কে হবেন মার্কিন কর্ণধার?

বিশ্ববাসীর দৃষ্টি এখন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের দিকে। আজ মঙ্গলবার (৩ নভেম্বর) অনুষ্ঠিত হচ্ছে দেশটির নির্বাচন। নতুন করে ক্ষমতায় আসবে দেশটির ৪৬ তম প্রেসিডেন্ট।

পুনরায় ক্ষমতায় আসতে ‘হাতি’ প্রার্থী নিয়ে লড়ছে ডোনাল্ড ট্রাম্প। তার মূল প্রতিদ্বন্দ্বী ডেমোক্র্যাট প্রার্থী জো বাইডেন। তার প্রতীক ‘গাধা’। বিভিন্ন সমীক্ষায় এবার ট্রাম্পের থেকে এগিয়ে রয়েছেন বাইডেন।  

দুই পক্ষের পক্ষ থেকে রবিবার (০১ নভেম্বর) চালানো হয়েছে নির্বাচনী প্রচারণা। মিশিগান, আইওয়া, নর্থ ক্যারোলিনার মতো জায়গায় সভা করেছেন ট্রাম্প। অন্যদিকে বাইডেন ব্যস্ত ছিলেন জর্জিয়া ও ফ্লোরিডাতে প্রচারের কাজে।

তবে এবারের নির্বাচনকে ঘিরে সহিংসতার আশংকা করছে মানুষ। সম্প্রতি এক সমীক্ষায় প্রতি চারজনের মধ্যে তিনজনই মনে করছেন, নির্বাচনের পর সহিংসতা ছড়িয়ে পড়বে।

মার্কিন এক-চতুর্থাংশ ভোটার সহিংসতা বিষয়ে উদ্বিগ্ন হওয়ার বিষয় উঠে এসেছে দৈনিক ইউএস টুডে এবং সাফোক ইউনিভারসিটি যৌথভাবে পরিচালিত এই সমীক্ষায়।

এমনকি মিথ্যা ও ভুল তথ্য ও ছড়িয়ে পড়তে পারে।

আশংকা প্রকাশ করেছেন ফেসবুক হোয়াটসঅ্যাপের কর্ণধার মার্ক জুকারবার্গও। তার মতে, এই ভোট সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটগুলোর কাছে এক কঠিন পরীক্ষা হতে চলেছে।

সমীক্ষার তথ্যগুলো বাইডেনের পক্ষেই বেশ কাজে দিচ্ছে। প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যাঞ্চলীয় উইসকনসিন এবং মিশিগান অঙ্গরাজ্যে সুবিধাজনক অবস্থানে রয়েছেন প্রাক্তন ভাইস প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। সিএনএন পরিচালিত এক জনমত সমীক্ষায় ফলাফল থেকে এই তথ্য জানা গেছে। তবে অ্যারিজোনা এবং নর্থ ক্যারোলাইনা অঙ্গরাজ্যে দু’জনের মধ্যে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে। ২০১৬ সালের নির্বাচনে ডোনাল্ড ট্রাম্প এই চারটি অঙ্গরাজ্যের সবগুলোতেই জয়ী হয়েছিলেন। সেক্ষেত্রে এর যেকোনও একটি অঙ্গরাজ্য হারলে ডোনাল্ড ট্রাম্পের জন্য ২৭০টি ইলেক্টোরাল ভোট অর্জন করা কঠিন হয়ে যাবে।

যে রাজ্যগুলো নিয়ে কেউই নিশ্চিত নয় সে রাজ্যগুলোর দিকেই সবার দৃষ্টি। এই অঙ্গরাজ্যগুলোর ভোটারদের মন জয় করার চেষ্টা করছেন উভয়েই। কারণ শেষমেষ নির্বাচনে জয়ের ক্ষেত্রে এই দোদুল্যমান রাজ্যগুলো একটা বড় ভূমিকা নিয়ে থাকে। ভোটের ফলে ওই রাজ্যগুলো যেন নির্ণায়ক হয়ে ওঠে।

• এসএইচ