মোবাইল আর্থিক সেবার ১০ বছর পূর্তিতে রাজশাহীতে বর্ণাঢ্য মেলার আয়োজন
নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ৯ মার্চ ২০২২ ০৪:৪১; আপডেট: ৯ মার্চ ২০২২ ০৬:৩৬

‘হাতের মুঠোয় আর্থিক সেবা’ শ্লোগানের সাথে মোবাইল ফাইনানসিয়াল সেবার এমএফএস) ১০ বছর পূর্তিতে রাজশাহীতে অনুষ্ঠিত হয়ে গেল বর্ণাঢ্য মেলা । মঙ্গলবার (৮ ফেব্রুয়ারি) সকালে রাজশাহীর পদ্মা পাড়ের মুক্ত মঞ্চে এ মেলার আয়োজন করে বাংলাদেশ ব্যাংক। শহরের মাদ্রাসা মাঠ সংলগ্ন মুক্ত মঞ্চে বেলুন উড়িয়ে বর্নাঢ্য মেলার উদ্বোধন করা হয়। এই মেলার উদ্বোধন করেন বাংলাদেশ ব্যাংকের এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর জীবন কৃষ্ণ রায়।
মেলায় এমএফএস নিয়ে সচেতনতামূলক পুতুল নাচ, গম্ভীরা, পথ নাটক প্রদর্শিত হয়। এসময় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের যুগ্ন পরিচালক জুলেখা নুসরাত, উপ-মহাব্যবস্থাপক জুলিয়া চৌধুরী ও এমএফএস প্রতিষ্ঠানগুলোর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ। স্বাগত বক্তব্য রাখেন ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেড এর সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেণ্ট এ এফ এম কামাল ঊদ্দীন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেড এর এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেণ্ট ও রাজশাহী জোন প্রধান মোঃ মিজানুর রহমান মিজি। রাজশাহীর এই আয়োজনে লিড ব্যাংকের ভূমিকা পালন করে ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেড ।
১১ কোটির বেশি গ্রাহকের এমএফএস খাতের ১০ বছর পূর্তি আয়োজনের পৃষ্ঠপোষকতায় রয়েছে বিকাশ, রকেট, এমক্যাশ, উপায়, ট্যাপ, মাই ক্যাশ, টেলিক্যাশ, মেঘনা ব্যাংক লিমিটেড, এফএসআইবি, রূপালী ব্যাংক লিমিটেড, ওকে ওয়ালেট, ইসলামিক ওয়ালেট ও নগদ।
মেলায় অতিথিবৃন্দ তাদের বক্তৃতায় বলেন, এক দশক আগে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা ও ঐকান্তিক ইচ্ছায় প্রশস্ত হয় বাংলাদেশের মোবাইল আর্থিক সেবার পথ চলা। সরকারের ডিজিটাল বাংলাদেশ রূপকল্পের অংশ হিসেবে ব্যাংকিং সেবার বাইরে বা সীমিত ব্যাংকিং সেবার আওতায় থাকা জনগনকে আর্থিক অন্তর্ভুক্তির আওতায় আনতে ২০১১ সালে শুরু হয় মোবাইল ভিত্তিক আর্থিক লেনদেন সেবা। বাংলাদেশ ব্যাংকের নিবিড় তত্তাবধায়ন ও পর্যবেক্ষণে এই সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর উদ্যোগে মাত্র দশ বছরে এমএফএস এখন দেশের মানুষের প্রতিদিনের আর্থিক লেনদেনের অংশ হয়ে দাঁড়িয়েছে। শুধুমাত্র দেশে নয়, সারা বিশ্বে আর্থিক অন্তর্ভুক্তিতে দৃষ্টান্ত তৈরি করেছে বাংলাদেশের এমএফএস খাত। ব্যাংক-লেড মডেল যাত্রা শুরু করা এ খাতে বর্তমানে ১৩টি এমএফএস প্রতিষ্ঠান সেবা দিচ্ছে।
সবগুলো এমএফএস মিলিয়ে গ্রাহক সংখ্যা ১১ কোটির বেশি। এজেন্ট সংখ্যা ১১ লাখের বেশি। গড়ে দৈনিক দুই কোটি বার লেনদেন হয় এমএফএসে, টাকার অংকে যার পরিমান ২ হাজার ২৯৫ কোটি টাকা।
প্রযুক্তি ব্যবহার করে এক স্থান থেকে অন্য স্থানে টাকা পাঠানোর জন্য ক্যাশ ইন, ক্যাশ আউটের সুযোগ নিয়ে যাত্রা শুরু হলেও সময়ের সাথে সাথে বিভিন্ন ধরনের সৃজনশীল সেবা যুক্ত করেছে এমএফএস। মোবাইল রিচার্জ করা, বিদেশ থেকে সরাসরি রেমিটেন্স পাওয়া, মোবাইল অ্যাকাউন্টে সঞ্চিত অর্থের উপর মুনাফা, বিভিন্ন ধরনের ইউটিলিটি সেবার বিল পেমেন্ট, ব্যাংক থেকে এমএফএস অ্যাকাউন্টে টাকা আনা, এমএফএস অ্যাকাউন্ট থেকে ব্যাংক অ্যাকাউন্টে টাকা পাঠানো, সরকারের বিভিন্ন ধরনের ভাতা ও উপবৃত্তি বিতরণ, তৈরি পোশাক খাতের শ্রমিক সহ বিভিন্ন শিল্পের শ্রমিকদের বেতন বিতরণ, এমএফএস অ্যাকাউন্টে আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ডিজিটাল ন্যানো ঋণ এবং মাসিক সঞ্চয় সেবাসহ প্রতিনিয়তই নতুন সেবায় সমৃদ্ধ হচ্ছে এমএফএস খাত। ফলে সক্ষমতা ও স্বাধীনতা এসেছে মানুষের দৈনন্দিন আর্থিক লেনদেনে।
এম এস ইসলাম
বিষয়: অর্থ-বাণিজ্য
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: