ভোলায় হরতাল ডাকলো বিএনপি

রাজটাইমস ডেস্ক | প্রকাশিত: ৪ আগস্ট ২০২২ ০৫:৩৭; আপডেট: ১৬ মার্চ ২০২৫ ১৩:১৪

ছবি : প্রতিকী

ভোলায় বিএনপি নেতাদের সঙ্গে সংঘর্ষের সময় পুলিশের গুলিতে আহত জেলা ছাত্রদলের সভাপতি নুরে আলম মারা গেছেন। বুধবার (৩ আগস্ট) দুপুরে রাজধানীর একটি হাসপাতালে লাইফ সাপোর্টে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।

এর আগে পুলিশের গুলিতে আবদুর রহিম নামে স্বেচ্ছাসেবক দলের এক নেতা নিহত হন। এ নিয়ে ওই সংঘর্ষের ঘটনায় বিএনপির ২ নেতা নিহত হলো।

এদিকে জেলা ছাত্রদল সভাপতি মো. নুরে আলম নিহতের প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার (৪ আগস্ট) ভোলায় সকাল-সন্ধ্যা হরতাল ডেকেছে বিএনপি।

জেলা বিএনপির সভাপতি গোলাম নবী আলমগীর বুধবার (৩ আগস্ট) বিকেলে নিজের বাসায় দলের নেতাদের নিয়ে জরুরি সভা করে হরতালের কর্মসূচি ঠিক করেন। সভায় উপস্থিত সদর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মো. হেলাল উদ্দিন গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

উল্লেখ্য, বিএনপির কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে, গ্যাস, বিদ্যুতসহ নিত্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধি এবং বিদ্যুতের লোডশেডিংয়ের প্রতিবাদে গত ৩১ জুলাই বেলা ১১টায় ভোলা জেলা বিএনপি প্রতিবাদ সমাবেশ এবং বিক্ষোভ কর্মসূচির আয়োজন করে। শহরের কালীনাথ রায়ের বাজার এলাকায় জেলা বিএনপি কার্যালয়ে সমাবেশ শেষে মিছিল করতে রাস্তায় নামে দলীয় নেতাকর্মীরা। এসময় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ বাধে তাদের। সংঘর্ষে পুলিশকে লক্ষ্য করে ব্যাপক ইটপাটকেল নিক্ষেপ করা হয়। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ৩০ রাউন্ড টিয়ার শেল ও ১৬৫ রাউন্ড শটগানের গুলি ছোড়ে। গুলিতে অর্ধশতাধিক নেতাকর্মী গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হলে তাদের ভোলা সদর হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখানে চিকিৎসারত অবস্থায় দক্ষিণ দিঘলদী ইউনিয়নের কোড়ালিয়া গ্রামের হারেছ মাতব্বরের ছেলে স্বেচ্ছাসেবকদল নেতা আব্দুর রহিম মারা যান। মাথায় গুলিবিদ্ধ গুরুতর আহত ভোলা জেলা ছাত্রদল সভাপতি নুরে আলমকে ভোলা হাসপাতাল থেকে প্রথমে বরিশাল সেবাচিমে পাঠানো হয়।

সেখানকার ডাক্তাররা ব্যর্থ হয়ে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাৎক্ষণিক ঢাকায় পাঠান। ৩দিন হাসপাতালে লাইফ সাপোর্টে থাকার পর বুধবার বেলা ৩টার কিছুক্ষণ পর ডাক্তাররা তাকে মৃত ঘোষণা করেন বলে সাংবাদিকদের নিশ্চিত করেছেন ভোলা সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি আসিফ আলতাফ।



বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাস
এই বিভাগের জনপ্রিয় খবর
Top