খালেদা জিয়ার কিছু হলে গৃহযুদ্ধের সম্ভাবনা তৈরি হতে পারে: গণতন্ত্র মঞ্চ

রাজ টাইমস | প্রকাশিত: ১১ অক্টোবর ২০২৩ ০৯:১২; আপডেট: ২৯ এপ্রিল ২০২৪ ০৯:১৮

ছবি: সংগৃহীত

রাজনৈতিক প্রতিহিংসাপরায়ণ হয়ে সরকার খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিয়ে চিকিৎসা নিতে দিচ্ছে না। তার শারীরিক অবস্থা অত্যন্ত খারাপ। তার কোনও খারাপ পরিণতি হলে এর দায় সরকারকেই নিতে হবে। এর ফলে দেশে একটি গৃহযুদ্ধের সম্ভাবনাও তৈরি হতে পারে।

মঙ্গলবার (১০ অক্টোবর) জাতীয় প্রেস ক্লাবের তোফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে গণতন্ত্র মঞ্চ আয়োজিত ’একতরফা নির্বাচনের পায়তারা, সম্ভাব্য বিপর্যয় ও জনগণের করণীয়’- শীর্ষক আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে গণতন্ত্র মঞ্চের অন্যতম নেতা ও বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, বেগম জিয়ার যদি কিছু হয়ে যায় তাহলে তার দায় আওয়ামী লীগ কোনোভাবে এড়াতে পারবে না। এ বিষয়ে তাদের পরিষ্কার সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত। এটা তারা না করলে প্রতিহিংসার রাজনীতির দেয়াল আরও বাড়তে থাকবে। ফলে একটি গৃহযুদ্ধের সম্ভাবনা তৈরি হতে পারে।

আওয়ামী লীগের সমালোচনা করে সাইফুল হক বলেন, বিরোধী দলকে মোকাবিলা করতে আওয়ামী লীগের কোনও কর্মসূচি নাই, তারা আছে মানুষ যেটা খায়। তাদের নৈতিক, রাজনৈতিক পরাজয় হয়েছে। দল হিসেবে তাদের যে মৃত্যু ঘটেছে তা ওবায়দুল কাদের ও তথ্যমন্ত্রীর গত তিন মাসের কথায় স্পষ্ট।

সরকার এখন তাদের অধীনে নির্বাচন হবে এটাও জোর গলায় বলতে পারছে না জানিয়ে তিনি আরও বলেন, বিদেশ সফর শেষে দেশে এসে তলে তলে আপসের ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী কিছু বলেননি। সংবাদ সম্মেলনে তার যে রাগ-ক্ষোভ-অভিমান প্রকাশ পেয়েছে তাতে এই সফর যে কোনও কাজে লাগেনি সেটা বোঝা গেছে। তাদের অধীনে আগামী নির্বাচন হবে সেটাও জোর দিয়ে তারা আর বলতে পারছে না।

নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, আমার মনে হয় না সরকার নির্বাচন পর্যন্ত যেতে পারবে, তফসিল ঘোষণা করতে পারবে। আমরা লড়াই ছাড়বো না। এখানে কোনও আপসকামীতার সুযোগ নেই। পূজার পরে আমরা ভালোভাবে আসবো, এমন ভালোভাবে আসবো যেটা সরকারের জন্য খারাপ হবে।

প্রধানমন্ত্রীর যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য সফরে কোনও প্রাপ্তি নেই জানিয়ে তিনি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী, সরকার, ওবায়দুল কাদেরের করার কিছু আছে বলে দেখছি না। করার থাকলে ৫ দিন ওয়াশিংটনে গিয়ে বসে থাকেন? তিনি সেখানে কী করছেন কেউ জানে না।

গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি বলেন, তফসিল ঘোষণার পায়তারা থেকে বের হয়ে সংসদের শেষ অধিবেশনে নির্দলীয় সরকারের বিধান করে সসম্মানে বিদায় নিতে পারেন। সব কিছু উপেক্ষা করে যদি একতরফা নির্বাচনের পথে যান তাহলে বাংলাদেশের জনগণ তাদের অধিকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে নামবে।

তিনি আরও বলেন, রিজার্ভ, রেমিট্যান্স কমছে, পাচার বাড়ছে, সাধারণ মানুষের ওপর ভয়ঙ্কর চাপ নেমে আসছে, মূল্যস্ফীতি বাড়ছে। অর্থনৈতিক বিপর্যয় হলে সবক্ষেত্রেই বিপর্যয় নেমে আসবে। এই সরকার যেহেতু ইতিবাচক পথে হাঁটবে না তাই জনগণকে সংগ্রাম করেই এগুতে হবে।

আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জেএসডির সহ-সভাপতি তানিয়া রব, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের সমন্বয়ক হাসনাত কাইয়ূম প্রমুখ।



বিষয়:


বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাস
এই বিভাগের জনপ্রিয় খবর
Top