জাতীয় সঙ্গীত শুনলে হামজার গায়েও কাঁটা দেবে: জামাল

রাজটাইমস ডেস্ক | প্রকাশিত: ১৯ মার্চ ২০২৫ ২১:১২; আপডেট: ২০ মার্চ ২০২৫ ০২:৫৮

ছবি: সংগৃহীত

মনোযোগের কেন্দ্রে তিনি। একটু পরপর শাটারের শব্দ শোনা যাচ্ছে। এমন কিছু এক যুগ আগেও দেখা গিয়েছিল বাংলাদেশের ফুটবলে। সেবার জামাল ভূঁইয়া ছিলেন কেন্দ্রীয় চরিত্রে, ডেনমার্ক থেকে বাংলাদেশের ফুটবলে পা রেখেছিলেন তিনি। এবার চরিত্রটা হামজা চৌধুরী, তাকে ঘিরেই যত আগ্রহ, যত কৌতূহল।

দুজনের মাঝে অনেক মিল। কেউ বাংলাদেশে জন্ম নেননি, তবে এ মাটিতে নাড়িটা পোঁতা ছিল শুরু থেকেই। সে নাড়ির টানেই দেশের মাটিতে পা রাখা। জামাল ভূঁইয়া সময়ের ফেরে এখন অধিনায়ক, তাই খুব কাছ থেকে দেখছেন হামজার ওই একই পথ ধরে হেঁটে হেঁটে দেশের ফুটবল পরিমণ্ডলে পা রাখাটা।

এ অনুভূতিটা কেমন? জামাল জানালেন, ‘তখনকার সঙ্গে এখনকার দৃশ্যের খুব পার্থক্য পাচ্ছি না। তবে হ্যাঁ, ভালো অতি অবশ্যই লাগছে আমার। যেভাবে আপনারা হামজাকে বরণ করে নিচ্ছেন, সেটা দুর্দান্ত। এটা গোটা বিশ্বের সবাইকে (বাংলাদেশি ফুটবলার) অনুপ্রেরণা দেবে।’

বাংলাদেশি হিসেবে জাতীয় সঙ্গীত শুনলে আবেগে মন ভেসে যায়। তেমনটা নিশ্চিত জামাল ভূঁইয়ারও হয়েছিল। ২০১৩ সালে নেপালের দশরথ রঙ্গশালায় তাদেরই বিপক্ষে প্রথমবারের মতো খেলতে নেমেছিলেন লাল সবুজ জার্সিটা গায়ে চড়িয়ে। সেবার জাতীয় সঙ্গীত শুনে গায়ে কাঁটা দিয়েছিল তার।

তাই ২৫ মার্চ শেফিল্ড ইউনাইটেডের হামজার কী হবে, তা আগে থেকেই বলে দিতে পারছেন জামাল, ‘২০১৩ সাফে নেপালের বিপক্ষে যখন খেলতে নেমেছিলাম, তখন গ্যালারি ভরা ছিল। ২৫ মার্চ ভারত ম্যাচেও ব্যতিক্রম হবে বলে মনে হয় না। ২৫ মার্চের ওই ম্যাচে যখন হামজা জাতীয় সঙ্গীতটা শুনবে, তখন তার গায়ে কাঁটা দেবে।’

নিজের সঙ্গে হামজার নিয়তির মিলটুকু এতেই আটকে যাক, জামাল নিশ্চয়ই তা চাইবেন। বাংলাদেশ অধিনায়কের অভিষেকটা যে সেদিন মোটেও ভালো হয়নি। ২০১৩ সাফের ওই ম্যাচে বাংলাদেশ হেরেছিল ২-০ গোলে। এবার স্বাগতিক ভারত, তাদের বিপক্ষে ‘ডার্বি’টা যে কোনো মূল্যে জিততে চায়, তা আর বলতে!



বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাস
এই বিভাগের জনপ্রিয় খবর
Top