বাঘায় বিরোধপূর্ণ জমির গাছ থেকে খসে পড়ছে আম! পাড়ছে না কেউ-ই
বাঘা প্রতিনিধি | প্রকাশিত: ২০ জুলাই ২০২১ ০৩:৩৪; আপডেট: ১৪ মার্চ ২০২৫ ০৬:১০

রাজশাহীর বাঘায় জমি সংক্রান্ত বিরোধকে কেন্দ্র করে বিপাকে পড়েছেন শ্রী শ্যামল কর্মকার নামে একটি সংখ্যালঘু পরিবার। বৈধ কাগজ-পত্র থাকার পরেও বিবাদীর বাড়ি পাশে জমি হওয়ায় তাদের হুমকি এবং শাসন গর্জনে আম পাড়া বন্ধ রয়েছে। ফলে গাছ থেকে খসে পড়ছে আম। নিরুপায় হয়ে সোমবার বাঘা থানায় লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে।
অভিযোগে জানা গেছে, উপজেলার মিলিক বাঘা গ্রামের বাসিন্দা শ্রী শ্যামল কর্মকার দ্বিগর (৬৮) পৈতৃক সূত্রে ৩২ শতাংশ জমির মালিক। এ জমির অবস্থান উপজেলার পাকুড়িয়া গ্রামে। তার পিতার নিকট থেকে ক্রয়সূত্রে জমির মালিক দাবি করেন ওই গ্রামের মৃত আব্দুল হক মালিথার দুই ছেলে বিবাদী শাসসুল মালিথা (৪৮) এবং তার ভাই শাকিল মালিথা(৩৮)। তারা চলতি বছরের ৩ জানুয়ারী জোরপূর্বক ঐ জমি দখল করতে আসলে ফৌজদারি কার্যবিধি ১৪৪ ধারা মোতাবেক শ্যামল কর্মকার আদালতের স্মরণাপন্ন হন। পরে আদালত থেকে থানা পুলিশের মাধ্যমে তদন্ত প্রতিবেদন সাপেক্ষে শাসসুল মালিথা, শ্যামল কর্মকার দ্বিগরকে বৈধ কাগজপত্র দেখাতে না পারায় ওই জমি শ্যামল কর্মকার দ্বিগর ভোগ-দখল করে আসছেন।
বর্তমানে ঐ জমির উপরে ৬টি আম গাছ সহ মেহগনি এবং লেবু বাগান রয়েছে। এর মধ্যে আম গাছে বিপুল পরিমাণ আম ধরে আছে। কিন্তু বিবাদীরা নিজেরা আম পাড়ছে না এবং বাদী পক্ষকেও আম পাড়তে দিবেনা বলে নানাভাবে ভয় ভীতি প্রদর্শন ও হুমকি প্রদান করে আসছেন। এর ফলে গাছ থেকে প্রতিনিয়ত পাকা আম মাটিতে খসে পড়ছে। নিরুপায় হয়ে শ্যামল কর্মকার সোমবার থানা পুলিশের কাছে যান।
এ প্রসঙ্গে মামলার বাদী শ্যামল কর্মকার ও তার ছোট ভাই উত্তম কর্মকার বলেন, আমরা এমনিতে সংখ্যালঘু, তার উপরে জমির অবস্থান বিবাদীদের বাড়ির পাশে। এ কারনে তারা একের-পর এক আমাদের নানাভাবে ভয়-ভীতি দেখাচ্ছে।
বাঘা থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নজরুল ইসলাম বলেন, এ বিষয়ে অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এসকে
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: