আজ কবি মাহফুজুর রহমান আখন্দ’র জন্মদিন

নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ২৮ ডিসেম্বর ২০২১ ০৮:৪৬; আপডেট: ২৮ ডিসেম্বর ২০২১ ০৮:৪৭

ফাইল ছবি

২৮ ডিসেম্বর ডক্টর মাহফুজুর রহমান আখন্দ’র জন্মদিন। ১৯৭২ সালে গাইবান্ধা জেলাধীন সাঘাটা উপজেলার শ্যামপুর গ্রামে তাঁর জন্ম। পিতা মোজাফফর রহমান আখন্দ এবং মাতা মর্জিনা আখন্দ। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর ড. আখন্দ গবেষণা এবং সাহিত্য সমালোচনাতেও বেশ সুনাম কুড়িয়েছেন।

ইতিহাসের নানা বিষয়ে তাঁর ৮টি গ্রন্থ বিশ্ববিদ্যালয়সমূহে পড়ানো হয়। রোহিঙ্গা সমস্যার উপর বাংলাদেশে তিনিই সর্বপ্রথম স্বার্থক গবেষক।

তিনি এম.ফিল এবং পিএইচ.ডি ডিগ্রি অর্জন করেছেন রোহিঙ্গা বিষয়কে কেন্দ্র করেই। তাঁর ‘আরাকানের মুসলমানদের ইতিহাস’ এবং ‘রোহিঙ্গা সমস্যা ও বাংলাদেশ’ গবেষণা গ্রন্থদুটি এ বিষয়ের মাস্টার পিস গ্রন্থ হিসেবে বিবেচিত।

প্রফেসর আখন্দ বাংলা সাহিত্যের একজন খ্যাতিমান শিশুসাহিত্যিক। শিশুদের শব্দভাষা এবং কোমল মনের অনুভূতিগুলো ভালোভাবেই বোঝেন তিনি।

শিশুমনের কোমলতা এবং কৌতুহলকে ঘিরেই তিনি সাহিত্য রচনা করেন। ছড়া-কবিতা, গান, গল্প, প্রবন্ধ প্রভৃতি বিষয়ে তিনি লিখে চলেছেন নিয়মিত।

‘জলজ রাজার দেশে’ এবং ‘জ্বীনের বাড়ি ভূতের হাঁড়ি’ গল্পগ্রন্থদুটি শিশুসাহিত্যে মজার সংযোজন। ‘স্বপ্ন দেখি মানুষ হবার’ ‘ধনচে ফুলের নাও, ‘মামদো ভূতের ছাও, ‘জ্বীন পরী আর ভূতোং, তাঁর মজাদার শিশুতোষ ছড়াগ্রন্থ।

বড়োদের জন্যও কবিতা, ছড়া, গান, প্রবন্ধ-নিবন্ধ লিখছেন ড. আখন্দ । ‘মনটা অবুঝ পাখি, ‘জীবন নদীর কাব্য, ‘তোমার চোখে হরিণমায়া, ‘গুমর হলো ফাঁস, ‘স্বপ্নফুলে আগুন, ‘ছড়ামাইট, ‘হৃদয় বাঁশির সুর’ প্রভৃতি গ্রন্থগুলো কবিতা, ছড়া এবং গানের জগতে তাঁর উল্লেখযোগ্য সংযোজন। ‘মোহনা’ এবং ‘শব্দকলা’ নামে দুটি সাহিত্য পত্রিকার সফল সম্পাদকও তিনি। ছড়া, কবিতা গল্প এবং সম্পাদনার ভেতর দিয়ে তিনি নতুন সমাজ বিনির্মাণের স্বপ্ন দেখেন। স্বপ্ন দেখেন পরিশুদ্ধ সাংস্কৃতিক জগৎ গড়ার। তাঁর বক্তৃতাও বেশ উপভোগ্য। ‘মোটিভেশনাল স্পিকার’ হিসেবে তিনি তরুণ প্রজন্মের কাছে দারুণ জনপ্রিয়।

গাইবান্ধা জেলায় জন্ম হলেও তিনি বগুড়াসহ সারা দেশের শহর-গ্রামের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের সন্ধানে ঘুরে বেড়িয়েছেন। স্কুল, মাদরাসা, কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ে লেখাপড়া করার কারণে বৈচিত্র্যময় অভিজ্ঞতাও অর্জন করেছেন তিনি। সাংস্কৃতিক মঞ্চ থেকে শুরু করে সাংবাদিকতার মাঠেও তিনি সরব।

বাংলা একাডেমী, এশিয়াটিক সোসাইটি, বাংলাদেশ ইতিহাস পরিষদ, বাংলাদেশ ইতিহাস সমিতি, বাংলাদেশ ইতিহাস একাডেমি, পশ্চিমবঙ্গ ইতিহাস সংসদ, ইন্ডিয়ান হিস্ট্রি কংগ্রেস, রাজশাহী পরিচয় সংস্কৃতি সংসদ, শব্দকলাসহ বিভিন্ন জাতীয় ও আর্ন্তজাতিক সংগঠনের সাথে জড়িত তিনি।

ভার্চুয়াল মিডিয়াতেও তিনি বেশ সরব থাকেন। ড. আখন্দকে ঘিরে ৫দিন ব্যাপী কর্মসূচি গ্রহণ করেছে অনলাইন হামার টিভি এবং জেইন টিভিসহ বিভিন্ন ভার্চুয়াল মিডিয়া।

 

এসকে




বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাস
এই বিভাগের জনপ্রিয় খবর
Top