আধুনিক কবিতা এবং কবিতার আধুনিকায়ন বিষয়ে কবিতা বাংলাদেশ এর ওয়ার্কশপ অনুষ্ঠিত

আধুনিক কবিতা এবং কবিতার আধুনিকায়ন বিষয়ে কবিতা বাংলাদেশ এর ওয়ার্কশপ অনুষ্ঠিত

রাজটাইমস ডেস্ক | প্রকাশিত: ২১ অক্টোবর ২০২২ ০৮:৪২; আপডেট: ২৮ এপ্রিল ২০২৪ ২০:৩৯

কবির হাতে কোন রঙ এবং রঙতুলি থাকে না। হাতে থাকে কলম আর হৃদয়ে থাকে শব্দ। এ শব্দ দিয়েই কবিকে শিল্পকর্ম সম্পাদন করতে হয়। শব্দদিয়েই নির্মাণ করতে হয় কবিতাশিল্প। কেননা কবিতা শব্দের খেলা। তাই কবি আল মাহমুদের মতো বলতেই হয়, শব্দের গন্ধ যিনি শুঁকতে পারেন না, তার কবিতার লেখার জগতে পা রাখাই উচিত না। অন্যদিকে, বিশ্বাস কবিতার ভিত্তিমূল নির্ণয় করে।

কবির অন্তরই কবিতার চাষবাসের জায়গা। কবি ইকবালের মতো বলতে হয়, ‘কবিতা হলো আত্মার সঙ্গীত।’ বিশ্বাসী অন্তর হলে বিশ্বাসের স্রোত তার কবিতার শিরা-উপশিরায় প্রবাহিত হবে। সাধনার মাধ্যমে কবিতাশিল্পকে নির্মাণ করতে হয়। কবিতা বাংলাদেশ আয়োজিত ‘আধুনিক কবিতা এবং কবিতার আধুনিকায়ন’ শীর্ষক ওয়ার্কশপে কথাগুলো বলেন অনুষ্ঠানের এককবক্তা কবি আবদুল হাই শিকদার।

কবিতা বাংলাদেশ এর অন্যতম সহসভাপতি কবি হাসান আলীম’র সভাপতিত্বে ১৬ অক্টোবর রবিবার রাত ৯টায় অনলাইন জুম অ্যাপসের মাধ্যমে ওয়ার্কশপ অনুষ্ঠিত হয়। কবিতা বাংলাদেশ এর সাধারণ সম্পাদক কবি ও গবেষক ড. মাহফুজুর রহমান আখন্দ এতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন এবং অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন।

ওয়ার্কশপের আলোচক কবি আবদুল হাই শিকদার আরো বলেন, স্বল্পবস্ত্র পরিধান করার নাম আধুনিকতা নয়। আধুনিকতা মানে ঐতিহ্যের সংকোচন কিংবা সামাজিক মূল্যবোধ বিনষ্ট করা নয়। আধুনিকতা মানে সময়কে ধারণ করে বিশ্বাসের ভিত্তিতে সভ্যতার দিকে এগিয়ে যাওয়া। জীবন যাপনে যেমন আধুনিকতার ছাপ থাকে তেমনি কবিতার শব্দবুননেও আধুনিকতা থাকতে হবে। কমিটমেন্ট এবং দায়বদ্ধতা না থাকলে কবিতা বাঁচবে না। কবিকে শব্দ, ইতিহাস-ঐতিহ্যের প্রয়োগ এবং বিষয়বস্তুর সাথে নান্দনিকতার স্বার্থক প্রয়োগ জানতে হবে।

সভাপতির বক্তব্যে কবি হাসান আলীম বলেন, বিশ্বাসই কবির মূল শক্তি। বিশ্বাসের বিপরীতে কোন বিষয় সৃষ্টি করতে চাইলেই তা আরোপিত সাহিত্য হয়ে যায়। সেটি আর ন্যাচারাল থাকে না। অনুষ্ঠানে কবি আশরাফ আল দীন, আবুবকর সালেহ, মুহাম্মদ লিয়াকত আলী, নূরুন্নাহার নীরু, জহির সা’দত, ইয়াকুব বিশ্বাস, ফাতেমা মাহফুজ, সুমাইয়া জামান, মঞ্জিলা শরীফ, শোয়েব আলী, ওয়াহিদ আল হাসান, আজিজ হাকিম, জুবাইদা কানন, আর কে সাব্বির আহমদ, মুসলীহা তাফহীম, মোস্তফা মোঘল, আবদুল্লাহ আল মামুর, আকতারুজ্জামান বাদল, মামুনর রশিদ মন্ডল, মির্জা নূরুন্নবী নূর, হাবিব বিন আনওয়ার, সুমাইয়া মর্জিনা, সাবরিনা আনওয়ার, আয়েশা হাসিন, শেখ আবদুল মান্নান, জোহরুল ইসলাম, নাসির উদ্দিন আহমেদ, হারুনুর রশিদ কুতুবী, আবুল বাশার মুহাম্মদ, শাফায়েত খান, হাসান নাশিদ, মাহদী মুবাশ্বির, মাসুমা নাসরিন, আরাফাত খান প্রমুখসহ সৌদিআরব, মালয়েশিয়া, পশ্চিমবঙ্গ এবং বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলের কবি-সাহিত্যিকগণ অংশগ্রহণ করেন।



বিষয়:


বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাস
এই বিভাগের জনপ্রিয় খবর
Top