জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি দিয়েই
পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন দিতে হবে-মতিউর রহমান
নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ৮ অক্টোবর ২০২৫ ১৭:৫০; আপডেট: ৯ অক্টোবর ২০২৫ ১১:৫৭

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী রাজশাহী মহানগরীর উদ্যোগে আনুপাতিক প্রতিনিধিত্বমূলক (পি আর) নির্বাচন ব্যবস্থা প্রেক্ষিত বাংলাদেশ শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।
আজ বুধবার বিকেল ৩.০০ টায় রাজশাহী জেলা পরিষদ মিলানায়তনে এই সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। সেমিনারে বিভিন্ন স্তরের জনগণ বুদ্ধিজীবী ও পেশাজীবীরা অংশ নেন । মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বিশিষ্ট কথা সাহিত্যিক সংবাদিক ডা. নাজিব ওয়াদুদ। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছলেন, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নির্বাহী পরিষদের সদস্য ও কেন্দ্রীয় প্রচার বিভাগের সেক্রেটারি এ্যাড. মতিউর রহমান আকন্দ।
সেমিনারে এ্যাড, মতিউর রহমান আকন্দ বলেন, নির্বাচন ফেব্রুয়ারি মাসেই হতে হবে। তবে সেটা জুলাই সনদের আইনি ভিত্তির মধ্যে দিয়ে পি আর পদ্ধতিতেই হতে হবে। সকল ভােটারের মূল্যায়নে পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচনের কোনো বিকল্প নেই। এই পদ্ধতিতে নির্বাচন হলে মনোনয়ন বাণিজ্য, রাজনীতিতে পেশীশক্তির ব্যবহার, রাজনৈতিক দৃর্বৃত্তায়ন, এবং কালো টাকার প্রভাব কমে যাবে। এছাড়া এ পদ্ধতিতে প্রত্যেক ভোটারের ভোটের প্রতিফলন সংসদে সঠিকভাবে ঘটে। গণভোট সম্পর্কে তিনি বলেন জুলাই সনদের গণভোট নভেম্বর ডিসেম্বরের মধ্যে শেষ করতে হবে। যারা বলে পি আর বুঝ না তাদেরকে বলবো আপনাদের নেতারা তো ওখানেই আছে সেই দেশে পিআর আছে আপনারা জেনে নিবেন। আমাদের পাঁচ দফা আন্দোলনের অন্যতম হলো পি আর। এক সময় পি আর বিরোধীরা পি আরের জন্য আন্দোলন করবে কেয়ারটেকার সরকারের মতো।
বক্তারা আরো বলেন, জাতীয়ভাবে যদি কোনো দল ২০-২৫ শতাংশ ভোট পায়, কিন্তু তাদের সাংগঠনিক দুর্বলতা, বিত্তবৈভবের অভাব বা একক আসনে জেতার সক্ষমতা না থাকায় তারা একটি আসনও না পায়, তাহলে সেটি একটি গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় অস্বাভাবিক বলেই বিবেচিত হয়। পিআর পদ্ধতিতে এই সমস্যাগুলোর অনেকটাই সমাধান হতে পারে। এখানে প্রতিটি দলের প্রাপ্ত ভোটের হার অনুসারে সংসদে আসন বরাদ্দ হয়। ফলে ছোট দল, ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী, নারী, ধর্মীয় সংখ্যালঘু, এমনকি নতুন রাজনৈতিক দলও সংসদে প্রতিনিধিত্বের সুযোগ পায়।
আলোচনায় উঠে আসে বর্তমানে প্রচলিত ফার্স্ট পাস্ট দ্য পোস্ট পদ্ধতির নির্বাচনে যিনি শুধু সবচেয়ে বেশি ভোট পান, তিনিই জয়ী হন। যদি একটি নির্বাচনী এলাকায় কোনো প্রার্থী ৩৫ শতাংশ ভোট পান এবং বাকি ৬৫ ভাগ ভোট অন্যদের মধ্যে বিভক্ত থাকে, তবু তিনিই নির্বাচিত হন। এর মানে হচ্ছে, ৬৫ শতাংশ ভোটারের মতামত মূল্যায়িত হলো না। সে কারণে বিজয়ী দলের বা প্রার্থীর কাছে এই বিপুল সংখ্যক ভোটারের কোনো গুরুত্ব থাকে না। রাজশাহী মহানগরী জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি মো. শাহাদৎ হোসাইন ও অধ্যক্ষ মাহবুবুল আহসান বুলবুল এর যৌথ সঞ্চালনায় সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন জামায়াতের কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও রাজশাহী মহানগরী আমীর ড. মাওলানা কেরামত আলী। সেমিনারে স্বাগত বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী রাজশাহী মহানগরীর সেক্রেটারি মু ইমাজ উদ্দিন মন্ডল, অন্যান্যদের আলোচনা রাখেন রাজশাহী মহানগরী জামায়াতের নায়েবে আমীর এ্যাড. আবু মো. সেলিম, প্রফেসর মো: শরিফুল ইসলাম সমাজকর্ম বিভাগ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহী সদর-২ আসনের জামায়াত মনোনীত সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী ডা. মোহাম্মাদ জাহাঙ্গীর, রাজশাহী মহানগরী জামায়াতের সাংগঠনিক সম্পাদক জসিম উদ্দিন সরকার, রাজশাহী-৩ আসনের সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী অধ্যাপক আবুল কালাম আজাদ প্রমূখ।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: