ভয়াবহ লোডশেডিংয়ের কবলে চারঘাটের বাসিন্দারা

রাজটাইমস ডেস্ক: | প্রকাশিত: ২৭ জুন ২০২৪ ০৪:৩৮; আপডেট: ৩০ জুন ২০২৪ ১৬:১৪

ছবি: সংগৃহীত

ভয়াবহ লোডশেডিংয়ের কবলে পড়েছেন রাজশাহীর চারঘাট এলাকার বাসিন্দারা। সারাদিনে দুই ঘণ্টাও থাকছে না বিদ্যুৎ। দিনের বেলায় অল্প সময়ের জন্য থাকলেও রাতে একটুও বিদ্যুৎ থাকছে না বলে দাবি এলাকাবাসীর। এতে কোমলমতি শিশু ও অসুস্থ বৃদ্ধদের নিয়ে চরম বিপাকে পড়েছেন তারা।

তবে বিদ্যুৎ বিভাগের দাবি, চাহিদার চেয়ে বিদ্যুতের ঘাটতি বেশি থাকায় লোডশেডিং বৃদ্ধি পেয়েছে। এটা জাতীয় সমস্যা বলে দাবি করেছেন তারা।

জানা যায়, শতভাগ বিদ্যুতায়িত উপজেলা হিসেবে ঘোষিত রাজশাহীর চারঘাট উপজেলা। প্রতিটি বাড়িতেই রয়েছে বিদ্যুৎ সংযোগ। তাই বিদ্যুতের ওপর নির্ভরশীল হয়ে পড়েছেন এখানকার বাসিন্দারা। দিনের বেলায় বিদ্যুতের দেখা মিললেও রাতের বেলায় বিদ্যুৎ বিভ্রাটে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। একদিকে প্রচণ্ড দাবদাহ, অন্যদিকে ঘনঘন লোডশেডিং, ফলে অতিষ্ঠ প্রায় জনজীবন। প্রচণ্ড গরমে শিশু ও বৃদ্ধরা হয়ে পড়ছেন অসুস্থ।

সরেজমিন গত দুই দিন ধরে উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে জানা গেছে, চারঘাটে এমনিতেই চরম গরম পড়ছে। সেই সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বৃদ্ধি পেয়েছে লোডশেডিং। দিনে গাছের ছায়ায় বসে গরম থেকে রক্ষা পেতে চেষ্টা করা হলেও রাত হলেই থাকছে না বিদ্যুৎ। ফলে প্রচণ্ড গরমে জ্বর, সর্দি ডায়রিয়াসহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন এলাকার বাসিন্দারা।

উপজেলার কালুহাটি গ্রামের বাসিন্দা মজনু আহম্মেদ বাবু বলেন, দিনের বেলায় বিদ্যুতের দেখা পাওয়া গেলেও রাতের বেলায় থাকে না। এতে বাচ্চারা লেখাপড়াসহ দৈনন্দিন কাজও করতে পারছে না। এছাড়া বাচ্চারাও অসুস্থ হয়ে পড়ছে। জ্বর, সর্দি লেগেই আছে।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা যায়, গত ৭ দিনে প্রায় পাঁচ শতাধিক শিশু ও বৃদ্ধ জ্বর-সর্দি ও ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এর মধ্যে শুধু ডায়রিয়ায় প্রায় শতাধিক রোগী ভর্তি হয়েছেন। এছাড়া প্রতিদিন গড়ে যেসব রোগী দেখা হচ্ছে তারা অধিকাংশ গরমজনিত কারণে অসুস্থ হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন।

নাটোর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২ এর চারঘাট জোনাল অফিসের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার শ্রী রঞ্জন কুমার বলেন, চারঘাটে দিনের বেলায় বিদ্যুতের গড় চাহিদা ১৩ মেগাওয়াট। এর বিপরীতে বিদ্যুৎ পাওয়া যাচ্ছে মাত্র ৬-৭ মেগাওয়াট। অন্যদিকে রাতের বেলায় বিদ্যুতের চাহিদা রয়েছে ১৮ মেগাওয়াট। পাওয়া যাচ্ছে মাত্র ৭-৮ মেগাওয়াট। চাহিদার তুলনায় বিদ্যুতের ঘাটতি অনেক। তাই অনিচ্ছাকৃতভাবেই লোডশেডিং দিতে হচ্ছে। এটা শুধু চারঘাটেরই সমস্যা তা নয়। এটা জাতীয় সমস্যা বলে দাবি করেছেন তিনি।



বিষয়:


বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাস
এই বিভাগের জনপ্রিয় খবর
Top