নিয়ন্ত্রণ হচ্ছে না রক্তক্ষরণ , থাকতে হবে হাসপাতালেই

ডেক্স রির্পোট | প্রকাশিত: ৪ জানুয়ারী ২০২২ ২০:৫২; আপডেট: ৪ জানুয়ারী ২০২২ ২০:৫৩

ফাইল ছবি

হাসপাতালের সিসিইউতে চিকিৎসাধীন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার কোনো উন্নতি ঘটছে না। সংশ্নিষ্ট চিকিৎসকরা বলছেন, তার শঙ্কাজনকভাবে রক্তক্ষরণ হচ্ছে, হিমোগ্লোবিন কমে যাচ্ছে। তিনি অনেক দুর্বল হয়ে পড়ছেন। এ কারণে শিগগিরই তাকে হাসপাতালের কেবিনে কিংবা বাসায় নেওয়া সম্ভব হবে না। সূত্র: সমকাল।

খালেদা জিয়ার মেডিকেল বোর্ডের একজন চিকিৎসক নাম না প্রকাশ করার শর্তে সমকালকে বলেন, লিভার সিরোসিসে আক্রান্ত খালেদা জিয়ার রক্তক্ষরণ কোনোভাবেই নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না। এক দিন-দু'দিন বিরতি দিয়ে আবার রক্তক্ষরণ হচ্ছে তার। হাই অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধ আর ইনজেকশন দিয়ে রক্ত বন্ধ করা সম্ভব হলেও তা স্থায়ী হচ্ছে না। রক্তক্ষরণের কারণে হিমোগ্লোবিন মাত্রা কমে যাওয়ায় তাকে নিয়মিত রক্ত দিতে হচ্ছে। খনিজ সমতা ওঠানামা করছে। মূলত রক্তক্ষরণের কারণে এ সমস্যা হচ্ছে।
ওই চিকিৎসক বলেন, খালেদা জিয়া প্রচণ্ড দুর্বলতায় ভুগছেন। আগের থেকে অনেক শুকিয়ে গেছেন। ওজন হ্রাস পেয়েছে অনেক। খাবারের রুচি নেই বললেই চলে। শুধু স্যুপ আর তরল খাবার দেওয়া হচ্ছে। এর পাশাপাশি স্যালাইন পুশ করা হচ্ছে। কিডনির ক্রিয়েটিনিন বর্ডার লাইন ক্রস করছে। ডায়াবেটিসও নিয়ন্ত্রণের বাইরে।
হাসপাতাল সূত্র জানায়, খালেদা জিয়া হাসপাতালের স্টাফদের সঙ্গেও খুব কম কথা বলেন। সপ্তাহে একবার তাকে গোসল করানোর জন্য সিসিইউ থেকে কেবিনে নেওয়া হয়। গত রোববার তাকে কেবিনে নেওয়া হয়েছিল। গতকাল সোমবার তার এন্ডোস্কপি করা হয়। এ সময় তার মেডিকেল বোর্ডের চিকিৎসকরা উপস্থিত ছিলেন।
তার শারীরিক খোঁজ নিতে এবং দেখাশোনা করতে পুত্রবধূ শর্মিলা রহমান শিঁথি নিয়মিত হাসপাতালে যান। বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, বিশেষ সহকারী শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, একান্ত সহকারী আব্দুস সাত্তার এবং পরিবারের অন্য সদস্যরাও আসা-যাওয়া করেন।

খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার বিষয়ে মির্জা ফখরুল সমকালকে বলেন, তার অবস্থার কোনো উন্নতি হয়নি। আগের মতোই আছেন। বিদেশে নেওয়ার বিষয়ে পরবর্তী করণীয় বিষয়ে তিনি বলেন, তারা চেষ্টা করছেন। আন্দোলন করছেন, দাবি জানাচ্ছেন। এর থেকে বেশি কী করতে পারেন তারা?
শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীকে গত ১৩ নভেম্বর এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এরপর থেকে তিনি সেখানেই চিকিৎসা নিচ্ছেন।

 



বিষয়:


বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাস
এই বিভাগের জনপ্রিয় খবর
Top