সমাবেশস্থল থেকে বিএনপি-আ’লীগের নেতাকর্মীদের সরে যেতে বলেছে ডিএমপি

রাজ টাইমস | প্রকাশিত: ২৭ অক্টোবর ২০২৩ ২০:১২; আপডেট: ২৯ এপ্রিল ২০২৪ ০৪:৩৮

ছবি: সংগৃহীত

আওয়ামী লীগ ও বিএনপির সমাবেশস্থল থেকে দল দুটির নেতাকর্মীদের সরে যেতে বলেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)। ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশন) ড. খ. মহিদ উদ্দিন এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, অনুমতির আগ পর্যন্ত কোনো দলের নেতাকর্মী সমাবেশস্থলে জড়ো হতে পারবেন না।

শুক্রবার (২৭ অক্টোবর) সন্ধ্যায় ডিএমপি সদরদপ্তরে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ তথ্য জানান।

এসময় সাংবাদিকরা অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনারের কাছে জানতে চান- বায়তুল মোকাররমের দক্ষিণ গেটেও আওয়ামী লীগ সমাবেশের জন্য স্টেজ করা শুরু করেছে। অন্যদিকে বিএনপির নেতাকর্মীরা নয়াপল্টনে জড়ো হচ্ছেন। এখনো যেহেতু আনুষ্ঠানিকভাবে অনুমতি দেওয়া হয়নি সেক্ষেত্রে তারা কীভাবে এ কাজ করছে?

এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমরা দুটি দলকেই অনুরোধ করেছি তারা যেন এ কাজটি না করেন, যতক্ষণ পর্যন্ত ডিএমপি থেকে কোনো সিদ্ধান্ত না আসে। বায়তুল মোকাররমের দক্ষিণ গেটে দলটির স্টেজের কাজ স্থগিত করে রেখেছে। নয়াপল্টন থেকেও বেশিরভাগ চলে গেছে।

নয়াপল্টন এলাকায় সিসি ক্যামেরা বসানো হয়েছে। সমাবেশের প্রস্তুতির জন্যই কি ক্যামেরাগুলো বসানো হয়েছে। এমন প্রশ্নের জবাবে অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার বলেন, আমরা সেইফ সিটি ঢাকা চাই। যেখানে প্রতিটি মানুষ নিরাপদে থাকবে। প্রতিদিন বিভিন্ন প্রোগ্রাম হয় সেখানেও সিসি ক্যামেরা থাকে। ডিএমপির দায়িত্বের জায়গা থেকে স্ব-প্রণোদিত হয়ে নিরাপত্তার জন্য ক্যামেরাগুলো লাগানো হয়েছে।

বিএনপির সমাবেশ ঘিরে কোনো শঙ্কা আছে কি না জানতে চাইলে ডিএমপির এই ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, আশংকা নোটিশ করে আসবে না। যদি কেউ মাস্টারমাইন্ড থেকে থাকে সেটিকে ঘিরেই আমাদের নিরাপত্তা থাকে। সবকিছু সুন্দর করে হয়ে গেলে আমাদের আর প্রয়োজন ছিল না।

আওয়ামী লীগের সমাবেশসহ অন্যান্য রাজনৈতিক দলের সমাবেশে সিসি ক্যামেরা আছে কি না। জানতে চাইলে ড. খ. মহিদ উদ্দিন বলেন, অবশ্যই বায়তুল মোকাররমের দক্ষিণ গেটেও সিসি ক্যামেরা আছে। রাজধানীর বিভিন্ন জায়গায় সিসি ক্যামেরা আছে। আগামীকালের সমাবেশকে কেন্দ্র করে সিসি ক্যামেরা লাগানো হয়েছে, শুধু আজকে নয় এর আগেও লাগানো হয়েছিল।

ঢাকার প্রবেশ পথে তল্লাশিতে সাধারণ মানুষ হয়রানির শিকার হয়। আগামীকাল এ ধরনের হয়রানির শিকার হতে হবে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, ঢাকা শহরের প্রবেশপথগুলোতে যথেষ্ট চেকপোস্ট রয়েছে। কারণ এই মেগা সিটিতে কোনো দুষ্কৃতিকারী প্রবেশ করবে এটি কাম্য নয়। অপরাধী মানুষকে চেক করতে গিয়ে কখনো কখনো ভালো মানুষকেও চেক করতে হয়। এয়ারপোর্টেও সবাইকে চেকিংয়ের আওতায় আনা হয়। থ্রেট থেকে সেভ থাকার জন্য চেক পয়েন্টে সবাইকে চেক করা হয়।

গতকাল বৃহস্পতিবার অনেকের মোবাইল চেক করা হয়েছে। বিএনপির ফেসবুক পেজে লাইক দেওয়াকে কেন্দ্র করে অনেককেই গ্রেফতার করা হয়েছেন। পুলিশ এ কাজটি করতে পারে কি না জানতে চাইলে ডিএমপির এই কর্মকর্তা বলেন, কেউ যদি অপেশাদার কাজ করে এবং আমাদের কাছে রিপোর্ট আসে ডেফিনেন্টলি আমরা ব্যবস্থা নেবো। অপেশাদার কাজকে কেউ জায়েজ করে দিতে পারে না।

 



বিষয়:


বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাস
এই বিভাগের জনপ্রিয় খবর
Top