সকল জল্পনা-কল্পনার অবসান

পুঠিয়া উপজেলা আ’লীগের সম্মেলন ১ ডিসেম্বর

নিজস্ব প্রতিবেদক, পুঠিয়া | প্রকাশিত: ৭ নভেম্বর ২০২০ ০০:৪২; আপডেট: ৭ মে ২০২৪ ১৫:৩১

অবশেষে সকল জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটাতে আগামী পহেলা ডিসেম্বর রাজশাহীর পুঠিয়া উপজেলা আ’লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন হতে যাচ্ছে। তৃণমূল নেতাকর্মীরা বলছেন দীর্ঘ প্রায় ৮ বছর পর এই সম্মেলনের মাধ্যমে যোগ্য নেতা নির্বাচিত করা হবে। এতে করে দলের মধ্যে দীর্ঘদিনের লবিং গ্রুপিং ও বিভক্তির নিরসন ঘটবে। আর এই সম্মেলন ঘিরে দলের মধ্যে সকল প্রকার প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে।

দলীয় সূত্রে জানাগেছে, নানা জটিলতার মধ্যে দিয়ে ২০১৩ সালে ২৭ ফেব্রুয়ারী উপজেলা আ’লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। ওই সম্মেলনে উপজেলা আ’লীগের সভাপতি নির্বাচিত হন সাবেক সাংসদ ও বর্তমান জেলা আ’লীগের বর্তমান সাধারণ সম্পাদক আব্দুল ওয়াদুদ দারা। আর সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন পালোপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুল মালেক। তাদের ক্ষমতার দাপটের কারণে ওই সম্মেলনে তৃণমূলের চাহিদা মোতাবেক দলের ত্যাগিরা নেতা নির্বাচন হতে পারেননি। আর তাদের কাঙ্খিত নেতা নির্বাচিত করতে না পারায় সে সময় থেকেই দলের মধ্যে বিভক্তি শুরু হয়। যার ফলে বর্তমানে স্থানীয় আ’লীগের নেতাকর্মীরা দু’ভাগে বিভক্ত হয়ে গেছে। আর দু’ভাগেই রয়েছে আলাদা কমিটি।

দলের তৃণমূল নেতাকর্মীরা বলছেন, উপজেলা আ’লীগের আগামী সম্মেলন ঘিরে ইতিমধ্যে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদে একাধিক নাম আসছে। তবে এবার কোনো ব্যবসায়ি বা দলে সদ্য যোগদানকৃত হাইব্রিড লোকজনকে নেতা হতে দেয়া হবে না। যারা দুঃসময়ে দলের নেতাকর্মীদের পাশে ছিলেন এবার তাদের মূল্যায়ন করা হবে।

তবে এবার উপজেলা আ’লীগের সভাপতি পদে একাধিক প্রার্থীর নাম আসলেও সবচেয়ে এগিয়ে আছেন বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান ও সাবেক জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি জিএম হীরা বাচ্চু। আর সাধারণ সম্পাদক হিসাবে আবারো আব্দুল মালেক এগিয়ে আছেন। আর এই দু’জন নেতা দলের দ্বায়িত্ব নিলে আগামীতে অভ্যন্তরীন সকল বিভক্তি নিরসন হয়ে সাংগঠনিক কার্যক্রম আরো গতিশীল হবে বলে মনে করছে দলটির একাংশ।

এবিষয়ে সাবেক সাংসদ মনোনিত উপজেলা আ’লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি হাসমত দৌলা বলেন, আগামী ১ ডিসেম্বর উপজেলা আ’লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। তবে দু’এক দিনের মধ্যে বিষয়টি চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত মোতাবেক সম্মেলন প্রস্তুতির কার্যক্রম শুরু করা হবে।

উপজেলা আ’লীগের সাধারন সম্পাদক আব্দুল মালেক বলেন, গত সম্মেলনে দ্বায়িত্ব নেয়ার পর থেকে আজ পর্যন্ত আমি সার্বক্ষনিক দলের তৃণমূল নেতাকর্মীদের পাশে আছি। তার পাশাপাশি দলীয় সাংগঠনিক দ্বায়িত্ব পালন করে আসছি। নেতাকর্মীরা চাইলে আমি আবারো সাধারণ সম্পাদক হিসাবে দ্বায়িত্ব পালন করতে চাই।

এদিকে উপজেলা চেয়ারম্যান ও সাবেক জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি জিএম হীরা বাচ্চু বলেন, দলকে গতিশীল করতে সৎ রাজনৈতিক নেতৃত্ব প্রয়োজন। তা হলেই মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়ন ও সাফল্য সাধারণ মানুষের দোড় গোড়ায় পৌঁছানো সম্ভব। ছাত্র জীবন থেকে দল ও মানুষের কল্যানে কাজ করে আসছি। তার প্রতিদান হিসাবে জনগণের ভালোবাসায় গত এক বছরের বেশী সময় থেকে দলের সুনাম অক্ষুন্ন রেখে উপজেলা চেয়ারম্যানের দ্বায়িত্ব পালন করছি। কেবল তৃণমূল নেতাকর্মীরা চাইলে আমি উপজেলা আ’লীগের সভাপতি হিসাবে প্রার্থী হতে চাই।

তবে এ ব্যাপারে সাবেক সাংসদ (পুঠিয়া-দুর্গাপুর) ও জেলা আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল ওয়াদুদ দারার মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলে তার ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।

কাফি/০১



বিষয়: পুঠিয়া


বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাস
এই বিভাগের জনপ্রিয় খবর
Top