কোন ইউনিয়ন কোন দেশ বিবৃতি দিলো তাতে কিছু আসে যায় না : ওবায়দুল

রাজ টাইমস ডেস্ক : | প্রকাশিত: ৭ নভেম্বর ২০২৩ ১৯:৪৪; আপডেট: ২৮ এপ্রিল ২০২৪ ১৯:২১

ছবি: সংগৃহীত

কোন ইউনিয়ন, কোন দেশ বিবৃতি দিলো তাতে কিছু আসে-যায় না বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

মঙ্গলবার (৭ নভেম্বর) বিকেলে বঙ্গবন্ধু এভিনিউস্থ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। ‘মুক্তিযোদ্ধা সৈনিক হত্যা দিবস’ উপলক্ষে এই আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘কোন ইউনিয়ন, কোন দেশ বিবৃতি দিলো তাতে কিছু আসে-যায় না’ জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আমার দেশের আইনে, আমার দেশের অপরাধীকে আমি বিচার করতে পারব না, এটা কোন গণতন্ত্র? কোথা থেকে এল এ আদেশ? আমার দেশের অপরাধী, আমার দেশের খুনি অথচ বিচার করতে পারব না, তাকে জেলে পাঠাতে পারব না...। আদালত আছে, সে নিরাপরাধ হলে আদালত থেকে মুক্তি নেবে। আমাদের স্বাধীন বিচার ব্যবস্থা আছে।

বিএনপিকে ‘ভীরু-কাপুরুষ’ হিসেবে আখ্যায়িত করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, তাদের (বিএনপির) রাজনীতি করা শোভা পায় না।

বিএনপির ৭ নভেম্বরের কর্মসূচি স্থগিতের সমালোচনা করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘বিএনপি এখন কোথায়? লাফালাফি কই গেল? বাড়াবাড়ি কই গেল? আজ আমি প্রশ্ন রাখতে চাই, ৭ নভেম্বর কার দিন? বিএনপির... কী দিবস? জাতীয় দিবস? জাতীয় দিবসের কর্মসূচিও স্থগিত করে দেয় এ দল। তাদের মতো ভীরু-কাপুরুষ..., তাদের তো রাজনীতি করা শোভা পায় না।’

তিনি বলেন, ‘আমি কি মিথ্যা বলেছি? তাদের দিন, তাদের জাতীয় দিবস, তাদের বিপ্লব ও সংহতি দিবস। তারা তাদের দলের প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের মাজার জিয়ারত করতেও সাহস পায় না। এ কাপুরুষদের রাজনীতি কি মানায়? তাদের আন্দোলন করার সাহস তো এখানেই বোঝা গেল।’

ওবায়দুল কাদের অভিযোগ করেন, ‘এদেশে হত্যা-ক্যু ষড়যন্ত্রের রাজনীতি শুরু করেছেন জিয়াউর রহমান। আর তার উত্তরসূরী বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমান আগুন সন্ত্রাসের সূত্রপাত করেছে।’

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘কর্নেল তাহেরসহ অসংখ্য মুক্তিযোদ্ধা এবং সৈনিক হত্যা করেছেন জিয়াউর রহমান। এই জিয়া হত্যা ষড়যন্ত্রের রাজনীতি চালু করেছে, আর তার উত্তরসূরিরা আগুন সন্ত্রাস চালু করেছে।’

তিনি বলেন, ‘জিয়াউর রহমান কর্নেল তাহেরকে বাঁচতে দেয় নাই। ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মেরেছিল। জিয়া কত সৈনিক কত মুক্তিযোদ্ধাকে হত্যা করেছে, নাশতা করতে করতে ফাঁসির আদেশ দিয়েছে। সেই জিয়াউর রহমানের উত্তরসূরিরা আজকে বাংলাদেশে আবার চেপে বসতে চায়। বাংলার গণতন্ত্রকে তারা ধ্বংস করতে চায়।’

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘এই দেশে পর্দার অন্তরালে যেসব ঘটনা ঘটেছে সেসব ঘটনা আমাদের ইতিহাসকে রক্তাক্ত ও কলঙ্কিত করেছে। ৩ নভেম্বর হত্যাকাণ্ডের মাস্টার মাইন্ড জিয়াউর রহমান। এই জিয়া সেই জিয়া যেই জিয়াকে সিপাহী-জনতার অভ্যুত্থানের পরিচয়ে কর্নেল তাহের প্রাণে বাঁচিয়েছিল। সে কারাবন্দী ছিল। ক্যান্টনমেন্টে বন্দী ছিল। তাকে উদ্ধার করেছিল। পরিণামে জিয়াউর রহমান সেই কর্নেল তাহেরকে ফাঁসিতে ঝুলিয়েছে।’

ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহমেদ মন্নাফির সভাপতিত্বে এবং হুমায়ুন কবিরের সঞ্চালনায় আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ডা. দীপু মনি, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

সূত্র : বাসস



বিষয়:


বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাস
এই বিভাগের জনপ্রিয় খবর
Top