অসন্তোষ ঘোচাতে অবশেষে ১৪ দলের সঙ্গে বসছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি

রাজটাইমস ডেস্ক: | প্রকাশিত: ২২ মে ২০২৪ ১৯:৫৮; আপডেট: ১৬ জুন ২০২৪ ১১:৪৩

ছবি: সংগৃহীত

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রত্যাশিত আসন পাননি ১৪ দলের শরিকরা। যে কয়টি আসনে জোটকে ছাড় দেওয়া হয়েছিল তাতেও ভরাডুবি হয়েছে শরিকদের। দুজন বাদে বাকিরা পরাজিত হয়েছেন স্বতন্ত্রদের কাছে। ফলে অনেকের মধ্যেই রয়েছে অসন্তোষ। বিভিন্ন সময় তা প্রকাশও করেছেন ১৪ দলের শরিক নেতারা। এবার সে অসন্তোষ ঘোচাতে ১৪ দলীয় জোট নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে বসছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

আওয়ামী লীগের দলীয় সূত্রে জানা গেছে, ১৪ দলীয় জোটের নেতাদের সঙ্গে আগামী বৃহস্পতিবার (২৩ মে) সন্ধ্যা ৭টায় বৈঠক করবেন সরকারপ্রধান। প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।

সূত্র জানিয়েছে, জোটের শরিক নেতাদের পাশাপাশি আওয়ামী লীগের বেশ কয়েকজন গুরুত্বপূর্ণ নেতা বৈঠকে উপস্থিত থাকবেন। বৈঠকে সভাপতিত্ব করবেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও জোট প্রধান শেখ হাসিনা।

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর ১৪ দলের সঙ্গে আওয়ামী লীগ সভাপতির এটিও প্রথম বৈঠক। সে নির্বাচনে জোটের অনেক নেতা নৌকা প্রতীক পেলেও স্বতন্ত্র প্রার্থীদের কাছে পরাজিত হন। জোটকে আসন ছাড়ার পরও দলীয় নেতাকর্মীদের জন্য আসন উন্মুক্ত রাখায় অসন্তোষ রয়েছে শরীকদের মাঝে।

নির্বাচনে ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন ও জাসদের রেজাউল করিম তানসেন ছাড়া জোটের আর কেউই বিজয়ী হতে পারেননি। ভোটের পর অনেক শরিক নেতাই এ নিয়ে প্রকাশ্য ক্ষোভ ও অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন।

সম্প্রতি গণভবনে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে ১৪ দলীয় জোটের অস্তিত্ব নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। এ সময় জোট প্রধান জানান, আদর্শিক ১৪ দলীয় জোট বহাল রয়েছে।

প্রধানমন্ত্রীর ওই ঘোষণার পর আগামী বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় গণভবনে ১৪ দলের বৈঠকটি ডাকা হয়েছে। ইতিমধ্যে জোট নেতাদের এই বৈঠকে আমন্ত্রণও জানানো হয়েছে।

জানা গেছে, বৈঠকে জাতীয় নির্বাচন ছাড়াও দেশের রাজনৈতিক, সামাজিকসহ নানা বিষয়ে আলোচনা হতে পারে। একই সঙ্গে বিরোধীদের আন্দোলন-সংগ্রাম মোকাবিলায় ১৪ দলীয় জোটের ভূমিকা কী হবে, তা নিয়েও আলোচনা হতে পারে বলে একাধিক সূত্র জানিয়েছে।

বৈঠক প্রসঙ্গে জানতে চাইলে আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ও ১৪ দলের সমন্বয়ক আমির হোসেন আমু বলেন, ১৪ দলের সঙ্গে আমাদের আদর্শিক একটা সম্পর্ক রয়েছে। আমরা বিগত দিনগুলোতে একসঙ্গে রাজপথে থেকে বিএনপি-জামায়াতের মোকাবেলা করেছি। নির্বাচনের পরে আমাদের দেখা সাক্ষাৎ হয়নি। প্রধানমন্ত্রীর এই আহ্বানে আমরা একত্রিত হবো।

বৈঠকের আলোচ্য বিষয় সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, বৈঠকের আগেই কিছু বলা যাচ্ছে না।

এ বিষয়ে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন, দুঃখ-কষ্ট কিংবা হতাশার কোনো বিষয় আছে বলে আমি মনে করি না। ১৪ দলীয় জোট প্রধান ও জোটের নেতারা বসবেন, একসাথে নানান কৌশলগত বিষয় নিয়ে আলাপ আলোচনা হবে, পরামর্শ হবে কীভাবে অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ বিনির্মাণে সবাই মিলে একসঙ্গে কাজ করা যায়। আর্থ-সামাজিক, রাজনৈতিক বিষয় নিয়েও এখানে আলোচনা হতে পারে।

তিনি বলেন, নির্বাচন নিয়ে কোনো অভিযোগ, ভুল বুঝাবুঝি— সেটাও আলোচনায় আসতে পারে। এই বৈঠকের মাধ্যমেই সমস্ত ভুল বুঝাবুঝির অবসান ঘটবে।

২৩ মে কি এজেন্ডা নিয়ে বৈঠক হতে যাচ্ছে জানতে চাইলে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ) সভাপতি হাসানুল হক ইনু বলেন, প্রধানমন্ত্রী ডেকেছেন, আগে উনি কি বলেন সেটার উপর ভিত্তি করেই আমাদের পরবর্তী এজেন্ডা সম্পর্কে বলতে পারব। আমরা আগেভাগেই কিছু ঠিক করছি না।

তিনি বলেন, ১৪ দলের শরিক জোট হয়েই আওয়ামী লীগের সাথে আছি। ধীর গতি আছে আমাদের চলার পথে। বৈঠকে বসার পর প্রধানমন্ত্রী কি প্রস্তাব দেন, তারপর আলাপ আলোচনা করা যাবে।

একই প্রসঙ্গে ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মিটিং ডেকেছেন, উনিই বলবেন। এর আগেও প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ১৪ দল আছে, ১৪ দল থাকবে। সুতরাং আগামীকাল কি বলেন, শুনি, এরপর আমরা কিছু বলতে পারবো।




বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাস
এই বিভাগের জনপ্রিয় খবর
Top