কিশোরীকে স্কুল থেকে তুলে নিয়ে বিয়ে করলেন আ.লীগ নেতা

রাজটাইমস ডেস্ক: | প্রকাশিত: ৩ মার্চ ২০২৪ ১৬:৩৯; আপডেট: ২ মে ২০২৪ ১৯:৪২

ছবি: সংগৃহীত

টাঙ্গাইলের ধনবাড়ীতে কিশোরীকে স্কুল থেকে তুলে নিয়ে জোর করে বিয়ে করেছেন ৭৭ বছর বয়সী এক আওয়ামী লীগ নেতা। এ ঘটনায় এলাকায় সমালোচনার ঝড় বইছে। এদিকে ভুক্তভোগীর বাবা বিচার চেয়ে থানায় অভিযোগ করেছেন। এতে পরিবারটিকে হুমকি দেওয়ারও অভিযোগ উঠেছে।

অভিযুক্ত হযরত আলী মুশুদ্দি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি। এ ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান তিনি।

থানায় দায়ের করা লিখিত অভিযোগ ও ভুক্তভোগী পরিবারের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, নবম শ্রেণিতে পড়ুয়া ওই কিশোরী ও অভিযুক্ত একই ইউনিয়নের বাসিন্দা। পরিবারটি হত দরিদ্র হওয়ার সুবাদে ওই বাড়িতে বিভিন্ন সহযোগিতার কথা বলে যাওয়া-আসা করতেন হযরত আলী। বিভিন্নভাবে প্রলোভনও দেখাতেন। সহযোগিতা পেয়ে তার সঙ্গে পরিবারটির সুসম্পর্ক গড়ে উঠে।

এদিকে গত ১৩ ফেব্রুয়ারি বিদ্যালয়ের বার্ষিক ক্রীড়ানুষ্ঠান চলাকালে কৌশলে ভুক্তভোগী ছাত্রীকে তুলে নিয়ে যান হযরত। এরপর ওই স্কুলছাত্রীকে এক সপ্তাহেও কোথাও খুঁজে না পেয়ে হতাশ হয়ে পড়ে ভুক্তভোগী পরিবার। এক পর্যায়ে ঘটনাটি এলাকায় জানাজানি হলে হযরত আলীর বিচার চেয়ে স্কুলছাত্রীর পরিবার ২০ ফেব্রুয়ারি ধনবাড়ী থানাসহ বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করে।

স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ৭৭ বছর বয়সে ১৪ বছর বয়সের এক কিশোরীকে বিয়ের ঘটনাটি এখন ভাইরাল। তার প্রথম স্ত্রীও জীবিত রয়েছেন। নাতনির বয়সী কিশোরীকে বিয়ে করার ঘটনায় উপজেলায় সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে।

ওই কিশোরীর বাবা বলেন, ‘আমরা গরিব হওয়ায় সহযোগিতার কথা বলে হযরত আমাদের বাড়িতে আসা-যাওয়া করতেন। তাকে সরল মনে বিশ্বাস করতাম। মেয়েকে তুলে নিয়ে জোর করে বিয়ে করেছে। অভিযোগ তুলে নিতে হুমকি দিচ্ছে।’

স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. তোফাজ্জল হোসেন বলেন, ‘সাবেক চেয়ারম্যান সাহেব ওই কিশোরীকে নোটারি পাবলিকের মাধ্যমে বয়স এফিডেভিট করে বিয়ে করেছেন এমন খবর শুনেছি।’

এ বিষয়ে জানতে অভিযুক্ত হযরত আলীর ব্যক্তিগত মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও তিনি তা রিসিভ করেননি।

ধনবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাজ্জাদ হোসেন বলেন, ‘লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। ওই কিশোরী স্কুলছাত্রীকে উদ্ধারে পুলিশ অভিযান চালাবে।’




বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাস
এই বিভাগের জনপ্রিয় খবর
Top