ছাগলের চামড়া ১০॥ গরুর ২’শ টাকা

রাজশাহীতে ক্রেতার অভাবে পুঁতে ফেলা হয়েছে চামড়া

নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ১ জুলাই ২০২৩ ২৩:৪৩; আপডেট: ১ জুলাই ২০২৩ ২৩:৪৪

সংগ্রহীত

রাজশাহীতে ক্রেতার অভাবে পুঁতে ফেলা হয়েছে পশুর চামড়া। কোরবানির পরেও অনেকের বাড়িতেই পড়ে থাকে চামড়া। আবার আবার কোনো এলাকায় ক্রেতা পাওয়া গেলেও দাম একেবারেই কম। খাশির চামড়া ১০-২০ টাকা করে এবং গরুর দু’শ টাকা দরে বিক্রী হয়েছে।

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের প্রাপ্ত তথ্য মতে, রাজশাহী বিভাগে এবার কোরবানি হয়েছে ১০ লাখ ২৪ হাজার ৫৬৯ টি গবাদিপশু। এর মধ্যে ৭ লাখ ১১ হাজার গরু, ৯ হাজার ৪৬৯ টি মহিষ, ১২ লাখ ৩১টি হাজার ছাগল ও ১ লাখ ৮১টি হাজার ভেড়া রয়েছে। তবে রাজশাহী নগরীতে কোরবানীকৃত গবাদিপশুর চামড়ার ক্রেতা না থাকার জন্য অনেক চামড়া অবিকৃত অবস্থায় থেকে যায়। যার কারণে বিকাকে পড়েন কুরবানীদাতারা। গরুর চামড়া কিনতে কিছু এলাকায় সকালে ক্রেতারা ঘুরলেও বেলা বাড়ার পর আর তেমন দেখা মেলেনি তাদের। বেলা ১২টা পর্যন্ত যে গরুর চামড়া ৮০০ টাকা দাম বলেন ক্রেতারা, দুপুর একটার পরে তার দাম নেমে যায় ২’শ থেকে ৩’শ টাকায়। এসময় ত্রেতাদেও অনেকেই খাসির চামড়া নিতে চায়নি। যার কারণে অনেকেই বিক্রি না করে মাটিতে পুঁতে দিয়েছেন ছাগলের চামড়া।

এদিকে রাজশাহীর বাঘা উপজেলায় ১০ টাকা দরে ছাগলের চামড়া বিক্রি হয়েছে। বৃহস্পতিবার ঈদুল আজহার দিন দুপুরে কুরবানির পশুর চামড়া ফড়িয়ারা গ্রামে ঘুরে কিনতে দেখা দেখা যায়। আড়ানী গোচর গ্রামের ফড়িয়ার চামড়া ব্যবসায়ী আরিফুর রহমান বলেন, চাহিদা না থাকায় ছাগলের একটি চামড়া ১০ টাকা দরে ক্রয় করছি। এ দামে কিনে নিয়ে স্থানীয় আড়তে বিক্রি করব। পরিবহণ খরচ বাদ দিয়ে একটি ছাগলের চামড়াতে ১-২ টাকা লাভের আশা করছি।

আড়ানী গোচর গ্রামের সমাজ প্রধান আকরাম আলী বলেন, চামড়ার কোনো চাহিদা নেই। কুরবানির পশুর চামড়া কেউ কিনতে চাচ্ছিলেন না। অবশেষে স্থানীয় একজন ফড়িয়ার এসে খাসির চামড়া প্রতি পিচ ৩০ টাকা আর ছাগলের চামড়া ১০ টাকা দরে বিক্রি করেছি। আড়ানী চকরপাড়া গ্রামের সমাজ প্রধান রুবেল আহম্মেদ বলেন, ছাগলের চামড়া ১০ টাকা, খাসির চামড়া ২০ টাকা এবং ৩-৪ মণ ওজনের গরুর চামড়া ৫০০-৫৫০ টাকায় প্রতি পিচ গড় বিক্রি করা হয়েছে।



বিষয়:


বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাস
এই বিভাগের জনপ্রিয় খবর
Top