধু প্রতিশ্রুতি দিয়ে থাকেন কিন্তু দীর্ঘদিন পার হলেও যাত্রী ছাউনি হয়নি।

আন্দালীব/04



বিষয়:


বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাস
এই বিভাগের জনপ্রিয় খবর
Top