বগুড়ায় অপহরণের ৩৮ দিন পর শিশুর লাশ উদ্ধার

রাজটাইমস ডেস্ক | প্রকাশিত: ২৩ জানুয়ারী ২০২১ ০৩:৩০; আপডেট: ২৪ এপ্রিল ২০২৪ ১৩:১৮

লাশ : প্রতীকি ছবি

অপহরণের পর মুক্তিপণের পাঁচ লাখ টাকা না পেয়ে হানজালাল নামের ছয় বছরের এক শিশুকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। বগুড়ার গাবতলীর ঘটনা এটি। অপহরণের ৩৮ দিন পর বৃহস্পতিবার (২১ জানুয়ারি) রাত সাড়ে আটটার দিকে উপজেলার রামেশ্বরপুর ইউনিয়নের নিশুপাড়া বটতলা হাঁড়িপুকুর থেকে শিশুটির বস্তাবন্দী অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।

হত্যার শিকার হানজালাল নিশুপাড়া গ্রামের মালেয়েশিয়াপ্রবাসী পিন্টু মিয়া প্রামাণিকের ছেলে। এ ঘটনায় পিন্টু মিয়া বাদী হয়ে গাবতলী মডেল থানায় আজ শুক্রবার হত্যা মামলা করেছেন।

পুলিশ ও স্বজনদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, হানজালাল গত ১৩ ডিসেম্বর বিকেল তিনটার দিকে বাড়ির বাইরে খেলতে গিয়ে নিখোঁজ হয়। অনেক খোঁজাখুঁজির পর ছেলের সন্ধান না পেয়ে রাতেই মা তাসলিমা বেগম গাবতলী মডেল থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন।

তাসলিমা বেগম বলেন, হানজালাল বাড়িতে থেকেই বটতলা হাফিজিয়া মাদ্রাসায় পড়তে যেত। অপহরণের কিছুদিন আগে একটি অচেনা নম্বর থেকে ফোন করে একজন পরিচয় না দিয়ে বলেন, ‘তোর স্বামী বিদেশ থাকে, দুই লাখ টাকা ধার দে।’ কেউ ফোনে মজা করছে ভেবে বিষয়টি পাত্তা দেননি তিনি। এরপর হানজালাল নিখোঁজ হলে থানায় জিডি করার পর একটি অচেনা নম্বর থেকে ফোন আসে। অপহরণকারী পরিচয়ে একজন পাঁচ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে।

এ খবর পেয়ে পিন্টু মালেয়েশিয়া থেকে দেশে ফেরেন। এরপর থানা-পুলিশ থেকে শুরু করে নানা স্থানে সন্তানকে উদ্ধারের জন্য ঘুরতে থাকেন তাঁরা। কিন্ত কেউ অপহৃত শিশুকে উদ্ধার করতে পারেনি। এর মধ্যে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার দিকে অচেনা একটি নম্বর থেকে ফোন করে কেউ একজন বলেন, ‘মুক্তিপণের পাঁচ লাখ টাকা দিলি না, তোর ছেলের লাশ হাঁড়িপুকুরে ফেলে গেলাম।’ সঙ্গে সঙ্গে বিষয়টি গাবতলী মডেল থানা–পুলিশকে জানানো হয়।

স্থানীয়রা জানান, রাত নয়টার দিকে পুলিশ নিশুপাড়া বটতলা–সংলগ্ন হাঁড়িপুকুর থেকে শিশু হানজালালের বস্তাবন্দী অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করে। বস্তায় ইট বাঁধা ছিল। বস্তার ভেতরে শিশুটির হাত, পা ও মুখ বাঁধা ছিল।

গাবতলী সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার মোছা. সাবিনা ইয়াসমিন বলেন, লাশ উদ্ধারের পর ময়নাতদন্তের জন্য বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠানো হয়েছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, শিশুটিকে অপহরণের পর মুক্তিপণ আদায়ে ব্যর্থ হয়ে হত্যা করা হয়েছে। যে নম্বর থেকে ফোন করে মুক্তিপণ দাবি করা হয়েছিল, সেই নম্বর ব্যবহারকারীকে শনাক্ত করা হয়েছে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। অতি দ্রুত হত্যকারী শনাক্ত করা সম্ভব হবে বলে তিনি আশা করছেন।

 

 

 

এসকে

 

 




বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাস
এই বিভাগের জনপ্রিয় খবর
Top