৩৬ জুলাইকে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতির দাবি
পবা প্রতিনিধি: | প্রকাশিত: ১ মে ২০২৫ ১৮:৩৩; আপডেট: ১ মে ২০২৫ ২২:১৯

২০২৪ সালের ৩৬ জুলাই বা ৫ আগস্টকে আন্তর্জাতিক ভাবে স্বীকৃতির দাবি জানানো হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১মে) বেলা ১১টায় রাজশাহী নগরীর রানিবাজারে এসকে ফুড রেস্তোরাঁয় আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবস উপলক্ষে রাজশাহী সাংবাদিক ইউনিয়ন (আরইউজে) এ সভার আয়োজন করে। সভায় সভাপতিত্ব করেন - আরইউজের সভাপতি মুহা. আব্দুল আউয়াল।
আরইউজের যুগ্ম সম্পাদক ওমর ফারুকের সঞ্চালনায়- সভায় অতিথি ছিলেন: বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সহকারী মহাসচিব ও আরইউজের সাধারণ সম্পাদক ড. সাদিকুল ইসলাম স্বপন।
অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন: আরইউজের কোষাধ্যক্ষ তৌফিক ইমাম পান্না, দৈনিক নতুন প্রভাত পত্রিকার সম্পাদক সোহেল মাহবুব, রাজশাহী প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মহিব্বুল আরেফিন, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি ডালিম হোসেন শান্ত, আরইউজের সিনিয়র সদস্য জিয়াউল কবির স্বপন, রাবি প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মারুফ হোসেন মিশন ও রাজশাহী কলেজ রিপোর্টার্স ইউনিটির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল আলিম।
সভায় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন: নয়া দিগন্ত ডিজিটালের প্রধান যুবরাজ ফয়সাল, রাজশাহী কলেজ রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি আবু সাইদ রনি, রাজশাহী প্রেসক্লাবের দফতর সম্পাদক আমানুল্লাহ আমান, আরইউজে'র সদস্য সিনিয়র সাংবাদিক মেসবাহউল আলম দিনার, আব্দুল হাকিম সহ বিভিন্ন গণমাধ্যমের সাংবাদিকরা।
আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন, গত বছরের ৫ আগস্ট সর্বশেষ আমরা স্বাধীন হয়েছি। এই স্বাধীনতার ৯ মাস হয়ে গেল, কিন্তু আমরা কী পেয়েছি আমাদের অধিকার? আমাদেরকে অধিকার ফিরিয়ে দেওয়া হোক। আমরা আমাদের অধিকার ও মানুষের অধিকার আদায়ে কাজ করে যাব।
তারা বলেন: আমরা ইসলামী মূল্যবোধে বিশ্বাসী হওয়ার কারণে বিগত সময়ে বঞ্চিত ছিলাম। আমাদের দক্ষতা ও যোগ্যতা থাকলেও কাজ করতে দেওয়া হয়নি। এখন সাংবাদিক নেতারা আমাদের বিষয়গুলো নিয়ে যথাযথ ভূমিকা পালন করবেন বলে আমরা আশাবাদী।
সাংবাদিক নেতারা বলেন, ১৮৮৬ সালে আমেরিকার শিকাগোতে ১১জন শ্রমিক জীবন দিয়েছিলেন। দিনটির আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পেয়েছে এবং তা পালন করা হচ্ছে। আমাদের দেশে জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে অনেক শ্রমিক ও সাংবাদিক শহীদ হয়েছেন। দেশ থেকে ফ্যাসিস্ট, স্বৈরতন্ত্র ও জালিম সরকারকে বিদায় করতে এতগুলো প্রাণ গেছে। তাই ৩৬ জুলাইকে অবশ্যই আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি দিতে হবে। সেই লক্ষ্যে এখন থেকে কাজ করে যাওয়া দরকার। আমাদের অধিকার আদায়ে সোচ্চার হতে হবে।
অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সহকারী মহাসচিব ও আরইউজে সাধারণ সম্পাদক ড. সাদিকুল ইসলাম স্বপন বলেন, ১৮৮৬ সালে শিকাগো শহরের ঘটনা গোটা পৃথিবীর ইতিহাসে লেখা আছে। এটা ঐতিহাসিক এবং তাৎপর্যপূর্ণ। আমরা কোথায় কোন অধিকার হারাচ্ছি তা নিজেরাও জানি। হাতেগোনা কিছু পত্রিকা ও টেলিভিশন সাংবাদিকদের বেতন দেয়। সাংবাদিক নিয়োগে ক্রাইটেরিয়া মানা হয় না। আমাদের দাবী- যোগ্যদের নিয়োগ দেওয়া এবং সাংবাদিকদের বেতন ন্যূনতম ৩০ হাজার টাকা করতে হবে।
তিনি বলেন: ওয়েজবোর্ডের আওতায় ঢাকার বাইরের সাংবাদিকদের রাখা হয় না। ঢাকায় যারা সাংবাদিকতা করেন, নির্দিষ্ট বিটে তারা কাজ করেন। কিন্তু মফস্বলের সাংবাদিকদের সব বিটে কাজ করতে হয়। ঢাকার বাইরের সাংবাদিকরা অলরাউন্ডার হওয়ার পরও তাদের ওয়েজবোর্ড অনুযায়ী বেতন দেওয়া হয় না। যে যে স্ট্যাটাসের সাংবাদিক, ব্যুরো চিফ, প্রতিনিধি বা স্টাফ রিপোর্টার, সে অনুযায়ী রাজশাহীতেও বেতন পাওয়া উচিত। এছাড়া সাংবাদিকদের শারীরিক, মানসিক ও আর্থিক সুরক্ষার দাবি করছি সরকারের কাছে। এ সময় বন্ধ সব মিডিয়া খুলে দিয়ে বকেয়া সব বেতন পরিশোধের দাবিও জানান সিনিয়র এই সাংবাদিক।
সভাপতির বক্তব্যে আরইউজের সভাপতি মুহা. আব্দুল আউয়াল বলেন, স্বৈরশাসনের আমলে প্রতিকূল পরিবেশ থেকে বর্তমানে আমরা একটা সম্ভাবনার জায়গায় এসেছি। যেভাবে কাজে লাগালে ভালো ভবিষ্যৎ হবে, সেই চেষ্টা করতে হবে। সাংবাদিকতাকে শক্তিশালী ও ভালো অবস্থানে কীভাবে নিয়ে যেতে পারি, সেই প্রচেষ্টা চালানো আমাদের মূল উদ্দেশ্য। সাংবাদিকতা সুশিক্ষিত দায়িত্বশীলদের পেশা, বিশ্বব্যাপী মর্যাদাপূর্ণ পেশা। আমাদের বিভাজন থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। যতক্ষণ আমরা এক না হচ্ছি, ঐক্যবদ্ধ না হচ্ছি, ততক্ষণ দাবি আদায় হবে না। দাবি আদায়ে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: