স্বৈরাচার পতন দিবস উপলক্ষে নগর জামায়াতের আলোচনা সভা

প্রেস বিজ্ঞপ্তি | প্রকাশিত: ৭ ডিসেম্বর ২০২০ ০১:৩৫; আপডেট: ৯ মে ২০২৪ ০৯:০১

বাংলাদেশের ইতিহাসে এ দিনটি অনন্য উজ্জল। গণঅভ্যুত্থানের মূখে ১৯৯০ সালের ৬ ডিসেম্বর স্বৈরাচারী এরশাদ সরকারের একদলীয় শাসন থেকে দেশের জনগন গণতন্ত্রকে মুক্ত করেছিল। নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্বাবধায়ক সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তরের মাধ্যমে গণতান্ত্রিক আনন্দোলন বিজয় লাভ করেছিল। আজ আবারোও সেই স্বৈরচারী এরশাদ বাকশালীদের সাথে হাত মিলিয়ে গনতন্ত্রকে গলা টিপে হত্যা করছে। আওয়ামী লীগ মুখে গণতন্ত্রের কথা বললেও বাস্তবে গণতন্ত্রকে হত্যা করছে। স্বাধীনদেশের জনগন তা কখনও মেনে নিতে পারেনা। অবিলম্বে দেশের জনগন শেখ হাসিনার পাতানো গণতন্ত্র থেকে দেশকে মুক্ত করে প্রকৃত গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করবে ইনশাল্লাহ।

রবিবার (৬ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী রাজশাহী মহানগরীর উদ্যোগে স্বৈরাচার পতন দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তবে এসব কথা বলেন দলটির রাজশাহী মহানগরীর আমীর ড. মাওলানা কেরামত আলী। আলোচনা সভায় আরো বক্তব্য রাখেন অধ্যক্ষ সিদ্দিক হোসাইন, অধ্যাপক আব্দুল ওহাব সরকার প্রমূখ।

জামায়াত নেতারা আরো বলেন, জামায়াতে ইসলামী একটি স্বীকৃত আদর্শ রাজনৈতিক দল। গণতান্ত্রিক দেশে মিছিল-মিটিংসহ সব ধরণের গণতান্ত্রিক কর্মকান্ডের অধিকার এই দলের রয়েছে। কিন্তু বর্তমান সরকার জোর করে অবৈধ ভাবে ক্ষমতায় আসার পর থেকে পুলিশ , র‌্যাব বাহিনী দিয়ে অন্যায়ভাবে আমাদের বিভিন্নভাবে হয়রানি করছে এমনকি মিথ্যা মামলার নাটক সাজিয়ে শীর্ষ নেতাদের বিরুদ্ধে ফাঁসির রায় দিয়ে দেশ থেকে ইসলামী নেতৃত্বশূন্যের ষড়যন্ত্র করছে এই সরকার ইসলামের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে। এ সরকারের আমলে কুরআনের তাফসির মাহফিল বন্ধ করার জন্য ১৪৪ ধারা পর্যন্ত জারি করা হয়েছে। বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মেয়েদের পর্দা পালনে বাধা সৃষ্টি করা হচ্ছে। ধর্মহীন শিক্ষানীতি চালুর মাধ্যমে নতুন প্রজন্মকে ইসলাম থেকে দূরে ঠেলে দেয়ার চক্রান্ত করা হচ্ছে। দেশে মূর্তি তৈরী করছে, আলেম-ওলামাদের লাঠিপেটাও করছে এ সরকার। বিরোধী দল বিশেষ করে জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী ছাত্রশিবিরকে মিছিল সমাবেশ করতে দেয়া হচ্ছে না। মিছিল বের করলেই লাঠিপেটা করা হচ্ছে। গ্রেফতার করে কারাগারে পাঠানো হচ্ছে। জামায়াতের কেন্দ্রীয় অফিসসহ দেশের সকল কার্যলয়ে কোনো কার্যক্রম করতে দেয়া হচ্ছে না। মিছিল সমাবেশ করার সাংবিধানিক অধিকার থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে। বিভিন্ন সময়ে হাজার হাজার নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করে জেলে পাঠানো হয়েছে। রিমান্ডে নিয়ে নির্যাতন চালানো হয়েছে। নেতৃবৃন্দ সরকার ও পুলিশ বাহীনির সদস্যদের এ ধরণের কর্মকান্ড পরিহার করার আহবান এবং জামায়াত নেতা ও সকল রাজনৈতিক নেতাকর্মীর মুক্তি, সংবিধানে আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস ও আস্তা পূণঃস্থাপন, কেয়ারটেকার সরকার ব্যবস্থা পূনবহাল করে জনগনের সরকার প্রতিষ্ঠার জন্য নির্বাচনের জোর দাবি করেন, নইলে গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে স্বৈরাচারী এরশাদ সরকারের মতো বর্তমান অবৈধ সরকারেরও পতন ঘটবে।

এনএস




বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাস
এই বিভাগের জনপ্রিয় খবর
Top