বন্যার্তদের ত্রাণের চিড়া বাজারে

রাজ টাইমস ডেস্ক : | প্রকাশিত: ১ নভেম্বর ২০২২ ০২:৫২; আপডেট: ২০ এপ্রিল ২০২৫ ২১:২৩

ছবি: সংগৃহিত

নেত্রকোনার খালিয়াজুরীতে গেল মৌসুমে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত ও দুস্থদের সাহায্যার্থে বিতরণের চিড়া বাজারে বিক্রির অভিযোগ উঠেছে প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) রাজীব আহম্মেদের বিরুদ্ধে। তারই গুদামে রক্ষিত ত্রাণের ২০ বস্তা চিড়া দুটি অটো রিকশাযোগে খালিয়াজুরী বাজারের স্বর্ণা স্টোরে প্রেরণ করেন। দোকানের সামনে বস্তা নামানোর সময়ে ২০ বস্তা চিড়ার চালান ধরে ফেলেন স্থানীয়রা।

সোমবার (৩১ অক্টোবর) দুপুরের দিকে প্রতিবেদককে দেওয়া পিআইও (উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা) এর বক্তব্যের সঙ্গে গত রোববার সন্ধ্যায় স্থানীয়দের তাৎক্ষণিক ফোন রেকর্ডের বক্তব্যের সাথে গড়মিল পাওয়া গেছে।

সন্ধ্যার দিকে উপজেলা পিআইও অফিসের গুদাম থেকে চিড়ার বস্তা বাজারে নিয়ে যেতে দেখেন রাজু মিয়া নামে এক প্রত্যক্ষদর্শী। পরে জানাজানি হলে বাজারে স্বর্ণা স্টোরে মজুদ করতে দেখেন স্থানীয়রা।

খালিয়াজুরী বাজারের স্বর্ণা স্টোরের স্বত্তাধিকারী সুভাষ সরকার প্রতিবেদকে বলেন, গেল বন্যায় সরবরাহ করা হয়েছিল। ২০ বস্তা চিড়া নষ্ট থাকায় কর্তৃপক্ষ ফেরত দিয়েছে। দোকানে জায়গা না থাকায় পিআইও অফিসের গুদামে রাখা হয়েছিল। সেখান থেকে নিয়ে আসা হয়েছে।

প্রত্যক্ষদর্শী রাজু মিয়াসহ স্থানীয়রা জানায়, বন্যা হয়েছে তিন মাস আগে। ব্যবসায়ীর চিড়া কেন পিআইও গুদামে থাকবে। তাছাড়া দুস্থদের বিতরণের জন্য যে ধরনের প্যাকেট করা হয়, সে ধরনের প্যাকেটও রয়েছে কয়েকটি বস্তার ভেতরে। বন্যার সময় বন্যার্তদের মাঝে বিতরণ শেষ করে ফেলার নিয়ম থাকলেও কেন এতদিন ত্রাণের গুদামে ছিল। দীর্ঘদিন পর আবার কেন পিআইও অফিসের গুদাম থেকে চিড়ার বস্তাগুলো ব্যবসায়ীর দোকানে আনা হলো- এমন প্রশ্ন এলাকাবাসীর।

খালিয়াজুরী বাজারের ব্যবসায়ী গোবিন্দ সরকার জানান, ত্রাণের ২০ বস্তা চিড়া নিয়ে আসলে এনিয়ে বাজারে হট্টগোল সৃষ্টি হয়। কেউ বলছে বিক্রির জন্য, আবার কেউ বলছে কিনে এনেছে। চিড়াগুলো অনেক আগের। রিলিফের প্যাকেটও আছে বস্তার ভেতরে।

পিআইও রাজীব আহম্মেদকে রোববার রাতে কয়েকবার ফোন ও ক্ষুদেবার্তা পাঠানো হয়। তিনি ফোন ধরেননি। পরে সোমবার একাধিকবার ফোন দেওয়া হলেও তিনি ধরেননি। তবে তিনি ঘটনার দিন সন্ধ্যায় স্থানীয়দেরকে ফোনে (রেকর্ডকৃত) বলেছিলেন, ‘চিড়াগুলো রাখছি নষ্ট হয়ে গেছে। বন্যার সময় এগুলো এনেছি তা ঠিক আছে। কাজে না লাগায় আমি নেবো না- তাই ফেরত দিয়েছি।

খালিয়াজুরীর ইউএনও রুয়েল সাংমার কাছে এবিষয়ে জানতে ফোন দেওয়া হলে তিনি বলেন, পিআইও সাহেব আমার সামনে আছে তার সাথেই কথা বলেন বলে ফোন পিআইওকে দেন।

এসময় রাজীব আহম্মেদ জানান, এগুলো আমাদের না। ত্রাণের কোন পণ্য নেই। ত্রাণ বিতরণের জন্য যেমন প্যাকেট হয় বস্তার ভেতরে সে ধরনের প্যাকেট দেখতে পান প্রতক্ষ্যদর্শী ও স্থানীয়রা প্রতিবেদকের এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘যারা বলছে ভুল বলেছে। তারা সঠিক বলেননি।

এনএ




বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাস
এই বিভাগের জনপ্রিয় খবর
Top