শত বছরের পুরনো সন্দেশ

আব্দুর রাজ্জাক | প্রকাশিত: ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২১ ০৩:৩১; আপডেট: ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২১ ০৩:৩২

বাঙালি জাতি হিসাবে আমরা ভোজনরশিক। খাওয়া-দাওয়া আমরা খুবই পছন্দ করি। আমাদের দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে রয়েছে বিখ্যাত সব মিষ্টি। মিষ্টির কথা স্থান পেয়েছে সাহিত্যের পাতায়। সৈয়দ মুজতবা আলি মিষ্টি নিয়ে লিখেছেন।

নওগাঁ জেলার মান্দা উপজেলার সন্দেশ একবার যিনি খেয়েছেন তাকে বারবার মনে করতে হবে এর স্বাদের কথা। মুখে দিলেই হাওয়ায় মিষ্টির মতো যেন গলে যায়। মান্দা থানার ফেরিঘাট সংলগ্ন ছোট ছোট এই মিষ্টান্নের দোকানগুলোতে পাওয়া প্রায় শত বছরের পুরনো সন্দেশ।

যতোদূর জানা যায় যে, সন্দেশ দেব দেবীর ভোগের জন্য। পরবর্তীতে এই সন্দেশের সুখ্যাতি জেলা শহরের গন্ডি পেরিয়ে দেশ বিদেশের বহু অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়েছে। সন্দেশ এমনিতেই কৃত্রিম উপায়ে এক সপ্তাহ পর্যন্ত সংরক্ষণ করা যায়। তাই ঘরে রেখে সময় নিয়ে ইচ্ছেমত খাওয়া যায়।

মান্দার সন্দেশ তৈরির কারিগরদের সাথে কথা বলে জানা যায়, দুধ থেকে তৈরি ছানা দিয়ে সন্দেশ তৈরি করা হয়। ছানার সাথে চিনি, ছোট এলাচ ও খেজুরের গুড় মিশিয়ে তৈরি করা হয় সুস্বাদু সন্দেশ। এখানকার সন্দেশগুলো গোলাকৃতির হয়ে থাকে, ৭৫ থেকে ৮০ পিসে ১ কেজি ওজন হয়।

মান্দা উপজেলার সন্দেশ নিয়ে কাজ করেন, পৌছে দিব ডট কমের সত্ত্বাধিকারী আব্দুল হান্নান। আব্দুল হান্নানের সাথে কথা বলে জানা যায়, তিনি দেশের ২০ জেলার বেশি জায়গায় সন্দেশ সরবরাহ করছেন এবং দেশের বাইরে আমেরিকা, কুয়েতসহ আরো কয়েকটি দেশে পাঠিয়েছেন।

আর হ্যা পাঠক, আপনি নওগাঁ জেলার মান্দা থানার ঐতিহ্যবাহী কুসুম্বা মসজিদ বেড়াতে এলে অবশ্যই মান্দার ঐতিহ্যবাহী মিষ্টি 'সন্দেশ' খাবেন এবং ফিরতি পথে ‘সন্দেশ' পরিবার, আত্মীয়-স্বজনের জন্য আনতে ভুলবেন না কিন্তু।

এনএস




বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাস
এই বিভাগের জনপ্রিয় খবর
Top