ইউরেনিয়াম আসছে রূপপুরে

পাবনা-ঢাকা রুটে সব ধরনের গাড়ি বন্ধ

রাজ টাইমস | প্রকাশিত: ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ০৯:৩০; আপডেট: ২১ এপ্রিল ২০২৫ ১২:২৫

ঢাকা থেকে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে ফ্রেশ নিউক্লিয়ার ফুয়েলের বা (ইউরেনিয়াম) পরিবহনের প্রথম চালান আসছে। তাই বিশেষ নিরাপত্তাবলয় নিশ্চিত করতে পাবনা-ঢাকা রুটে সব ধরনের পরিবহন চলাচল বন্ধ আছে। শুক্রবার (২৯ সেপ্টেম্বর) ভোর থেকে এ রুটে কোনো পরিবহন চলছে না।

পাবনার পুলিশ সুপার আকবর আলী মুন্সী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। ইউরেনিয়াম প্রকল্প এলাকায় পৌঁছালেই পরিবহন চলাচল শুরু হবে বলে জানান তিনি।

রূপপুর প্রকল্পের একটি সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার দুপুরে একটি বিশেষ উড়োজাহাজে করে রাশিয়া থেকে ইউরেনিয়াম ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছায়।

আকবর আলী মুন্সী বলেন, বিশেষ নিরাপত্তাবলয়ে সড়কপথে এ ইউরেনিয়াম আসবে। শুক্রবার ভোর ৫টা থেকে পাবনা-ঢাকা পথে বাস চলাচল বন্ধ আছে।

তিনি আরও বলেন, পাবনা-ঢাকা রুটের বঙ্গবন্ধু সেতুপথে প্রচণ্ড যানজট হয়। ফলে ইউরেনিয়াম বহনকারী যানবাহন আসতে সমস্যা হতে পারে। এ কারণেই সড়কটি যানজটমুক্ত রাখতে শুক্রবার ভোর ৫টা থেকে বাস চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে। তবে ইউরেনিয়াম প্রকল্প এলাকায় পৌঁছালেই বাস চলাচল শুরু হবে। বিকল্প হিসেবে পাবনার কাজীরহাট ফেরিঘাট থেকে আরিচা হয়ে ঢাকায় চলাচল করা যাচ্ছে।

পরিবহন মালিক ও শ্রমিকরা জানান, শুক্রবার সকাল থেকে বঙ্গবন্ধু সেতু হয়ে ঢাকাগামী দূরপাল্লার সব বাস বন্ধ আছে। পাবনা থেকে ঢাকাগামী প্রতিটি গাড়ির টিকিট বিক্রি বৃহস্পতিবার থেকেই বন্ধ ছিল। পরবর্তী সিদ্ধান্ত না পাওয়া পর্যন্ত মালিকপক্ষ বাস চলাচল বন্ধ রাখবে।

ঢাকাগামী অনেক যাত্রী বৃহস্পতিবার বিকেলে বা রাতে কাউন্টারে গিয়ে জানতে পারেন শুক্রবার পরিবহন বন্ধ থাকবে। এতে অনেকেই সমস্যায় পড়েছেন। এমনই একজন সাঁথিয়ার কোনাবাড়িয়া মহল্লার বাসিন্দা মানিক মিয়া রান। তিনি জানান, তার মেয়ে ঢাকা ড্যাফোডিল ইউনিভার্সিটিতে পড়াশোনা করেন। কয়েকদিন আগে বাড়ি এসেছিলেন তিনি। শনিবার তার পরীক্ষা।

মানিক মিয়া বলেন, ঢাকাগামী বাস কাউন্টারে শুক্রবারের টিকিট সংগ্রহ করতে গিয়ে বৃহস্পতিবার রাতে জানতে পারি, গাড়ি চলাচল বন্ধ থাকবে। বিষয়টি কয়েকদিন আগে ঘোষণা করা উচিত ছিল। এতে যাত্রীদেরে ভোগান্তি কম হতো।

পাবনা জেলা মোটর মালিক গ্রুপের সভাপতি কাফি সরকার ৫বলেন, প্রশাসনের নির্দেশে বাসের টিকিট বিক্রি বন্ধ। পরবর্তী নির্দেশ পেলে বাস চলাচল শুরু হবে।

দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় একক প্রকল্প রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র। এ কেন্দ্র নির্মাণ প্রকল্পের খরচ নির্ধারণ হয়েছে ১ লাখ ১৩ হাজার কোটি টাকারও বেশি। আর্থিক বিবেচনায় এটি দেশের সবচেয়ে বড় প্রকল্প। সিংহভাগ খরচ (৯০ হাজার কোটি টাকার বেশি) রাশিয়া সরকারের ঋণ সহায়তা থেকে নির্বাহ করা হচ্ছে। এটির নির্মাণ ঠিকাদার হিসেবে কাজ করছে রাশিয়ার রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা রোসাটম এবং অ্যাটমস্ট্রয় এক্সপোর্ট। কেন্দ্রটির জীবনকাল ৬০ বছর নির্ধারণ করা হয়েছে। এর প্রতিটি ইউনিটে প্রতি ১৮ মাসে একবার রিফুয়েলিং (পরমাণু জ্বালানি সরবরাহ) করা হবে। রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র কর্তৃপক্ষ আগামী বছর প্রথম ইউনিট থেকে জাতীয় গ্রিডে পরীক্ষামূলক বিদ্যুৎ সরবরাহ করতে চায়। একই বছর বাণিজ্যিকভাবে বিদ্যুৎ সরবরাহ শুরু করার আশা করছে তারা।

 



বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাস
এই বিভাগের জনপ্রিয় খবর
Top