কর্মব্যস্ত কুরিয়ারকর্মীসহ হাজারো শ্রমিক

রাজশাহীতে জমে উঠেছে আমের বাজার

বিশেষ প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ৩১ মে ২০২২ ০৩:০৯; আপডেট: ৪ মে ২০২৪ ১৭:৫২

রাজশাহী নগরীসহ জেলার বিভিন্ন বাজারে জমে উঠেছে আমের বেচা-কেনা। বাজার গুলোতে গোপালভোগ আম এক হাজার ৭’শ টাকা থেকে এক হাজার ৮’শ টাকা, হিমসাগর এক হাজার ৮০০ থেকে এক হাজার ৯০০ টাকা কওে বিক্রী হচ্ছে।

এ ছাড়া বিভিন্ন জাতের স্থানীয় আটিজাতের ৯’শ থেকে হাজার টাকা মন দরে বিক্রী হচ্ছে। আম বাণিজ্যকে কেন্দ্র করে এ অঞ্চলের হাজার হাজার শ্রমিক কর্মব্যস্ত সময় পার করছেন।
রাজশাহী নগরীর মধ্যে সাহেব বাজার এবং শালবাগনে আমের বড় বাজার রয়েছে। আর জেলার মধ্যে রাজশাহী নগরীর উপকন্ঠ পুঠিয়া উপজেলার বানেশ্বর হাট।

এই হাটে প্রতিদিন কয়েক লাখ টাকার আম কেনা-বেচা হয়ে থাকে। এই হাট ছাড়াও মৌসুমভিত্তিক ঢাকা-রাজশাহী মহাসড়কের পাশে কয়েকটি স্থানে অস্থায়ীভাবে আমের বাজার গড়ে উঠেছে। একই সাথে নগরীর মধ্যে বিভিন্ন বাজারসহ জনসমাগম পূর্ণ এলাকাতেও আম পাওয়া যায়। বাজারে রয়েছে ভোক্তাদের পছন্দের গোপালভোগ, খিরসাপাতসহ (হিমসাগর), লখনাভোগ, রানিপছন্দসহ স্থানীয় বিভিন্ন জাতের আটি আম। আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে আরোও কয়েক জাতের আমবাজারে পাওয়া যাবে।

রাজশাহী জেলার মধ্যে বানেশ্বর হাট সর্ববৃহত হবার কারণে পুঠিয়া, দুর্গাপুর, বাগমারা, বাঘা, চারঘাট উপজেলাসহ নাটোরের বাগাতিপাড়া ও অন্যান্য উপজেলার বেশিরভাগ আম বিক্রেতাগণ বানেশ্বর হাটে আসেন। পাশাপাশি অনেকেই বিড়ালদহ বাজারসহ বেলপুকুর শাহবাজপুর, শিবপুরহাটসহ বিভিন্ন গ্রাম এলাকাগুলোর অস্থায়ী আমের বাজারে আম বিক্রীর জন্য আসেন। এসব হাটে প্রতিদিন সকাল থেকে রাত অবধি কেনাবেচা চলে। ক্রেতা-বিক্রেতাদের ভিড়ে বানেশ্বরসহ অন্যান্য হাট গুলোতে প্রাণচাঞ্চল্য দেখা যাচ্ছে। ইতোমধ্যে এসব বাজারে ঢাকা, চট্টগ্রাম, বরিশাল, নোয়াখালী, কুমিল্লা, সিলেট ও খুলনা থেকে পাইকারি ব্যবসায়ীরা আসতে শুরু করেছেন।

আম বিক্রেতারা জানায়, অন্য বছরের তুলনায় এ বছর আমের বাজার বেশ ভালো। গোপালভোগ আম এক হাজার ৭’শ থেকে এক হাজার ৮’শ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। হিমসাগর-বিক্রি হচ্ছে এক হাজার ৮’শ থেকে এক হাজার ৯’শ টাকা করে। এ ছাড়া বিভিন্ন জাতের স্থানীয় আটিজাতের আম বিভিন্ন দামে বিক্রি হচ্ছে। আমচাষিরা জানায়, চলতি বছর বছর ঝড়ে আমের ব্যাপক ক্ষতি হওয়ার কারণে আম উৎপাদন কম হয়েছে। ফলে আম চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে।

রাজশাহী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, জেলায় ১৮ হাজার ৫১৫ হেক্টর জমিতে আমবাগান রয়েছে। চলতি মৌসুমে হেক্টরপ্রতি গড় ফলন ধরা হয়েছে ১১ দশমিক ৫৯ টন। সেই হিসেবে দুই লাখ ১৪ হাজার ৬৭৬ টন আম উৎপাদন হতে পারে বলে আশা করা হচ্ছে।

এদিকে আম বানিজ্যকে কেন্দ্র করে কর্মব্যস্ত সময় পার করছেন কুরিয়ার সার্ভিসসহ আম শিল্পের সাথে জড়িত হাজারো শ্রমিক। এদের মধ্যে কেই কেউ কেউ আম আড়তে আনা-নেয়া, বিক্রীত আম প্যাকেজিং করা, আরেক দল ঝুঁড়ি তৈরিসহ বিভিন্ন কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন। প্রতিবছর আম বাণিজ্যকে কেন্দ্র করে জাতীয় অর্থনীতিতে এই অঞ্চলের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে।

 

 



বিষয়:


বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাস
এই বিভাগের জনপ্রিয় খবর
Top