বগুড়ায় আ. লীগ নেতাকে কুপিয়ে হত্যা

রাজটাইমস ডেস্ক | প্রকাশিত: ২৮ জুলাই ২০২১ ১৪:২১; আপডেট: ২৩ এপ্রিল ২০২৪ ১৩:৩৬

মমিনুল ইসলাম রকি : ছবি সংগৃহিত

বগুড়ায় মমিনুল ইসলাম রকি (৩৩) নামের এক আওয়ামী লীগ নেতাকে কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। গত মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে বগুড়া শহরতলীর ফাঁপোড় ইউনিয়নের ফাঁপোড় হাটখোলায় তাঁকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়।

মমিনুল হক রকি ফাঁপোড় মন্ডলপাড়া গ্রামের সিরাজুল ইসলামের ছেলে এবং ফাঁপোড় ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক ছিলেন। এ ছাড়াও তিনি আসন্ন ইউপি নির্বাচনে ফাঁপোড় ইউনিয়নের চেয়ারম্যান প্রার্থী ছিলেন। মাদক ও হত্যাসহ একাধিক মামলা রয়েছে রকির নামে।

জানা যায়, রকি এলাকায় বসবাস করতেন না। তবে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন সামনে রেখে তিনি প্রায়ই এলাকায় বিভিন্ন কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করতেন। মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে তিনি ফাঁপোড় হাটখোলা মাঠে লোকজনের সঙ্গে গল্প করছিলেন। এ সময় একদল দুর্বৃত্ত তাঁকে ঘিরে ফেলে। তার সহযোগীরা এ সময় পালিয়ে গেলে দুর্বৃত্তরা রাম দা দিয়ে কুপিয়ে ফেলে রেখে যায় রকিকে। পরে স্থানীয় লোকজন তাকে উদ্ধার করে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত সাড়ে ১০টায় তিনি মারা যান রকি।

নিহত রকিকে মেডিকেল এ নিয়ে আসা স্থানীয় যুবক বলেন, আমরা এলাকায় বসে ছিলাম। ওই সময় শুনি রকি ভাইকে অনেক জন মিলে কুপিয়েছে। পরে তাকে উদ্ধার করে মেডিকেল এ আনলে ডাক্তার বলেন তিনি মারা গেছেন।'

হত্যাকাণ্ডের পরপরই এলাকায় তল্লাশি অভিযান শুরু করেছে পুলিশ। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ফয়সাল মাহমুদ বলেন, 'হাটখোলা মাঠে একটি দোকানে বসেছিলেন রকি। এ সময় তাকে দুর্বৃত্তরা কুপিয়ে পালিয়ে যায়। তাৎক্ষণিকভাবে মৌখিক অভিযোগে আমরা কয়েকজনের নামে জানতে পেরেছি। তাদের ধরতে অভিযান শুরু করেছি।' তবে তদন্তের স্বার্থে সে নামগুলো গণমাধ্যমে প্রকাশ করতে চাননি পুলিশের এই কর্মকর্তা।

এদিকে তাৎক্ষণিকভাবে রকি হত্যার সুনির্দিষ্ট কোনো কারণ জানা যায়নি। তবে অনুসন্ধানে জানা গেছে, ফাঁপোড় উচ্চ বিদ্যালয়ের সভাপতি পদ নিয়ে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রেজাউল হক ঠান্ডুর সঙ্গে রকির বিরোধ ছিল। রেজাউল হক ঠান্ডু শিক্ষকতার পাশাপাশি ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি হিসেবে দায়িত্বে আছেন। তিনি নিজেও এবার ফাঁপোড় ইউনিয়ন পরিষদে চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসেবে তাঁর নাম ঘোষণা দিয়েছেন।

রকি ইতিপূর্বে ফাঁপোড় উচ্চ বিদ্যালয়ের সভাপতি ছিলেন। সেই সময় থেকেই প্রধান শিক্ষকের সঙ্গে তাঁর বিরোধ শুরু হয়। কমিটির মেয়াদ উত্তীর্ণ হলে প্রধান শিক্ষক রকির নাম বাদ দিয়ে নতুন কমিটি প্রস্তাব শিক্ষা বোর্ডে পাঠিয়েছিলেন। রকির অভিযোগের প্রেক্ষিতে সেই কমিটি অনুমোদন পায়নি।

এ ছাড়া রকির বিরুদ্ধেও হত্যাসহ সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে একাধিক মামলা রয়েছে।



বিষয়: হত্যা


বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাস
এই বিভাগের জনপ্রিয় খবর
Top