বাঘায় আ.লীগের সংঘর্ষের ঘটনায় মেয়রকে প্রধান আসামি করে মামলা

রাজটাইমস ডেস্ক: | প্রকাশিত: ২৪ জুন ২০২৪ ২৩:৫৬; আপডেট: ২৮ জুন ২০২৪ ২০:৪০

ছবি: সংগৃহীত

রাজশাহীর বাঘায় আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষের ঘটনায় পৌর মেয়র আক্কাছ আলীকে প্রধান আসামি করে মামলা করা হয়েছে।

রোববার (২৩ জুন) উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম সম্পাদক শাহিনুর রহমান পিন্টু বাদী হয়ে বাঘা থানায় এ মামলাটি করেন। মামলার পর থেকে ওই মেয়রকে অফিস করতে দেখা যাচ্ছে না।

এ মামলায় মেয়র আক্কাছ আলী, জেলা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও পাকুড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মেরাজুল ইসলাম, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল মোকাদ্দেসসহ ৪৬ জনের নাম উল্লেখ ও ২০০ থেকে ৩০০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে।

এ ঘটনায় মামলা হওয়ার আগেই পুলিশ উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে পাকুড়িয়া ইউনিয়ন চেয়ারম্যান ও জেলা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মেরাজুল ইসলাম মেরাজ, মারুফ হোসেন, তরঙ্গ আলী, শাজামাল লিটন, নাসির উদ্দিন, মতিউর রহমান, গোলাম মোস্তফাকে গ্রেফতার করেছে।

এদিকে মামলর পর থেকে মেয়র আক্কাছ আলী ও উপজেলা চেয়ারম্যান লায়েব উদ্দিন লাভলুসহ তাদের অনুসারী নেতাকর্মীরা গ্রেফতার আতঙ্কে রয়েছেন।

মামলার এজাহারে বলা হয়েছে- শনিবার সকাল ১০টার দিকে বাঘা উপজেলা আওয়ামী লীগের ডাকে উপজেলা পরিষদের সামনে পৌরসভার দুর্নীতির বিরুদ্ধে শান্তিপূর্ণ মানববন্ধন চলছিল। এ সময় আসামিরা অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায়। সেখানে কয়েকটি পিস্তলের গুলিবর্ষণ করা হয়। আতঙ্কে তারা মানববন্ধন ছেড়ে উপজেলা চত্বরের ভেতরে পালাতে গেলে আসামিরা এলোপাতাড়ি ইটপাটকেল ও পাথর ছোড়ে। এ অবস্থায় উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. আশরাফুল ইসলাম উপজেলা অডিটরিয়ামের সামনে পড়ে গেলে তাকে চায়নিজ কুড়াল দিয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে মাথার বাঁ-পাশে আঘাত করেন আক্কাছ আলী। ২ নম্বর আসামি মেরাজুল ইসলাম তার হাতে থাকা ধারালো অস্ত্র দিয়ে আশরাফুল ইসলামের ঘাড়ে আঘাত করেন। আসামিদের ইটপাটকেল ও পাথরের আঘাতে উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ের গ্লাস ও কয়েকটি চেয়ার ভাঙচুর করায় আনুমানিক ৪০ হাজার টাকার ক্ষতি হয়। আহত আশরাফুল ইসলাম রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন।

বাঘা থানার ওসি আমিনুল ইসলাম বলেন, উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম সম্পাদক শাহিনুর রহমান পিন্টু বাদী হয়ে দ্রুতবিচার আইনে একটি মামলা করেন। এ মামলায় ৪৬ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত ২০০ জনকে আসামি করা হয়েছে। মেয়র আক্কাছ আলীর নামে ২০২২ সালের ২১ মার্চ উপজেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলনে হামলা ও বিভিন্ন সময় একাধিক সন্ত্রাসী এবং দাঙ্গা-হাঙ্গামার মামলা রয়েছে। তবে মামলায় তিনি জামিনে রয়েছেন।



বিষয়:


বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাস
এই বিভাগের জনপ্রিয় খবর
Top