বাঘায় মিথ্যা মামলায় হয়রানির প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন

মোঃ লালন উদ্দীন | প্রকাশিত: ১৩ আগস্ট ২০২৪ ২০:২৭; আপডেট: ২০ এপ্রিল ২০২৫ ০০:২৫

সংগ্রহীত

রাজশাহীর বাঘায় মিথ্যা মামলা দায়ের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করেছে ভুক্তভোগী, উপজেলার কিশোরপুর গ্রামের মৃত আশরাফ আলীর ছেলে শিমুল ইসলাম ও ওই গ্রামের চমৎকার আলীর ছেলে সুকচান্দ আলী । মঙ্গলবার ১৩ আগস্ট দুপুর ১২ টায় বাঘায় এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে শিমুল ইসলাম বলেন, উপজেলার পাকুরিয়া ইউপির কিশোরপুর গ্রামের হযরত আলী কর্তৃক আমাদের বিরুদ্ধে আদালতে দায়ের কৃত টাকা ছিনতাইয়ের মিথ্যা মামলায় আসামি করা হয়। কিন্তু প্রকৃত ঘটনা হলো, গত ০৮ মে (২০২৪) আমার অনুপস্থিতির সুযোগে মামলার বাদী হযরত আলীর ছেলে রবিউল ইসলাম সিঁধ কেটে আমার স্ত্রীর ঘরে প্রবেশ করে। সে সময় আমার স্ত্রী চিৎকার করে লোকজন ডাকতে থাকলে রবিউল ইসলাম আমার স্ত্রীর মুখ চেপে ধরে এবং ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায়। পরে ওই ঘটনায় আমার স্ত্রী বাদী হয়ে রবিউল ইসলামের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন-২০০৩ আইনে থানায় মামলা দায়ের করেন। ওই মামলা দেয়ার পর থেকেই রবিউল ইসলাম এর পিতা হযরত আলী ও তার পক্ষের লোকজন আমাকে ও আমার পরিবারকে বিভিন্নভাবে শাসিয়ে আসছেন এবং একের পর এক মিথ্যা মামলা দায়ের করছেন। সর্বশেষ গত ২৪ জুলাই আমার বিরুদ্ধে ২ লক্ষ টাকা ছিনতাইয়ের অভিযোগে করেছেন। অথচ ওই দিনে আমি ঢাকা ছিলাম। সেখানে আমি ভাড়ায় রিকশা চালায়। যার প্রমাণ ওই গ্যারেজ মালিক সাইমন ইসলাম এর নিকট আছে। আমি ঢাকা থেকে গত ২৭ জুলাই বাঘায় আসি। সে সময় আমার সাথে আর একজন রিকশা চালক জীবন হোসেন ছিলেন।

শুধু আমার বিরুদ্ধেই না, ওই মামলার সূত্র ধরে আমার দুলাভাই শুকচাঁদ আলীর বিরুদ্ধেও মিথ্যা মামলা আসামি করা হয়েছে। তিনি একজন ভ্যান চালক। এলাকায় জিজ্ঞাসাবাদ করলেই পাওয়া যাবে আমরা কেমন প্রকৃতির লোক। এর আগেও হযরত আলী আমার বিরুদ্ধে ১০৭ ধারায় আদালতে মিথ্যা মামলা দায়ের করেন। ওই মামলা থেকে গত ৩০- ৭ -২০২৪ তারিখে আমি খালাস পেয়েছি। অথচ জিনি আমার বিরুদ্ধে মামলা দিচ্ছেন তিনি এলাকার একজন চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী। এ মামলার সাক্ষী রেজাউল ইসলাম তার মাদক ব্যবসার পার্টনার। আপনারা দয়া করে সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে সত্য ঘটনা উদঘাটন করে এ মিথ্যা মামলা থেকে পরিত্রান পেতে আমাদের সহযোতা করুন। আমরা গরীব মানুষ, রিকশা- ভ্যান চালিয়ে জীবন ধারণ করি। মিথ্যা মামলায় পড়ে আমরা চরমভাবে শারীরিক, মানসিক,আর্থিক ও সামাজিকভাবে ক্ষতিগস্থ। এই সংবাদ সন্মেলনের মাধ্যমে মিথ্যা মামলা ও হয়রানি থেকে রক্ষায় আমরা প্রশাসনেরও সু-দৃষ্টি কামনা করে নিরপেক্ষ তদন্তে অনুরোধ করছি।
যদি দায়েরকৃত মামলায় আমাদের বিন্দুমাত্র সম্পৃক্ততা থাকে তাহলে আইন অনুযায়ী যে শাস্থি হয় আমরা তা মাথা পেতে নিব।
এ বিষয়ে মামলার বাদী হযরত আলীর নিকট মুঠোফোনে জানতে চাইলে, তিনি কোন সদুত্তর দিতে পারেন নাই। তিনি এজাহারে উল্লেখ করেছেন টাকা ছিনতাই হয়েছে ২৪ জুলাই রাত্রি ৮ ঘটিকায়। তিনি মামলা দিয়েছেন ২৪ জুলাই । এ প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ঘটনা ২৩ তারিখে ঘটে আমি ২৪ তারিখে মামলা করেছি। মোবাইলে এত কথা বলতে পারবো না ।কিছু জানার থাকলে সাক্ষাতে আসেন।##


 



বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাস
এই বিভাগের জনপ্রিয় খবর
Top