এভারেস্টের শৃঙ্গ ছোঁয়া হল না রেশমার

আকাশছোঁয়ার স্বপ্ন যেন মাটিতেই উবে গেল। নিমেষেই ঘটে গেল একটি স্বপ্নের মৃত্যু।

পর্বতারোহী রেশমা নাহার রত্না (৩৩) শুক্রবার (৭ আগস্ট) সকালে সাইক্লিং করছিলেন রাজধানীর সংসদ ভবন এলাকার চন্দ্রিমা উদ্যান সংলগ্ন লেক রোডে। মুহূর্তেই প্রাইভেটকারের চাপায় পৃথিবীকে চির বিদায় জানান তিনি।

শেরেবাংলা নগর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. ইব্রাহিম এ তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, একটি প্রাইভেটকার রেশমাকে চাপা দিয়েছে। এরপর পথচারীরা তাকে উদ্ধার করে সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে আসেন। সেখানে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

সাবিনা ইয়াসমীন মাধবী, রেশমার সহচর, একসাথেই সাইক্লিং করতেন। তিনি জানান, রেশমা রত্না পর্বতারোহী, দৌড়বিদ এবং সাইক্লিস্ট ছিলেন। তিনি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে চাকরি করতেন।

দুমড়ে-মুচড়ে যাওয়া সাইকেলটি ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ জব্দ করেছে।

পর্বাতারোহী রেশমার অতীত কর্মকান্ড-

২০১৯ সালের ২৪ আগস্ট ভারতের লাদাখে অবস্থিত স্টক কাঙরি পর্বত এবং ৩০ আগস্ট কাং ইয়াতসে-২ পর্বতে সফলভাবে আরোহণ করেন রত্না। দুটি পর্বতই ছয় হাজার মিটারের বেশি উচ্চতার। এরপর ২০১৮ সালে আফ্রিকার উচ্চতম পর্বত মাউন্ট কিলিমানজারো ও দ্বিতীয় উচ্চতম পর্বত মাউন্ট কেনিয়া অভিযানে অংশগ্রহণ করেন।

২০১৬ সালে বাংলাদেশের পাহাড় কেওক্রাডংয়ের চূড়া স্পর্শ করার মাধ্যমে শুরু হয় রেশমা রত্নার অভিযান। ওই বছরই মৌলিক প্রশিক্ষণের জন্য ভারতের উত্তরাখণ্ডের উত্তরকাশিতে অবস্থিত পর্বতারোহণ প্রশিক্ষণ প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান নেহেরু ইনস্টিটিউট অব মাউন্টিইনিয়ারিংয়ে যান তিনি। কিন্তু অ্যাডভ্যান্স বেজক্যাম্পে যাওয়ার পর তার পায়ে ফ্র্যাকচার হয়। দেশে ফেরার পর সুস্থ হতে লেগে যায় দীর্ঘদিন। পরবর্তী সময়ে নিজ উদ্যোগে সফলভাবে পর্বতারোহণের মৌলিক ও উচ্চতর প্রশিক্ষণ নেন তিনি।

নানা সৃজনশীল কর্মকান্ডে যুক্ত ছিলেন রেশমা নাহার রত্না।

খবর-যুগান্তর
এসএইচ