করোনায় টি-সেল সহায়তা করে শিশুদের দ্রুত সেরে উঠতে

রাজটাইমস ডেক্স | প্রকাশিত: ১০ নভেম্বর ২০২০ ১৩:১৭; আপডেট: ১০ নভেম্বর ২০২০ ২০:৩১

ছবি: ওয়েব সােইট

করোনায় টি-সেল শিশুতের দ্রুত সেরে উঠতে সহায়তা করে কিন্তু বয়স্কদের ক্ষেত্রে হয় দেরিতে। বয়স্কদের চেয়ে শিশুদের শরীরে করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে দুর্বল অ্যান্টিবডি তৈরি হয়। গবেষণায় দেখা গেছে, শিশুরা দ্রুত করোনা থেকে সেরে ওঠে। প্রকৃতপক্ষে এরা করোনায় মারাত্মকভাবে অসুস্থ হয় না দেহে টি-সেলের মজুদ থাকার কারণে। এ ছাড়াও গবেষণায় দেখা গেছে, সাধারণত শিশুদের মধ্যে খুব স্বল্প সময়ের জন্য রোগ ছড়িয়ে থাকে। কিন্তু করোনাভাইরাস বেশির ভাগ শিশুর মধ্যে বিশাল কোনো হুমকি হয়ে দেখা দেয়নি যেমন বয়স্কদের ক্ষেত্রে হয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রের সেন্টার ফর ডিজিজ কনট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশনের (সিডিসি) গত ৪ নভেম্বরের তথ্য অনুযায়ী, এ পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রে ১৮ বছরের নিচে ১১০ জন শিশু মৃত্যুবরণ করেছে করোনাভাইরাসে। মৃত্যুর দিক থেকে এই সংখ্যাটি মোটেও গুরুত্বহীন নয়। তবে ১১০ শিশুর মৃত্যু যুক্তরাষ্ট্রের আক্রান্ত ছয় লাখ ৬৩ হাজার ৭৯৭ শিশুর তুলনায় ০.০২ শতাংশ। করোনাভাইরাসে মাল্টিসিস্টেম ইনফ্লেমেটরি সিনড্রোম ইন চিলড্রেন বা এমআইএস-সির জীবনসংহারী হুমকির মধ্যে থাকলেও শিশুদের তেমন কোনো সমস্যা হয় না। কলাম্বিয়া ইউনিভার্সিটি এ গবেষণাটি করে। তারা দেখিয়েছে যে, শিশুদের মধ্যে বয়স্কদের চেয়ে জটিলতা কম হয়।

কলাম্বিয়া ইউনিভার্সিটির গবেষকেরা ৩২ জন বয়স্ক এবং ৪৭ জন শিশুর প্লাজমা নিয়ে গবেষণা করেন। এদের সবাই নিউ ইয়র্ক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। এদের ১৬টি শিশু এমআইএস-সির মতো মারাত্মক লক্ষণে ভুগছিল। অন্য শিশুদের মধ্যে লক্ষণ ছিল মাঝারি ধরনের এবং কিছু শিশু ছিল যাদের মধ্যে কোনো লক্ষণ ছিল না। আবার বয়স্কদের ১৩ জন হাসপাতালে ভর্তি ছিল। অবশিষ্ট বয়স্করা হাসপাতালে আউটডোরে চিকিৎসা নেন যাদের মধ্যে করোনার লক্ষণ ছিল না কিন্তু করোনা পজিটিভ ছিল। তবে সব বয়স্ক ও শিশুর মধ্যে রোগ প্রতিরোধক সাড়া ছিল। প্রধান গবেষক ড. ডোনা ফারবার ডেইলি মেইলকে বলেন, বয়স্ক ও শিশু উভয়ের মধ্যে সংক্রমণের পর ইমিউনোগ্লোবোলিন জি (আইজিজি) তৈরি হয়। আবার বয়স্কদের মধ্যে ইমিউনোগ্লোবোলিন এম (আইজিএম) তৈরি হয় কিন্তু শিশুদের মধ্যে এটা ছিল কম মাত্রায়।

ড. ফারবার বলেন, এ ধরনের প্রথম সারির প্রতিরক্ষা শরীরের বেশি সময় থাকে না, এগুলো নিঃশেষ হয়ে যায়। ফলে বয়স্করা এসব আইজিজি অথবা আইজিএম নামক অ্যান্টিবডি থেকে খুব বেশি উপকৃত হন না। কিন্তু তিনি বলেন, শিশুদের মধ্যে অ্যান্টিবডি ছাড়াও টি-সেল নামক যে করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে আরেকটি কোষ রয়েছে তা তাদের দেহে করোনাকে কমিয়ে রাখে। শিশুদের মধ্যে প্রচুর পরিমাণে টি-সেল থাকায় তাদের দেহ নতুন অ্যান্টিবডি তৈরি করে করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ের জন্য। যদিও শিশুদের মধ্যে কমসংখ্যক অ্যান্টিবডি রয়েছে তথাপি টি-সেলের কারণে এরা করোনার বিরুদ্ধে লড়াই করে বেঁচে যায়।

সূত্র: দৈনিক নয়া দিগন্ত

 



বিষয়:


বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাস
এই বিভাগের জনপ্রিয় খবর
Top