শহিদ মিনারে বিএনপির এমপিকে ধাওয়া দিল ছাত্রলীগ

রাজটাইমস ডেস্ক | প্রকাশিত: ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২১ ২০:০৮; আপডেট: ২০ মে ২০২৪ ১৯:৫৪

বিএনপি এমপিকে ছাত্রলীগের ধাওয়া।

শহীদ মিনারে ফুল দিতে গিয়ে ধাওয়ার শিকার হয়েছে বিএনপির দলীয় সংসদ সদস্য জেলা বিএনপির আহবায়ক গোলাম মোহাম্মদ সিরাজ ও তার অনুসারীরা।

রোববার (২১ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৯টার দিকে শহরের শহিদ খোকন পার্কের কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে এ ঘটনা ঘটে। পরে পাশের পুলিশ ফাঁড়িতে তারা আশ্রয় নেন।

বগুড়া জেলা সদর পুলিশ ফাঁড়ির টিএসআই খোরশেদ আলম রবি জানান, বিএনপি নেতৃবৃন্দ নির্ধারিত সময়ে শ্রদ্ধা জানাতে না আসায় এ অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেছে।

বগুড়া জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক অসীম কুমার রায় জানান, নেতাকর্মীরা শহিদ মিনারে দলীয় স্লোগান দিচ্ছিলেন। এ সময় এমপি সিরাজের উপস্থিতিতে ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা ‘সরকারবিরোধী ও কটূক্তিমূলক’ পাল্টা শ্লোগান দেন। তখন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা উত্তেজিত হয়ে উঠলে এমপি ও নেতাকর্মীরা পালিয়ে যান।

জেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক একেএম সাইফুল ইসলাম জানান, তাদের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি চলাকালে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা ধাওয়া করেন। তখন নেতাকর্মীরা নিরাপদ আশ্রয়ে চলে যান।

তিনি এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে জড়িতদের গ্রেফতার ও তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন।

পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, এমপি সিরাজের নেতৃত্বে বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা শহিদ খোকন পার্কের শহিদ মিনারে শ্রদ্ধা জানাতে আসেন। শ্রদ্ধা জানিয়ে তিনি (এমপি) নেতাকর্মীদের সঙ্গে নিয়ে নবাববাড়ি সড়কে দলীয় কার্যালয়ে ফিরছিলেন।

পার্কের প্রধান ফটকে পৌঁছলে শহিদ মিনারে অবস্থানরত ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা গোলাম মোহাম্মদ সিরাজকে ‘স্বাধীনতাবিরোধী রাজাকার’ আখ্যায়িত করে স্লোগান দেন।

এক পর্যায়ে তারা এমপি সিরাজকে ধাওয়া করেন। এ সময় তিনি, বিএনপি নেতা আলী আজগর তালুকদার হেনা, এমআর ইসলাম স্বাধীন, তাহাউদ্দিন নাইন, খাদেমুল ইসলাম, সৌরভ প্রমুখ নেতৃবৃন্দ দৌড়ে পাশের পুলিশ ফাঁড়িতে আশ্রয় নেন।

পরবর্তীতে ঘটনাস্থলে সদর থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) আবুল কালাম আজাদ ছাত্রলীগ নেতৃবৃন্দকে নিবৃত করেন। পরে পুলিশ বিএনপি নেতৃবৃন্দকে দলীয় কার্যালয়ে পৌঁছে দেন। পুলিশ বেষ্টনীর মধ্যে বিএনপির নেতাকর্মীরা বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন। অন্যদিকে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরাও টেম্পল রোডের দলীয় কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছেন।

ঘটনার সার্বিক বিষয়ে বগুড়া সদর পুলিশ ফাঁড়ির টিএসআই খোরশেদ আলম রবি জানান, অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে শহিদ মিনারে শ্রদ্ধা জানাতে বিএনপি নেতৃবৃন্দকে সকাল ৭টা ও আওয়ামী লীগকে সকাল ৮টায় সময় বেঁধে দেওয়া হয়। কিন্তু বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা সঠিক সময়ে আসেননি। আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা শ্রদ্ধা জানানোর সময় বিএনপি নেতাকর্মীরা শহিদ মিনারে আসেন। আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা শহিদ মিনার থেকে চলে গেলে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা উত্তেজিত হয়ে ওঠেন। এক পর্যায়ে তারা ধাওয়া করলে বিএনপির এমপি সিরাজ ও নেতৃবৃন্দ দৌড়ে পুলিশ ফাঁড়িতে আশ্রয় নেন। পরে নেতাদের দলীয় কার্যালয়ে পৌঁছে দেওয়া হয়েছে।

 

  • এসএইচ


বিষয়:


বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাস
এই বিভাগের জনপ্রিয় খবর
Top