মাওলানা ভাসানীর জন্মবার্ষিকী উদযাপিত

রাবি প্রতিনিধি: | প্রকাশিত: ১৮ ডিসেম্বর ২০২২ ০৩:২০; আপডেট: ১৮ ডিসেম্বর ২০২২ ০৪:৫০

ছবি: সংগৃহীত

মাওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানীর ১৪২তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে শনিবার সকাল ১০টায় রাজশাহী শহরের অনুরাগ কমিউনিটি সেন্টারে একটি আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। মাওলানা ভাসানীর জন্মবার্ষিকী উদযাপন কমিটি এর আয়োজন করে।

উদযাপন কমিটির আহবায়ক, বিশিষ্ট বুদ্ধিজীবী, লেখক ও গবেষক জনাব মাহবুব সিদ্দিকীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা অনুষদের ডীন প্রফেসর ড. মো. ফজলুল হক। মূখ্য আলোচক ছিলেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজনীতি বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক ড. তারেক ফজল। বিশেষ অতিথি ছিলেন, ভাসানী পরিষদের সদস্য সচিব জনাব আজাদ খান ভাসানী। অন্যান্য বিশিষ্টজনদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, উদযাপন কমিটির সদস্য সচিব এবং ড্যাবের রাজশাহী শাখার সভাপতি ডা. মো.ওয়াসিম হোসেন, রাজশাহী বারের সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট পারভেজ টি জাহেদী, নদী ও পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলনের সভাপতি এডভোকেট মো. এনামুল হক, রাজশাহী সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি আব্দুল আওয়াল, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক এবং শত নাগরিক রাজশাহীর সদস্য সচিব প্রফেসর ড. ইফতিখারুল আলম মাসউদ, রাষ্ট্রসংস্কার আন্দোলনের নেতা মাহমুদ জামাল কাদেরী, রাজশাহী বারের সাবেক সহসভাপতি এডভোকেট অসিত কুমার সান্যাল, ওয়ার্কাস পার্টির নেতা এডভোকেট এমদাদুল হক বাবু, গণসংহতি আন্দোলনের নেতা এডভোকেট মুরাদ মোর্শেদ, বাসদ নেতা শামসুল আরেফীন ডন, গণফোরাম নেতা এম আর মামুন, অধ্যাপক ওয়াহিদুল ইসলাম, রাবি জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সদস্য সচিব সামসুদ্দীন চৌধুরী সানিন, রাবি সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্ট নেতা শাহরিয়ার, ছাত্র ফেডারেশন নেতা নাদিম, কিশোর বক্তা আলভান তাহের জাহেদী প্রমূখ। সভা পরিচালনা করেন এডভোকেট হোসেন আলী পেয়ারা।

সভায় বক্তাগণ বলেন, মাওলানা ভাসানী আজীবন এদেশের গণমানুষের জন্য সংগ্রাম করে গেছেন। আজও তিনি মুক্তিকামী মানুষের অনুপ্রেরণার উৎস হয়ে আছেন। বাংলাদেশের সব ধরনের মানুষের মাঝে তাঁর আশ্চর্য্যজনক গ্রহণযোগ্যতা রয়েছে, যার ফলে আজও তিনি ঐক্যের প্রতীক হিসেবে এদেশের জনগণের কাছে পরিগণিত হয়ে আছেন। আমাদের স্বাধীনতার দাবী তিনিই সর্বাগ্রে তুলে ধরেন। নতুন প্রজন্মর মাঝে মাওলানা ভাসানীর আদর্শ যথাযথভাবে তুলে ধরার গুরুত্ব আরোপ করে বক্তাগণ বলেন: এদেশের জাতীয় নেতৃবৃন্দের মাঝে সবচে উজ্জল নক্ষত্র হলো ভাসানী। তাঁর সম্পর্কে তাই জানতে হবে, এর বিকল্প নেই। মাওলানার ‘রব্বানিয়্যাত’ বা ‘পালনবাদ’ এক যুগান্তকারী চিন্তাচেতনার প্রতিফলন। এ চেতনা লালন করতে পারলেই কেবল সত্যিকার ইনসাফ কায়েম হতে পারে। এর মাধ্যমেই সকল মানুষকে সমান চোখে দেখা সম্ভব। ভাসানীকে রাষ্ট্রীয়ভাবে মূল্যায়নে যে কৃপণতা করা হচ্ছে তাতে বক্তাগণ হতাশা প্রকাশ করেন ও নিন্দা জানান।

মাওলানা ভাসানীর নামে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন গুরুত্ব স্থাপনার নামকরণের জন্য সভা থেকে জোর দাবী জানানো হয়। অনুষ্ঠানে হাসনাত বেগ রচিত ‘মাওলানা ভাসানী সারসংক্ষেপ’ গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন করা হয়।

 



বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাস
এই বিভাগের জনপ্রিয় খবর
Top