পার্বত্য জেলায় শান্তির জন্য জাতীয় কনভেনশন চায় বিএনপি

রাজটাইমস ডেস্ক | প্রকাশিত: ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ২০:৩৩; আপডেট: ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ০৫:১৬

ছবি: সংগৃহিত

পার্বত্য জেলাগুলোতে উদ্ভুত সংঘাত নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে বিএনপির সর্বোচ্চ নীতি নির্ধারণী ফোরাম স্থায়ী কমিটির সদস্যরা। তারা মনে করেন, ফ্যাসিষ্ট হাসিনা সরকারের পতনের পর অন্তর্বর্তী সরকারকে অস্থিতিশীল করার সুদূর প্রসারী চক্রান্তের অংশ হিসাবে এই ধরনের সংঘাতের সৃষ্টি করা হচ্ছে। যা সম্পূর্ণ রূপে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিত।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির বৈঠকে এমন উদ্বেগ প্রকাশ করে পার্বত্য জেলাগুলোতে শান্তি স্থাপনের জন্য দেশের গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক দল, পার্বত্য জেলায় সংশ্লিষ্ট নেতৃবৃন্দ এবং সংশ্লিষ্ট অংশীজনদের একটি জাতীয় কনভেনশন আহ্বান করতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) বিএনপির পক্ষ থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। গত ২৩ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত হওয়া স্থায়ী কমিটির বৈঠকে নেওয়া সিদ্ধান্তের বিষয়ে বিস্তারিত তুলে ধরা হয় এই বিজ্ঞপ্তিতে।

পার্বত্য অঞ্চলের অস্থিতিশীল পরিস্থিতি নিয়ে বিএনপির ভাষ্য, এই ঘটনা দেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্বের প্রতি হুমকি স্বরূপ। এই ঘটনাগুলো হালকা করে দেখার কোনও সুযোগ নেই।

বৈঠকের আলোচ্য বিষয় নিয়ে এতে বলা হয়, পতিত ফ্যাসিবাদ ক্ষমতায় ফিরে আসার জন্য পরিকল্পিতভাবে দেশের বিভিন্ন জায়গায় মাজারে হামলা, ভাংচুর ও ‘মবলিংচিং’ এর মতো ঘটনা ঘটিয়ে শিল্পাঞ্চল, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে ভীতিকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করছে। দেশকে নৈরাজ্যের দিকে ঠেলে দেওয়ার চেষ্টা করছে।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্যরা মনে করেন, এ বিষয়ে সরকারের উদ্যোগে সকল গণমাধ্যমে জন সচেতনতা সৃষ্টি করা এবং সকল দেশপ্রেমিক রাজনৈতিক দলগুলোর প্রচার প্রচারণা বাড়ানো প্রয়োজন। এই সব সমাজ বিরোধী এবং ঐক্য বিনাসী কর্মকাণ্ডের তীব্র নিন্দা জানায় এবং অবিলম্বে দায়ী ব্যক্তিদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় নিয়ে আসা জরুরি।

এছাড়াও সভায় ‘বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের উল্টো করে ঝুলিয়ে সোজা করা হবে’ বলে ভারতের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ’র বক্তব্য নিয়ে তীব্র নিন্দা জানানো হয়। বিএনপির হাইকমান্ড দুই দেশের জনগণের মধ্যে সুসম্পর্ক বজায় রাখার জন্য অন্তরায় হিসাবে কাজ করার বিষয় ভারতীয় কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ও নেতৃবৃন্দকে এই ধরনের মন্তব্য থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানিয়েছে।

তবে ইতোমধ্যে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে এই ধরনের মন্তব্যের কঠোর সমালোচনা এবং বিরত থাকার আহ্বান জানানোর কারণে বৈঠকে সন্তোষ প্রকাশ করা হয়।

এরবাইরে ফ্যাসিষ্ট হাসিনা সরকারের আমলে গঠিত ইউনিয়ন পরিষদ বাতিল করার আহ্বান জানানো হয় বৈঠকে। বিএনপির শীর্ষ নেতারা মনে করেন, প্রহসনের মাধ্যমে ইউনিয়ন পরিষদ গঠন করে পতিত সরকারের হাতিয়ার হিসাবে ব্যবহার করা হয়েছে। ইউনিয়ন পরিষদ বহাল রেখে অবাধ সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠু হবে না।



বিষয়:


বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাস
এই বিভাগের জনপ্রিয় খবর
Top