আধুনিক ও ইসলামী শিক্ষার সমন্বয়ে যোগ্য মানুষ গড়তে চায় কাশফুল

নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ১৪ জানুয়ারী ২০২১ ১৬:০০; আপডেট: ১৪ জানুয়ারী ২০২১ ২৩:১০

ছবি: রাজটাইমস

বিশ্বায়নের যুগে আধুনিক ও ইসলামী শিক্ষার মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের যোগ্য করে গড়ে তুলতে শিক্ষা নিয়ে কাজ করছে কাশফুল কুরআন ইনস্টিটিউট রাজশাহী। সেই লক্ষে ইসলামী শিক্ষার পাশাপাশি বাংলা ইংরেজি গণিত এবং কম্পিউটার বিষয়েও পাঠদান করা হচ্ছে শিক্ষার্থীদের। পড়ালেখার পাশাপাশি বিভিন্ন সহশিক্ষা কার্যক্রমও চালানো হয়ে থাকে তাদের মাঝে।

সাংস্কৃতিক কর্মসূচি ও খেলাধুলার ব্যবস্থাও রয়েছে শিক্ষার্থীদের জন্য। এখানে মক্তব, হেফজ, নূরানী ও মাদ্রাসা শিক্ষা পাঠ্যক্রম অসুনারে পাঠদান করা হয়ে থাকে। দ্বিতিয় থেকে সপ্তম শ্রেণী পর্যন্ত মাদ্রাসা সিলেবাস অনুয়ায়ি পড়ানো হয় এ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে । ফলে এখান থেকে একজন শিক্ষার্থী দ্বীন ও দুনিয়া সম্পর্কে একটি সচ্ছ ধারনা নিয়ে নিজেকে যোগ্য মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে সক্ষম হবে। এমন প্রত্যাশার কথা ব্যক্ত করেন মাদ্রাসার চেয়ারম্যার হাফেজ মাওলানা শহিদুল ইসলাম।

একইসাথে প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাওলানা রুহুল আমিন বলেন, রাজশাহী শিক্ষা নগরী হিসেবে দেশে খ্যাতি রয়েছে। এখান থেকে জাতীয়-আন্তর্জাতিক মানের শিক্ষার্থী তৈরীর জন্য আমরা কাজ করছি। ইসলামী এবং জেনারেল উভায় শিক্ষাকে আমরা সমানভাবে গরুত্ব দিচ্ছি। অনেক সচ্ছল পরিবার রয়েছেন যারা সন্তানকে হেফজ করাতে চান, কিন্তু আমাদের দেশে প্রচলিত যে হাফেজিয়া মাদ্রাসাগুলো আছে সেখানে অধিকাংশ মাদ্রাসায় যেভাবে খাবার ও থাকার ব্যবস্থা হয়, তাতে অনেক অভিভাবক তাদের সন্তানদের সে পরিবেশে দিতে চান না কারন তাদের সন্তানরা সে পরিবেশে মানাতে পারবেনা, তাই আমরা অধুনিক ও পরিবেশবান্ধবভাবে আমাদের প্রতিষ্ঠান তৈরী করেছি। এখানে আমরা নিজস্ব ব্যববস্থাপনায় সকল খরচ বহণ করি এখানে কোন যাকাত-ফেতরা বা সাদকার টাকা নেয়া হয়না। আমরা শিক্ষার্থীদের থেকে বেতন নিয়ে থাকি। তবে বড় ধরনের অনুদান গ্রহণ করি যা আমরা সামাজিক কাজে ব্যববহার করে থাকি।

সরেজমিনে মাদ্রাসার বিভিন্ন ফ্লোর ঘুরে দেখা যায় সেখানে শিক্ষার্থীরা শৃংখরার সাথে পড়াশুনায় মনোযোগি, ২৭০ জন শিক্ষার্থীর প্রায় ১৭০জন শিক্ষার্থী আবাসিকভাবে ক্যম্পাশেই থাকেন। সেখানে শিক্ষার্থীদের জন্য একটি কম্পিউটা ল্যাব রয়েছে শিক্ষার্থীরা সে ল্যাবে কিম্পিউটার শিখার সুযোগ পেয়ে থাকেন। ল্যাংগুয়েজ ক্লাব রয়েছে এই প্রতিষ্ঠানে সেখানে আরবি ও ইংরেজি ভাষা শিক্ষা দেয়া হয়। এখানকার শিক্ষার্থীদের ক্যালিওগ্রাফি অংকন শিখানো হয়ে থাকে। সুস্থ শরীর সুস্থ্য মন এমন চেতনা ধারন করে ব্যাডমিন্টন, ক্রিকেটসহ বিভিন্ন খেলাধুলার ব্যবস্থাও রয়েছে শিক্ষার্থীদের জন্য। নিয়ম করে ব্যবস্থা রয়েছে টিভি দেখা ও পত্রিকা পড়ার। মেধা বিকাশ ও সাধারণ জ্ঞান অর্জনের লক্ষে বিতর্ক প্রতিযোগিতাও অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে শিক্ষার্থীদের মাঝে।

একযুগ ধরে পথচলা প্রতিষ্ঠানটি এরই মধ্যে অর্জন করেছে বেশ কিছু জাতীয় পর্যায়ে পুরুস্কার ও সম্মানোনা। বিভিন্ন টেলিভিশন আয়োজিত ক্বিরাত প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থানসহ অর্জন করেছে বিভিন্ন পুরুস্কার। পিএইচপি কুরআনের আলো কুরআন তেলাওয়াতে জাতীয় পর্যায়ে সেরা দশে স্থান পান এখানকার শিক্ষার্থীরা।
সপ্তাহে একদিন আয়োজন করা হয় সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতার দেয়া হয় উৎসাহমূলক পুরুস্কার। সকালে ইনস্টিটিউটের কার্যক্রম শুরু করা হয় জাতীয় সংগীত ও কুরআন তেলাওয়াতৈর মাধ্যমে।

২০০৮ সালে যাত্রা শুরু করে কাশফুল কুরআন ইনস্টিটিউট রাজশাহী নামে এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি। একটি বালক শাখা ও আলাদাভাবে বালিকা শাখা রয়েছে তাদের। বালিকা শাখাটির স্বতন্ত্র বৈশিষ্ঠ হলো সেখানে সকল প্রাকিষ্ঠানিক কার্যক্রম নারীদের দারাই পরিচালিত হয়ে থাকে বলে কর্তৃপক্ষ রাজটাইমসকে জানান কতৃপক্ষ।

উল্লেখ্য যে, করোনাকালেও স্বাস্থ্যবিধি মেনে পাঠদান কার্যত্রম সচল রয়েছে প্রতিষ্ঠানটিতে।

 এমএস ইসলাম

 



বিষয়: শিক্ষা


বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাস
এই বিভাগের জনপ্রিয় খবর
Top