২৯ খাদ্যপণ্য: সরকারের বেঁধে দেওয়া দাম জানেন না ব্যবসায়ীরা

রাজটাইমস ডেস্ক: | প্রকাশিত: ১৬ মার্চ ২০২৪ ১৯:০৭; আপডেট: ২৮ এপ্রিল ২০২৪ ২১:২২

ছবি: সংগৃহীত

কৃষি বিপণন অধিদপ্তর গরুর মাংস, ছোলা, ব্রয়লার মুরগিসহ ২৯টি নিত্যপণ্যের দাম বেঁধে দিয়ে আদেশ জারি করলেও তা মানছেন না সিলেটের ব্যবসায়ীরা। তারা পূর্বের দামেই বিক্রি করছেন পণ্য। নতুন দামের বিষয়ে জানেন না বলে দাবি একাধিক ব্যবসায়ীর। প্রশাসন বলছে, আমরা এখন ব্যবসায়ীদের বাজারদর সম্পর্কে জানাবো। ১৯ তারিখের পর মোবাইল কোর্ট চালানো হবে।

গতকাল শুক্রবার কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মাসুদ করিম স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে গরুর মাংস, ছোলা, ব্রয়লার মুরগিসহ ২৯টি নিত্যপণ্যের দাম বেঁধে দিয়ে আদেশ জারি করা হয়।

সিলেটের বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা যায়, প্রতি কেজি গরুর মাংসের সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য ৬৬৪ টাকা নির্ধারণ করা হলেও বিক্রি হচ্ছে পূর্বের ৭৫০ টাকায়। এ ছাড়া খাসির মাংস ও ব্রয়লার মুরগির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। খাসির মাংস ও ব্রয়লার মুরগির দাম যথাক্রমে ১১০০ টাকা ও ২৩০ টাকা।

আর শসা ৭৫ থেকে ৮৫ টাকা, কাঁচা মরিচ ১০০ থেকে ১৩০ টাকা, পিঁয়াজ ১২০ টাকা, লাউ ৪৫ টাকা, শিম ৬০ থেকে ৭০ টাকা, টমেটো ৬০ টাকা, বেগুন ৮০ থেকে ৯০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বেগুন ৩০ টাকা আর টমেটো ৪৫ টাকায় বিক্রির জন্য বলা হলেও তা মানছেন না ব্যবসায়ীরা।

পাঙ্গাশ খুচরা বাজারে ১৮০.৮৭ টাকা বেঁধে দিলেও বিক্রি হচ্ছে ২৪০ থেকে ২৫০ টাকা। কাতল ৩৫৩.৫৯ টাকা বেঁধে দিলেও ৪৫০ থেকে ৫০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

মামুন নামে এক ক্রেতা বলেন, ‘পত্র পত্রিকায় দেখলাম শুক্রবার ২৯ পণ্যের দাম বেঁধে দিয়েছে সরকার। তবে আজ বাজারে এসে তার কোনো প্রতিফলন দেখছি না। সকল পণ্যই আগের দামে বিক্রি হচ্ছে। সরকারি আদেশ ব্যবসায়ীরা মানছেন না। নতুন দাম সম্পর্কে অনেক বিক্রতারাও জানেন না।’

অনেকেই বলছেন, এই দাম নাকি অন্যান্য এলাকার জন্য। সরকারের বেঁধে দেওয়া নতুন দাম সিলেটের বাজারে কার্যকর করতে প্রশাসনকে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ারও আহবান জানান তিনি।

নগরের কাজিরবাজার এলাকার ব্যবসায়ী সাত্তার মিয়া বলেন, ‘পরিবহনের খরচ, জ্বালানি খরচ, মাছের খাবারের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় তারা দাম কমাতে পারতেছেন না। মাছ-মাংসসহ অন্যান্য পণ্য সিটি করপোরেশনের বেঁধে দেওয়া আগের দামেরই বিক্রি করছেন। প্রশাসন থেকে জারি করা নতুন নির্দেশনা আমরা জানি না। নতুন নির্দেশনা আসলে সেই দামে বিক্রি শুরু করব।’

কৃষি বিপণন অধিদপ্তর সিলেটের উপ-পরিচালক মীর এনামুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা এখন সকল ব্যবসায়ীদের নতুন বাজারদর সম্পর্কে জানাচ্ছি। গতকাল শুক্রবার আমাদের মিটিং হয়েছে ডিসি অফিসে। আমরা ১৯ তারিখে একটি মিটিং করে তারপরে মোবাইল কোর্ট অভিযানে যাবো’।




বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাস
এই বিভাগের জনপ্রিয় খবর
Top