নওগাঁর পর্যটন ও বিনোদনকেন্দ্রে মানুষের ঢল
রাজটাইমস ডেস্ক | প্রকাশিত: ৬ মে ২০২২ ০২:৩৮; আপডেট: ২০ এপ্রিল ২০২৫ ১০:২৮

ঈদ উপলক্ষে নওগাঁর পর্যটন ও বিনোদনকেন্দ্রগুলোয় মানুষের ঢল নেমেছে। ঈদের দিন গত মঙ্গলবার আব্দুল জলিল পার্ক, জেলা পরিষদ পার্ক, ডানা পার্কসহ বিভিন্ন বিনোদনকেন্দ্রে ছিল উপচে পড়া ভিড়। একই অবস্থা ছিল বদলগাছীর ঐতিহাসিক পাহাড়পুর বৌদ্ধ বিহার, হলুদ বিহার, ধামইরহাটের আলতাদীঘি জাতীয় উদ্যান, মান্দার কুশুম্বা মসজিদসহ বিভিন্ন পর্যটনকেন্দ্রে। পরের দিন বুধবার দর্শনার্থীদের ভিড় আরও বাড়ে। একই দৃশ্য আজ বৃহস্পতিবারও। বিনোদন ও পর্যটনকেন্দ্রগুলোতে প্রিয়জনদের সঙ্গে ঘুরে ঈদ আনন্দ উপভোগ করতে বের হয়েছেন অনেকে।
পাহাড়পুর বৌদ্ধবিহারে গিয়ে শত শত বিনোদনপ্রেমী মানুষকে পরিবার নিয়ে ঘুরে বেড়াতে দেখা যায়। টিকিট কাউন্টারের সামনে ছিল দর্শনার্থীদের দীর্ঘ লাইন। সেখানে কথা হয় পতœীতলার নজিপুর থেকে আসা কলেজশিক্ষার্থী সিয়াম শাহরিয়ারের সঙ্গে। বন্ধুদের সঙ্গে ঘুরতে আসা ওই তরুণ বলেন, ‘ঈদের আনন্দকে আরও বেশি করে উপভোগ্য করে তুলতে বন্ধুদের সঙ্গে ঘুরতে এসেছি। তবে টিকিট কাউন্টারে সামনে যে ভিড়, দেখা যাক টিকিট পেতে কতক্ষণ লাগে।’
দিনাজপুর থেকে পাহাড়পুর বৌদ্ধবিহার দেখতে এসেছিলেন সাইফুল ও আলমগীর। তাঁরা বলেন, অনেক দিন ধরেই ভাবছিলেন এখানে বেড়াতে আসবেন। কিন্তু এত দিন সময়-সুযোগের অভাবে আসতে পারেননি। এবার ঈদের ছুটিতে দুই বন্ধু মিলে দিনাজপুর থেকে মোটরসাইকেল চালিয়ে পাহাড়পুর এসেছেন। হাজার বছর আগের বিশাল প্রাচীন এই পুরাকীর্তি দেখে তাঁরা মুগ্ধ।
মান্দার ঐতিহাসিক কুশুম্বা মসজিদ দেখতে বুধবার রাজশাহীর বাঘা থেকে স্ত্রী ও দুই মেয়েকে নিয়ে এসেছিলেন ব্যাংক কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলম। তিনি বলেন, ‘আমি এর আগে বেশ কয়েকবার এখানে এসেছি। তবে পরিবারের অন্য সদস্যরা কেউ দেখেননি। এত দিন আমার মেয়েরা ইন্টারনেট এবং বইয়ে প্রাচীন স্থাপনা কুশুম্বা মসজিদ সম্পর্কে পড়েছে। এখানে এসে তাঁরা স্থাপনাটির নির্মাণশৈলী ও বিভিন্ন কারুকাজ দেখে মুগ্ধ হয়েছে।’
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: