জয়পুরহাটে ঘুষ নিতে গিয়ে ধরা কনস্টেবল, ৯৯৯-এ ফোনে উদ্ধার

রাজটাইমস ডেস্ক: | প্রকাশিত: ২০ মে ২০২৪ ১৫:২৮; আপডেট: ২৭ জুলাই ২০২৪ ০৯:৫৫

ছবি: সংগৃহীত

জয়পুরহাটের আক্কেলপুরে এক বাড়িতে ঘুষ নিতে গিয়েছিলেন পুলিশ কনস্টেবল আশিক হোসেন। এ সময় স্থানীয় লোকজন তাঁকে হাতেনাতে ধরে ফেলে। পরে জাতীয় জরুরি সেবা নম্বর ৯৯৯ থেকে ফোন পেয়ে থানা পুলিশ গিয়ে তাঁকে উদ্ধার করে। ঘটনাটি ঘটে গত শনিবার পৌর সদরের শ্রীকৃষ্টপুর গ্রামে।

স্থানীয়রা জানান, গত সপ্তাহে জমিজমা নিয়ে বিরোধের মামলা তদন্ত করতে শ্রীকৃষ্টপুরে আসেন আক্কেলপুর থানার এক উপপরিদর্শক (এসআই) ও কনস্টেবল আশিক হোসেন। আশিক তখন বিবাদী পক্ষের সোহেল রানার কাছে ১ হাজার টাকা ঘুষ দাবি করেন। কিন্তু সোহেল রানা তা দেননি। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে সোহেল রানাকে দেখে নেওয়ার হুমকি দিয়ে চলে যান আশিক। দু’দিন পর রাতে একটি সড়কে সোহেল রানাকে তল্লাশির কথা বলে তাঁর পকেটে মাদক ঢুকিয়ে দেন কনস্টেবল।

পরে তাঁকে ছেড়ে দেওয়ার জন্য ২০ হাজার টাকা দাবি করেন। পরদিন সেই টাকা নিতে সোহেল রানার বাড়িতে আসেন আশিক। ডাকাডাকি করে তাঁকে না পেয়ে ক্ষুব্ধ হয়ে ঘরের দরজায় লাথি দিয়ে চলে যান। শনিবার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে কনস্টেবল আশিক হোসেন আবার সোহেল রানার বাড়িতে আসেন টাকা নিতে। এক পর্যায়ে সোহেল রানা কনস্টেবলের হাতে ৫ হাজার টাকা দেন।

এ সময় সোহেলের স্ত্রী মোবাইল ফোনে টাকা লেনদেনের ঘটনা ভিডিও করেন। এ কথা জানতে পেরে দ্রুত পালানোর চেষ্টা করেন আশিক। কিন্তু স্থানীয় লোকজনকে নিয়ে আশিক তাঁকে আটকে রেখে ৯৯৯ নম্বরে কল করেন। সকাল ১০টার দিকে স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর ফেরদৌস হোসেনকে সঙ্গে নিয়ে থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে আসে। পুলিশ সোহেল রানাকে কাউন্সিলরের সামনে ভিডিওটি মুছে ফেলতে বাধ্য করে এবং কনস্টেবল আশিককে নিয়ে যায়।

সোহেল রানা নিজেও ঘটনার একই বর্ণনা দেন। তবে অভিযুক্ত আশিক হোসেন বলেন, ‘কয়েক দিন আগে আমার মা মারা গেছেন। তার পর থেকে মানসিক বিষণ্নতায় ভুগছি। ওই এলাকায় মাদকের খোঁজ নিতে গেলে তারা কৌশলে আমাকে ডেকে নিয়ে ফাঁসিয়ে দেয়। আমি কোনো টাকা-পয়সা লেনদেন করিনি।’

সোহেল রানার বাড়ি থেকে কনস্টেবল আশিককে উদ্ধারের কথা নিশ্চিত করেছেন পৌর কাউন্সিলর ফেরদৌস সরদার।

থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) মাসুদ রানা বলেন, ‘ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে এ ব্যাপারে একটি লিখিত প্রতিবেদন দিয়েছি। তারা ব্যবস্থা নেবেন।’

জয়পুরহাট জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ নূরে আলম বলেন, ‘আমরা বিষয়টি তদন্ত করছি। তাঁর বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’



বিষয়:


বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাস
এই বিভাগের জনপ্রিয় খবর
Top