আফগানিস্তানে আকস্মিক বন্যায় মৃত্যু বেড়ে ৩০০

রাজ টাইমস ডেস্ক : | প্রকাশিত: ১১ মে ২০২৪ ২৩:৩৯; আপডেট: ৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ০৭:৪৩

ছবি: সংগৃহীত

আফগানিস্তানে অস্বাভাবিক ভারী বৃষ্টিপাতের ফলে সৃষ্ট আকস্মিক বন্যায় তিন শতাধিক মানুষের মৃত্যু হয়েছে। এতে এক হাজারেরও বেশি ঘরবাড়ি ধ্বংস হয়েছে।

শনিবার (১১ মে) জাতিসঙ্ঘের খাদ্য সংস্থা এই তথ্য জানিয়েছে।

বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি (ডব্লিউএফপি) জানিয়েছে, গত কয়েক সপ্তাহ ধরে আফগানিস্তানে আঘাত হানা বন্যায় বেঁচে যাওয়া মানুষের মাঝে বিস্কুট বিতরণ করা হচ্ছে। দেশটির উত্তরাঞ্চলীয় বাঘলান প্রদেশ শুক্রবারের বন্যায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

পার্শ্ববর্তী তাখার প্রদেশে বন্যায় অন্তত ২০ জনের মারা যাওয়ার খবর দিয়েছে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন সংবাদমাধ্যমগুলো।

তালেবান সরকারের প্রধান মুখপাত্র জাবিউল্লাহ মুজাহিদ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স-এ( সাবেক টুইটার) পোস্ট করে বলেছেন,‘এই বিপর্যয়কর বন্যায় শত শত প্রাণহানি এবং উল্লেখযোগ্য সংখ্যক আহত হয়েছে।’

মুজাহিদ বাদাখশান, বাগলান, ঘোর ও হেরাত প্রদেশ সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে উল্লেখ করেছেন। তিনি আরও বলেন, 'ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞের' ফলে 'উল্লেখযোগ্য আর্থিক ক্ষতি' হয়েছে।

তিনি বলেন, সরকার দুর্গতদের উদ্ধার, আহতদের হাসপাতালে পাঠানো এবং নিহতদের উদ্ধারের জন্য সমস্ত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে নির্দেশ দিয়েছে।

তালেবান প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় শনিবার এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, দেশটির বিমানবাহিনী এরই মধ্যে বাঘলান থেকে লোকজনকে সরিয়ে নেয়া শুরু করেছে এবং বন্যাকবলিত এলাকায় আটকে পড়া বিপুল সংখ্যক মানুষকে উদ্ধার করেছে। আহত ১০০ জনকে ওই অঞ্চলের সামরিক হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।

আফগানিস্তানে মানবাধিকার পরিস্থিতিবিষয়ক জাতিসঙ্ঘের বিশেষ দূত রিচার্ড বেনেট এক্স-এ (সাবেক টুইটার) বলেছেন, এই বন্যা জলবায়ু সঙ্কটে ক্ষতির শিকার আফগানিস্তানের দুর্বলতাকে স্পষ্টভাবে মনে করিয়ে দিয়েছে। তালেবান ও আন্তর্জাতিক পক্ষকে তাৎক্ষণিক সহায়তা প্রদান এবং দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা গ্রহণ করা প্রয়োজন বলে উল্লেখ করেন তিনি।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট করা ভিডিওতে দেখা গেছে, শনিবার কয়েক ডজন মানুষ বাঘলান হাসপাতালের পেছনে জড়ো হয়ে তাদের প্রিয়জনদের খুঁজছেন। কর্মীরা দাফনের জন্য লাশগুলো প্রস্তুত করার সময় একজন কর্মকর্তা আগত স্বজনদের বলেন, তাদের কবর খনন শুরু করা উচিত।

এর আগে দেশটির কর্মকর্তারা জানিয়েছিলেন, গত এপ্রিলে দেশটিতে ভারী বৃষ্টিপাত ও আকস্মিক বন্যায় অন্তত ৭০ জনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া প্রায় দুই হাজার বাড়ি, তিনটি মসজিদ ও চারটি স্কুল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

সূত্র : এপি




বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাস
এই বিভাগের জনপ্রিয় খবর
Top