আবারও চ্যাম্পিয়ন তামিমের বরিশাল

রাজটাইমস ডেস্ক | প্রকাশিত: ৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ২৩:৩৭; আপডেট: ১২ মার্চ ২০২৫ ১০:৩১

ছবি: সংগৃহীত

লঞ্চে ট্রফি তুলতে চান, গত বৃহস্পতিবার ফাইনাল সামনে রেখে সংবাদ সম্মেলনে এমন কথা বলেন ফরচুন বরিশাল অধিনায়ক তামিম ইকবাল। শিরোপা জিতেই যেন ইচ্ছাপূরণ করলেন দেশসেরা এই ওপেনার। তার নেতৃত্বে বিপিএলে আবারও শিরোপা উৎসব করল বরিশাল। গতকাল শুক্রবার মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় স্টেডিয়ামে রুদ্ধশ্বাস ফাইনালে চিটাগং কিংসকে ৩ উইকেটে হারিয়েছে গতবারের চ্যম্পিয়নরা।

এবারও শাপমোচন হলো না চট্টগ্রামের। এক যুগ পর ফাইনালে উঠেও শিরোপার নাগাল পেল না বন্দরনগরীর দলটি। তাদেরকে কাঁদিয়ে টানা দ্বিতীয়বারের মতো শিরোপা উৎসব করল তামিম ইকবালের ফরচুন বরিশাল। জাতীয় দল থেকে সদ্য অবসর নেওয়া তামিমকে বিদায়ী সম্মাননা জানানোর জন্য ফাইনালের মঞ্চকেই বেছে নেয় বিসিবি। শিরোপার জয়ের মধ্য দিয়ে এই উপলক্ষ্য রাঙালেন তামিম।

শিরোপা জয়ের জন্য ১৯৫ রানের টার্গেটের সামনে দলকে দুর্দান্ত সুচনা এনে দেন তামিম। তাকে সুযোগ্য সঙ্গ দেন তাওহিদ হৃদয়। ৮ ওভারে ৭৬ রানরে জুটি গড়েন দুজনে। তামিমের ব্যাট থেকে ৫৪ রান আসে মাত্র ২৯ বলের কনকর্ডে চড়ে। তার ইনিসটিতে ৯ বাউন্ডারির সঙ্গে একটি ছক্কার মার। ২৮ বল খেলে ৩২ রান করেন হৃদয়। এই দুজন বিদায় নিলে গত আসরের ফাইনালের নায়ক কাইলে মায়ার্স। তবে মায়ার্স সাজঘরমুখো হলে ম্যাচকে ঘিরে তৈরি হয় উত্তেজনা। মাত্র ২৮ বলে ৪৬ রান করেন এই ক্যারিবীয় হার্ডহিটার। ইনিংসটি সাজান তিন চার ও তিন ছয়ের সমাহারে।

মায়ার্স আউট হওয়ার পর দ্রুত ৩ উইকেট হারায় বরিশাল। ১৯তম ওভারের শেষ বলে বিদায় নেন মোহাম্মদ নবি (৪)। বরিশালের স্কোরবোর্ডে তখন ১৮৭/৭। শেষ ওভারে ম্যাচ জিততে দলটির প্রয়োজন পড়ে ৮ রানের। ম্যাচে ফিরে আসে টানটান পরিস্থিতি। তবে সব উত্তেজনা নিভিয়ে দেন রিশাদ হোসেন। হোসাইন তালাতের করা প্রথম বলটিকেই ছক্কা মেরে চিটাগংয়ের স্বপ্ন ভেঙে দেন রিশাদ। ৩ বল হাতে রেখেই বিজয়ীর বেশে মাঠ ছাড়ে গতবারের চ্যািম্পয়নরা।

এর আগে টসে হেরে ব্যাট করতে নেমে চিটাগং কিংসকে শুরুতে বড় সংগ্রহের ভিত গড়ে দেন পারভেজ হোসেন ইমন ও খাজা নাফি। সঙ্গে গ্রাহাম ক্লার্কও করেন আক্রমণাত্মক ব্যাটিং। ৪৯ বলে ৬ চার ও ৪ ছক্কায় ৭৮ রানে অপরাজিত থাকেন ইমন। ১৩তম ওভারে ভাঙে ওপেনিং জুটি। খাজা নাফিকে ফেরান এবাদত হোসেন। ৭৬ বলে ১২১ রানের জুটি ভাঙে। নাফি ৪৪ বলে ৬৬ রান করেন। ক্লার্কের ব্যাট থকে ৪৪ রান আসে ২৩ বল থেকে। দুইশ থেকে ৬ রান দূরে থেকে শেষ হয় চট্টগ্রামের ইনিংস।

বিপিএল ফাইনালে এত বেশি রান তাড়া করে জেতেনি কোনো দল। এর আগে বিপিএল ফাইনালে সর্ব্বোচ্চ রান তাড়া করে জয়ের রেকর্ড ছিল ১৭৬। ২০২৩ সালে টুর্নামেন্টের ফাইনালে সিলেট স্ট্রাইকার্সের ১৭৫ রান টপকে শিরোপা জিতেছিল কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স।



বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাস
এই বিভাগের জনপ্রিয় খবর
Top