কর্নেল অলিকে হুঁশিয়ারি আব্বাসী-সেলিমের

রাজ টাইমস ডেস্ক | প্রকাশিত: ৮ জুন ২০২২ ০৪:৫৭; আপডেট: ২৮ এপ্রিল ২০২৫ ১৫:০৭

কর্নেল (অব.) ড. অলি আহমদ। ছবি: সংগৃহীত

কর্নেল (অব.) ড. অলি আহমদের নেতৃত্বাধীন এলডিপিকে ক্ষমা চাওয়ার আহ্বান জানিয়েছে দলটির আরেক অংশ আব্বাসী-সেলিমের নেতৃত্বাধীন এলডিপি। নইলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণে বাধ্য হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছে আব্বাসী-সেলিমের নেতৃত্বাধীন এলডিপি।

মঙ্গলবার বিকালে গণমাধ্যমে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে আবদুল করিম আব্বাসী ও শাহাদাত হোসেন সেলিম নেতৃত্বাধীন এলডিপি এ আহ্বান জানায়।

এর আগে সকালে অলির নেতৃত্বাধীন এলডিপির উদ্যোগে এক সংবাদ সম্মেলনে শাহাদাত হোসেন সেলিমের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ আনা হয়। এ নিয়ে নির্বাচন কমিশনেও অভিযোগ করেছেন অলি আহমদ।

অলির এলডিপির সংবাদ সম্মেলনের কিছু বক্তব্যের ব্যাখা দিয়ে প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে আব্বাসী ও সেলিম নেতৃত্বাধীন এলডিপি বলেছে, ‘সংবাদ সম্মেলনে স্বয়ং অলি আহমদ উপস্থিত না থাকলেও রাজনীতিতে অপরিচিত কয়েকজন লোক বক্তব্য রেখেছেন। যার অধিকাংশ তথ্যই মিথ্যাচারে পরিপূর্ণ।’

অলি আহমদের দলের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়, ‘এলডিপির সাবেক যুগ্ম মহাসচিব শাহাদাত হোসেন সেলিমসহ কয়েকজন নেতাকর্মী দলীয় শৃঙ্খলা পরিপন্থী কাজ, বিশেষ করে আমেরিকা বাংলাদেশি প্রবাসীদের প্রলুদ্ধ করে, প্রতারণার আশ্রয়ে এলডিপির প্যাডে প্রত্যয়নপত্র প্রদানের মাধ্যমে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ ছিল।’

এ বক্তব্যের বিষয়ে আব্বাসী-সেলিম নেতৃত্বাধীন এলডিপি বলেছে, ‘একজন সম্মানিত রাজনীতিকের বিরুদ্ধে জঘন্যতম মিথ্যাচার এবং অযাচিত কুরুচিপূর্ণ। এরকম অবান্তর, অশ্লীল, মনোবিকল কেবল অলি আহমদের পক্ষেই সম্ভব। প্রথম কথা হচ্ছে, মতদ্বৈততার কারণে দল ছেড়ে আসার পর এমন জঘন্য মিথ্যাচারের এলডিপি (আব্বাসী-সেলিম নেতৃত্বাধীন) প্রতিবাদ জানাচ্ছে। একইসঙ্গে সতর্ক করছে, যে অনতিবিলম্বে এরকম মিথ্যাচারের জন্য ক্ষমা চাইতে হবে। বক্তব্য প্রত্যাহার করতে হবে। না হলে শাহাদাত হোসেন সেলিম আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণে বাধ্য হবেন। এমনকি তিনি ১০০ কোটি টাকার মানহানি মামলা করার প্রস্তুতি নিচ্ছেন।’

আব্বাসী-সেলিম নেতৃত্বাধীন এলডিপির বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘সংবাদ সম্মেলনে গঠিত লিখিত বক্তব্যে যেভাবে শব্দচয়ন করা হয়েছে, তা একটি রাজনৈতিক দল দাবিদার কারো পক্ষে সম্ভব না বলেই আমরা মনে করি। বিশেষ করে শাহাদাত হোসেন সেলিমের মতো জাতীয়তাবাদী ঘরানার একজন সক্রিয় রাজনীতিককে নিয়ে যে শব্দসন্ত্রাসের সৃষ্টি করা হয়েছে, তাতে ন্যূনতম সৌজন্য প্রদর্শন করা হয়নি।’

প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে আব্বাসী-সেলিম নেতৃত্বাধীন এলডিপি জানায়, সকালে সংবাদ সম্মেলনের লিখিত বক্তব্যে দাবি করা হয়েছে, ‘গত ২০১৯ সালের ১০ অক্টোবর এলডিপির জাতীয় কাউন্সিলে অনুপস্থিত ছিলেন শাহাদাত হোসেন সেলিম।’ ‘কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে ওইটা কোনো সম্মেলন ছিল না। সেটা ছিল প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে সভা, যেখানে কমিটি গঠন করা হয়। যদিও এর কোনো সুযোগ নেই।সেই সভার বহু আগে থেকেই অলি আহমদের রহস্যজনক রাজনৈতিক কৌশলের কারণে তার নেতৃত্ব থেকে সরে আসেন সেলিম। অলি আহমদের জাতীয়তাবাদী রাজনীতির বিরোধিতা, জিয়া পরিবারের বিরুদ্ধে বিষোদ্গার, জোটের সঙ্গে সাংঘর্ষিক বক্তব্য এবং সর্বোপরি সরকারের সঙ্গে আঁতাতের অভিযোগের রাজনৈতিক সত্যতা মেলায় শাহাদাত হোসেন সেলিম অলি আহমদের নেতৃত্ব মেনে নিতে পারেননি। তাই অলি আহমদের নেতৃত্ব থেকে সরে আসেন এবং নেতাকর্মীদের চাপে তিনি সাবেক সংসদ সদস্য আবদুল করিম আব্বাসীকে নিয়ে এলডিপির পরিচ্ছন্ন রাজনীতি শুরু করেন।’

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আব্বাসী-সেলিম নেতৃত্বাধীন এলডিপির ভাষ্য হচ্ছে, ‘অলি আহমদ বাংলাদেশের রাজনীতিতে একজন অতিঅহংকারী ব্যক্তি হিসেবে ইতোমধ্যে প্রচারিত। এলডিপি গঠনে শাহাদাত হোসেন সেলিম প্রাতিষ্ঠানিক ভূমিকা পালন করেছেন, তা রাজনীতিতে প্রতিষ্ঠিত সত্য। এই দল গঠনে সাবেক রাষ্ট্রপতি অধ্যাপক বদরুদ্দোজা চৌধুরী, সাবেক এমপি আবদুল মান্নানসহ অনেকে যুক্ত ছিলেন। ফলে এলডিপি একমাত্র অলি আহমদের গৃহস্থালি ঐশ্বর্য- তা একমাত্র আত্মঅহমিকা আর মিথ্যাচারই বটে।’

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, ‘এলডিপি (আব্বাসী-সেলিম নেতৃত্বাধীন) মনে করে, ‌‌অলি আহমদের প্ররোচণায় যে কয়েকজন ব্যক্তি শাহাদাত হোসেন সেলিমকে নিয়ে কুৎসা রটনা শুরু করেছেন, অবিলম্বে তা থেকে বিরত থাকুন। অন্যথায় আইনানুগ প্রক্রিয়ায় আমরা এগিয়ে যাব। একইসঙ্গে অলি আহমদের রাজনৈতিক রহস্যাবলীও জাতির সামনে একে-একে হাজির হবে।’



বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাস
এই বিভাগের জনপ্রিয় খবর
Top